সোহরাব হোসেন।।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, “শাপলা মার্কা নিয়েই আমরা নির্বাচন করবো, এনসিপির নয়তো নিবন্ধনেরও দরকার নেই। যদি আমাদেরকে শাপলা প্রতীক না দেওয়া হয়, তাহলে ধানের শীষও বাদ দিতে হবে। শাপলা কেউ ঠেকাতে পারবে না।
শুক্রবার সন্ধ্যায় দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়া এলাকায় এনসিপি আয়োজিত এক উঠান বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে না, তাদের রিমোট কন্ট্রোল অন্য জায়গায়। নির্বাচন কমিশন আগারগাঁও থেকে পরিচালিত হওয়ার কথা, কিন্তু সেটি এখন অন্য কোথাও থেকে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “আমরা এখন এই কমিশনকে স্বৈরাচার কমিশন হিসেবে দেখতে পাচ্ছি। আওয়াল কমিশনের চেয়েও নিচুস্তরের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বর্তমান কমিশন। দায়িত্ব অবহেলার পরিণতি কী হতে পারে, তা আগের অভিজ্ঞতা থেকেই জানা উচিত। নির্বাচন কমিশনকে বলবো—আইন মেনে সিদ্ধান্ত নিন, কোনো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানই স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আমাদেরকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে, যেন আমরা শাপলা চাওয়া থেকে পিছিয়ে আসি। কিন্তু শাপলা জাতীয় প্রতীক হওয়ার কারণে যদি এনসিপিকে না দেওয়া হয়, তাহলে ধানের শীষও বাতিল করতে হবে—কারণ সেটিও জাতীয় প্রতীকের অন্তর্ভুক্ত। আমরা দেখছি নির্বাচন কমিশন ইচ্ছাকৃতভাবে পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। যদি শাপলা না দেয়, তাহলে আমাদের নিবন্ধনও প্রয়োজন নেই। নির্বাচন কমিশন শাপলা কেন দিবে না তারা তা ব্যাখা করবেনা। জনগণ ব্যাখা ছাড়া আপনাদের কোন সিদ্ধান্ত মেনে নিবে না। দেখা যাবে নির্বাচনে একতারা ভোট কেটে ছাইপা লাইবো। তখন জিজ্ঞেস করলে তারা বলবে ব্যাখা দিবো না।
দেবিদ্বার উপজেলা এনসিপির ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে উঠান বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা এনসিপি সদস্য রবিউল মনির চৌধুরী, মজিবুর রহমান, মাহমুদুল হাসান, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।