দেবিদ্বার প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার দেবিদ্বারে নির্মাণাধীন ভবনের নিচে পুরানো পাইলিং বেস ভাঙা ও মাটি খোঁড়াখুঁড়ির সময় পাশের এক মার্কেটের দেয়াল চাপা পড়ে মো. আবু তাহের নামে (৫৫) নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৮মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর দেবিদ্বার চান্দিনা রোডের ফরিদ মোল্লা মার্কেটের পিছনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় আবু তাহেরকে উদ্ধার করে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় মিরাজ, রানা ও তসলিম নামে আরও তিন শ্রমিক আহত হয়। নিহত আবু তাহের বাকসার গ্রামের মৃত ফজর আলী ছেলে।
আহত মিরাজ ও রানা জানায়, নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের ঠিকাদারের সাথে আমাদের কাজের চুক্তি হয় বিকাল ৪টা পর্যন্ত। কিন্তু ৪টার পরও ঠিকাদার জোর করে আমাদের দিয়ে কাজ করান। আমরা নির্মাণ ভবনের পিলার পাশে মাটি খুঁড়ছিলাম এবং পুরানো দেয়াল ভাঙছিলাম। হঠাৎ করে পাশের একটি বড় দেয়াল হেলে পড়তে দেখে আমি দ্রত সবাইকে সরে আসতে বলি, আমরা তিনজন সরে আসতে পারলেও আবু তাহের গর্ত থেকে উঠতে পারেনি। দেয়ালটি ধসে তার ওপর পড়লে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যায়।
নিহত আবু তাহেরের স্ত্রী পারভিন আক্তার বলেন, ইফতারের পাঁচ মিনিট আগে আমি ফোন করছিলাম বাড়িতে আসতে, কাজ শেষে করে বাড়িতে আসবে বলছে, ইফতারের পর শুনি আমার স্বামী হাসপাতালে। আমি আর কিছু জানিনা।
নিহত আবু তাহেরের ছেলে রিয়াজ জানায়, কাজ শেষ হওয়ার পরও ঠিকাদার আমার বাবাকে দিয়ে জোর করে কাজ করাচ্ছিল। সে আমার বাবাকে খুন করেছে। আমি ওই ঠিকাদারের বিচার চাই। সে কেন ওভার টাইমের কথা বলে আমার বাবাকে দিয়ে কাজ করাচ্ছিল।
নির্মাণাধীন ভবনের কাজের ঠিকাদার মো. হুমায়ুন বলেন, আমি জোর করে কাজ করানোর কোন প্রশ্ন আসেনা। ভবনের মালিক বশির মোল্লা আমাকে শ্রমিক খুজে দেয়ার জন্য বললে আমি তাদেরকে ঠিক করে দেই। তাদের কাজের সাথে আমার কোন চুক্তি নেই, ভবন মালিকের সাথে চুক্তি।
এ বিষয়ে জানতে ভবনের মালিক মো. বশির মোল্লাকে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানা (ওসি) মো. নয়ন মিয়া বলেন, ভবনের দেয়াল ধসে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে কেউ জড়িত থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।