জহিরুল হক বাবু।।
আগামীকাল ২১ই মে দ্বিতীয় ধাপে কুমিল্লা দুইটি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের ঠিক একদিন আগে নেতাকর্মীদের হুমকি ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কুমিল্লা বরুড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী এ এন এম মইনুল ইসলাম। সোমবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়৷
কুমিল্লা বরুড়া উপজেলার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। বরুড়া উপজেলা পরিষদের দুইবারে চেয়ারম্যান হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী এএনএম মইনুল ইসলাম এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর শ্যালক আনারস প্রতীকেত প্রার্থী হামিদ লতিফ ভূঁইয়া কামাল।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন নির্বাচনের একদিন আগে সোমবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার সমর্থিত অন্তত ২০ জন নেতাকর্মীকে পুলিশ পরিচয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। এইছাড়াও প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীদের বাড়িতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে তল্লাশির মাধ্যমে হয়রানি করা হচ্ছে।
তিনি আরো অভিযোগ করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর শ্যালক আনারস প্রতীকের প্রার্থী হামিদ লতিফ ভূঁইয়া কামালের পক্ষে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবৈধভাবে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে একটি চক্র। এতে করে তার সমর্থক ও কর্মীদের নানাভাবে নাজেহাল করা হচ্ছে। নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রশাসনকে অনুরোধ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে পর তিনি সাংবাদিকদের সাথে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির হোন। এই সময় তিনি সাংবাদিকদের সামনে সংবাদ সম্মেলনে করা অভিযোগগুলো পুলিশ সুপারের কাছে তুলে ধরেন।
চেয়ারম্যান প্রার্থী আনীত অভিযোগের বিষয়ে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, ওনি যে গণ গ্রেফতারের অভিযোগ করেছেন এই বিষয়ে কোনো সত্যতা পাওয়া যায় নি। আমার জানা মতে এজাহারনামীয় একজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে আমরা সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।