স্টাফ রিপোর্টার।।
রাজধানীর দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে গুরুতর দগ্ধ সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহতাব রহমান ভূঁইয়া (১৫) মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। রাজধানীর জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে অচেতন হয়ে পড়ে আছে সে। হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে অসহায় বাবা মিনহাজুর রহমান ভূঁইয়া বারবার ছেলের নাম ধরে কাঁদছেন—‘ওগো আল্লাহ, আমার একমাত্র পোলারে বাঁচায়া দাও!’
মাহতাব কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের চুলাশ ভূঁইয়া বাড়ির সন্তান। তারা রাজধানীর উত্তরায় একটি ভাড়া বাসায় থাকে। মাহতাব মা-বাবার একমাত্র সন্তান। বাবা মিনহাজুর রহমান পেশায় বেসরকারি চাকরিজীবী।
মাহতাবের শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। অবস্থা খুবই সংকটজনক। দগ্ধ শরীরে এখনো তার জ্ঞান ফেরেনি। হাসপাতালের কাচের জানালার ওপাশে নিঃসাড় হয়ে পড়ে আছে ছোট্ট ছেলেটি, আর এ পাশে তার মা-বাবা চোখ ভিজিয়ে বসে আছেন চুপচাপ—কোনো কিছু করার নেই তাঁদের।
ঘটনার দিন সকালেও প্রতিদিনের মতো ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দিয়েছিলেন বাবা মিনহাজুর। বাবার হাত ধরে স্কুলে ঢোকার সময়ের সেই শেষ হাসিটাই যেন এখন বারবার ভেসে উঠছে চোখে। মাত্র ১০-১৫ মিনিট পরেই যেন পৃথিবীটাই পাল্টে গেল তাঁদের জন্য।
মাহতাবের বাবা মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘ডাক্তাররা শুধু বলেছেন, অবস্থা খুব খারাপ। কিছু বলা যাচ্ছে না। আমি আল্লাহর কাছে, দেশের মানুষের কাছে দোয়া চাই। আমার একমাত্র ছেলেকে যেন ফিরে পাই। ওকে ছাড়া কিছু ভাবতেই পারছি না।’
প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাডেমিক ভবনের পাশে বিমানবাহিনীর একটি পুরোনো প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে।