নিউজ ডেস্ক।।
এসএসসিতে জিপিএ-৫ অর্জন করেও উচ্চমাধ্যমিকে পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার উত্তরদা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কোহিনুর আক্তারের। অর্থনৈতিক অসচ্ছলতার কারণে মেয়েকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে কোহিনুরের অটোরিকশাচালক পিতার।
কোহিনুর উপজেলার উত্তরদা গ্রামের দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া মেধাবী এক শিক্ষার্থী। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় সে ১৩০০ নম্বরের মধ্যে ১১৯৩ পেয়ে জিপিএ-৫ অর্জন করেছে। এর আগেও সে পঞ্চম শ্রেণিতে বৃত্তি পেয়েছিল।
কোহিনুর জানায়, “বাবার তেমন সামর্থ্য নেই। দুপুরে খাবারের জন্য কিছু টাকা পেতাম, সেটা জমিয়ে একমাস প্রাইভেট পড়েছি। পরে টাকার অভাবে বন্ধ হয়ে যায় প্রাইভেট। তখন স্যারদের জানালে তারা বিনামূল্যে পড়িয়েছেন। আল্লাহর রহমত, বাবা-মায়ের দোয়া আর স্যারদের সহায়তায় ভালো রেজাল্ট করতে পেরেছি। ভবিষ্যতে আমি চিকিৎসক হতে চাই।”
তার বাবা আবদুল কাদের বলেন, “অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালানোই কষ্টকর। মেয়ের লেখাপড়া চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠছে। তবে যদি কেউ সহযোগিতার হাত বাড়ান, তাহলে মেয়েকে উচ্চশিক্ষার পথে এগিয়ে নিতে চাই।”
উত্তরদা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. মাসুদুল হক বলেন, “কোহিনুর অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী। পরিবারের আর্থিক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সে অসাধারণ ফল করেছে। সহযোগিতা পেলে সে ভবিষ্যতে দেশের জন্য কিছু করে দেখাতে পারবে।”
সহযোগিতার আবেদন
কোহিনুরের পরিবারের আর্জি—যদি সমাজের কোনো হৃদয়বান ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তার পাশে দাঁড়ায়, তাহলে তার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিতে পারে।