০২:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বর্ণাঢ্য আয়োজনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘নবান্ন উৎসব ১৪৩২’ মুরাদনগরে মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আজিজ গ্রেপ্তার ১৭ তম কুমিল্লা মিডিয়া টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে জিতলেন মিডিয়া ওয়ারিয়র্স কুমিল্লায় ট্রাক্টর উল্টে নদীতে গোসলরত একই পরিবারের ৩ নারী নিহত কুমিল্লা জেলা বইমেলা ২০২৫–এ আবৃত্তি সংসদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় শাহরাস্তিতে বিএনপি’র মিলাদ ও দোয়া কুমিল্লায় মায়ের সামনে এসিল্যান্ডের গাড়িচাপায় দুই বছরের শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু ১৭তম কুমিল্লা মিডিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ৬ দলের জার্সি উন্মোচন জগন্নাথপুরে ঈদে মাজিউন্নবী ও ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন উপলক্ষে নাতে মোস্তফা মাহফিল বুড়িচংয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল ওহাব নিহত

কুমিল্লায় যুবদল নেতাকে যৌথ বাহিনী পরিচয়ে আটকের পর মৃত্যুর ঘটনায় ৬ জনের নামে মামলা

  • তারিখ : ০৫:২৫:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 86

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ছয়জনের নামে মামলা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করেন নিহতের স্ত্রী ইয়াসমিন নাহার।

মামলার ছয় আসামি হলেন, জেলার আদর্শ সদর সদর উপজেলার পাঁচথুবি ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর (পান্ডানগর) গ্রামের সাইফুল ইসলাম, নিহত তৌহিদুলের প্রতিবেশী তানজিল উদ্দিন, নাজমুল হাসান টিটু, খাইরুল হাসান মাহফুজ, সাইদুল হাসান সবুজ ও বামইল গ্রামের সোহেল।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আসামিদের সঙ্গে তৌহিদুলের পরিবারের জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিশ হয়। কিন্তু বিরোধ শেষ হয়নি। এ নিয়ে তৌহিদুলকে হত্যার হুমকি দেন আসামিরা। ৩০ জানুয়ারি মধ্যরাতে অভিযুক্তরা পূর্ব বিরোধের জের ধরে ২০-২৫ জন সিভিল পোশাকধারী এবং সেনাবাহিনীর মতো পোশাক পরিহিত লোক বাড়ি গিয়ে যুবদল নেতা তৌহিদ ও প্রতিবেশী লুৎফুর রহমানকে আটক করে নিয়ে যায়।

পরদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে একই ব্যক্তিরা আবারো আহত তৌহিদ ও লুৎফুরকে নিয়ে বাড়ি এসে ঘরে তল্লাশি করে। এসময় লুৎফুর রহমানকে ছেড়ে দিলেও তৌহিদকে নিয়ে চলে যায়। পরে তারা সংকটাপন্ন অবস্থায় তৌহিদকে গোমতী বাঁধের ঝাঁকুনি পাড়ায় ফেলে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত তৌহিদুল ইসলাম কুমিল্লা সদর উপজেলার পাঁচথবী ইউনিয়নের ইটাল্লা গ্রামের মৃত মোখলেছুর রহমানের ছেলে। তিনি পাঁচথবী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ছিলেন। চট্টগ্রাম বন্দরে একটি শিপিং এজেন্ট কোম্পানিতে চাকরি করতেন।

তৌহিদুলের স্ত্রী ইয়াসমিন নাহার বলেন, সেনাবাহিনীর আশ্বাসে আমরা সন্তুষ্ট হয়ে ঘটনার নেপথ্যে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। ঘটনার মূলহোতাদের আসামি করা হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে।

তৌহিদুলের বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ বলেন, মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে এর বাইরেও কেউ কেউ থাকতে পারেন। এখানে রাজনৈতিক কোনো বিষয় আছে কি না, তাও তদন্ত করে পুলিশ বের করবে বলে আশা করি।

কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম মামলার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের স্ত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্তদের কেউ এলাকায় নেই। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় যুবদল নেতাকে যৌথ বাহিনী পরিচয়ে আটকের পর মৃত্যুর ঘটনায় ৬ জনের নামে মামলা

তারিখ : ০৫:২৫:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ছয়জনের নামে মামলা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করেন নিহতের স্ত্রী ইয়াসমিন নাহার।

মামলার ছয় আসামি হলেন, জেলার আদর্শ সদর সদর উপজেলার পাঁচথুবি ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর (পান্ডানগর) গ্রামের সাইফুল ইসলাম, নিহত তৌহিদুলের প্রতিবেশী তানজিল উদ্দিন, নাজমুল হাসান টিটু, খাইরুল হাসান মাহফুজ, সাইদুল হাসান সবুজ ও বামইল গ্রামের সোহেল।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আসামিদের সঙ্গে তৌহিদুলের পরিবারের জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিশ হয়। কিন্তু বিরোধ শেষ হয়নি। এ নিয়ে তৌহিদুলকে হত্যার হুমকি দেন আসামিরা। ৩০ জানুয়ারি মধ্যরাতে অভিযুক্তরা পূর্ব বিরোধের জের ধরে ২০-২৫ জন সিভিল পোশাকধারী এবং সেনাবাহিনীর মতো পোশাক পরিহিত লোক বাড়ি গিয়ে যুবদল নেতা তৌহিদ ও প্রতিবেশী লুৎফুর রহমানকে আটক করে নিয়ে যায়।

পরদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে একই ব্যক্তিরা আবারো আহত তৌহিদ ও লুৎফুরকে নিয়ে বাড়ি এসে ঘরে তল্লাশি করে। এসময় লুৎফুর রহমানকে ছেড়ে দিলেও তৌহিদকে নিয়ে চলে যায়। পরে তারা সংকটাপন্ন অবস্থায় তৌহিদকে গোমতী বাঁধের ঝাঁকুনি পাড়ায় ফেলে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত তৌহিদুল ইসলাম কুমিল্লা সদর উপজেলার পাঁচথবী ইউনিয়নের ইটাল্লা গ্রামের মৃত মোখলেছুর রহমানের ছেলে। তিনি পাঁচথবী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ছিলেন। চট্টগ্রাম বন্দরে একটি শিপিং এজেন্ট কোম্পানিতে চাকরি করতেন।

তৌহিদুলের স্ত্রী ইয়াসমিন নাহার বলেন, সেনাবাহিনীর আশ্বাসে আমরা সন্তুষ্ট হয়ে ঘটনার নেপথ্যে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। ঘটনার মূলহোতাদের আসামি করা হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে।

তৌহিদুলের বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ বলেন, মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে এর বাইরেও কেউ কেউ থাকতে পারেন। এখানে রাজনৈতিক কোনো বিষয় আছে কি না, তাও তদন্ত করে পুলিশ বের করবে বলে আশা করি।

কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম মামলার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের স্ত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্তদের কেউ এলাকায় নেই। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।