০৫:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লার দেবিদ্বারে পানিতে ডুবে একই পরিবারের দুই শিশুর মৃত্যু কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ঝটিকা মিছিল, আটক ৫ বুড়িচংয়ে পূজা উদযাপনে থাকবে সেনাবাহিনী-পুলিশের নিরাপত্তা বলয় বুড়িচংয়ে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ৫ লক্ষ টাকার ওষুধ বিতরণ ইমোর মাধ্যমে প্রবাসীর সঙ্গে পরিচয়, কুমিল্লার দুলাল হত্যার পেছনের মূল কারণ কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে চার গাড়ির সংঘর্ষে ২ জন নিহত, আহত ৩ কুমিল্লার মুরাদনগরে পরিত্যক্ত মুরগির খামার থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার কুমিল্লায় স্কুল শেষে নদীতে গোসল করতে নেমে প্রাণ গেল প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীর চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ও পৌর জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ‎ব্রাহ্মণপাড়ায় মোটরসাইকেল ফেলে পালালেন দুই যুবক, ৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার

কুমিল্লায় যুবদল নেতাকে যৌথ বাহিনী পরিচয়ে আটকের পর মৃত্যুর ঘটনায় ৬ জনের নামে মামলা

  • তারিখ : ০৫:২৫:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 25

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ছয়জনের নামে মামলা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করেন নিহতের স্ত্রী ইয়াসমিন নাহার।

মামলার ছয় আসামি হলেন, জেলার আদর্শ সদর সদর উপজেলার পাঁচথুবি ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর (পান্ডানগর) গ্রামের সাইফুল ইসলাম, নিহত তৌহিদুলের প্রতিবেশী তানজিল উদ্দিন, নাজমুল হাসান টিটু, খাইরুল হাসান মাহফুজ, সাইদুল হাসান সবুজ ও বামইল গ্রামের সোহেল।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আসামিদের সঙ্গে তৌহিদুলের পরিবারের জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিশ হয়। কিন্তু বিরোধ শেষ হয়নি। এ নিয়ে তৌহিদুলকে হত্যার হুমকি দেন আসামিরা। ৩০ জানুয়ারি মধ্যরাতে অভিযুক্তরা পূর্ব বিরোধের জের ধরে ২০-২৫ জন সিভিল পোশাকধারী এবং সেনাবাহিনীর মতো পোশাক পরিহিত লোক বাড়ি গিয়ে যুবদল নেতা তৌহিদ ও প্রতিবেশী লুৎফুর রহমানকে আটক করে নিয়ে যায়।

পরদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে একই ব্যক্তিরা আবারো আহত তৌহিদ ও লুৎফুরকে নিয়ে বাড়ি এসে ঘরে তল্লাশি করে। এসময় লুৎফুর রহমানকে ছেড়ে দিলেও তৌহিদকে নিয়ে চলে যায়। পরে তারা সংকটাপন্ন অবস্থায় তৌহিদকে গোমতী বাঁধের ঝাঁকুনি পাড়ায় ফেলে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত তৌহিদুল ইসলাম কুমিল্লা সদর উপজেলার পাঁচথবী ইউনিয়নের ইটাল্লা গ্রামের মৃত মোখলেছুর রহমানের ছেলে। তিনি পাঁচথবী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ছিলেন। চট্টগ্রাম বন্দরে একটি শিপিং এজেন্ট কোম্পানিতে চাকরি করতেন।

তৌহিদুলের স্ত্রী ইয়াসমিন নাহার বলেন, সেনাবাহিনীর আশ্বাসে আমরা সন্তুষ্ট হয়ে ঘটনার নেপথ্যে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। ঘটনার মূলহোতাদের আসামি করা হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে।

তৌহিদুলের বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ বলেন, মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে এর বাইরেও কেউ কেউ থাকতে পারেন। এখানে রাজনৈতিক কোনো বিষয় আছে কি না, তাও তদন্ত করে পুলিশ বের করবে বলে আশা করি।

কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম মামলার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের স্ত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্তদের কেউ এলাকায় নেই। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় যুবদল নেতাকে যৌথ বাহিনী পরিচয়ে আটকের পর মৃত্যুর ঘটনায় ৬ জনের নামে মামলা

তারিখ : ০৫:২৫:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ছয়জনের নামে মামলা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করেন নিহতের স্ত্রী ইয়াসমিন নাহার।

মামলার ছয় আসামি হলেন, জেলার আদর্শ সদর সদর উপজেলার পাঁচথুবি ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর (পান্ডানগর) গ্রামের সাইফুল ইসলাম, নিহত তৌহিদুলের প্রতিবেশী তানজিল উদ্দিন, নাজমুল হাসান টিটু, খাইরুল হাসান মাহফুজ, সাইদুল হাসান সবুজ ও বামইল গ্রামের সোহেল।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আসামিদের সঙ্গে তৌহিদুলের পরিবারের জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিশ হয়। কিন্তু বিরোধ শেষ হয়নি। এ নিয়ে তৌহিদুলকে হত্যার হুমকি দেন আসামিরা। ৩০ জানুয়ারি মধ্যরাতে অভিযুক্তরা পূর্ব বিরোধের জের ধরে ২০-২৫ জন সিভিল পোশাকধারী এবং সেনাবাহিনীর মতো পোশাক পরিহিত লোক বাড়ি গিয়ে যুবদল নেতা তৌহিদ ও প্রতিবেশী লুৎফুর রহমানকে আটক করে নিয়ে যায়।

পরদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে একই ব্যক্তিরা আবারো আহত তৌহিদ ও লুৎফুরকে নিয়ে বাড়ি এসে ঘরে তল্লাশি করে। এসময় লুৎফুর রহমানকে ছেড়ে দিলেও তৌহিদকে নিয়ে চলে যায়। পরে তারা সংকটাপন্ন অবস্থায় তৌহিদকে গোমতী বাঁধের ঝাঁকুনি পাড়ায় ফেলে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত তৌহিদুল ইসলাম কুমিল্লা সদর উপজেলার পাঁচথবী ইউনিয়নের ইটাল্লা গ্রামের মৃত মোখলেছুর রহমানের ছেলে। তিনি পাঁচথবী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ছিলেন। চট্টগ্রাম বন্দরে একটি শিপিং এজেন্ট কোম্পানিতে চাকরি করতেন।

তৌহিদুলের স্ত্রী ইয়াসমিন নাহার বলেন, সেনাবাহিনীর আশ্বাসে আমরা সন্তুষ্ট হয়ে ঘটনার নেপথ্যে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। ঘটনার মূলহোতাদের আসামি করা হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে।

তৌহিদুলের বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ বলেন, মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে এর বাইরেও কেউ কেউ থাকতে পারেন। এখানে রাজনৈতিক কোনো বিষয় আছে কি না, তাও তদন্ত করে পুলিশ বের করবে বলে আশা করি।

কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম মামলার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের স্ত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্তদের কেউ এলাকায় নেই। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।