নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত শাহ আলম (২৮) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় তার মরদেহ জানাজা ছাড়াই নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের টিক্কারচর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এ সময় এলাকাজুড়ে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা ছিল।
নিহত শাহ আলম ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সুজানগর পূর্বপাড়া এলাকার মৃত জানু মিয়ার ছেলে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, উত্তেজিত জনতা রাস্তার দুই পাশে ভিড় করেছে। তাদের কবরস্থান এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। দুপুর আড়াইটার দিকে শাহ আলমের মরদেহ টিক্কারচর ঈদগাহে আনা হয়। এ সময় কবর খোঁড়ার জন্য লোক পাওয়া যাচ্ছিল না।
পরবর্তীতে স্থানীয় এক বাসিন্দা মাটি খুঁড়ে মরদেহ দাফন করেন। শাহ আলমের কবরের ওপরে বাঁশ বা দাঁরি ও ব্যবহার করা হয়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনওয়ারুল আজিম জানান, টিক্কারচর কবরস্থানে মরদেহ দাফন না করার জন্য এলাকাবাসী বিক্ষোভ করছিল। তাই আমরা শুরু থেকেই সতর্ক ছিলাম। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে মরদেহ দাফন করা হয়।
গতকাল (১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টা ১৫ মিনিটে কুমিল্লা সদরের চাঁনপুর গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন শাহ আলম। তিনি কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ছিলেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় একই ঘটনায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত আসামি সাব্বির ও সাজনকেও জানাজা ছাড়াই নগরীর টিক্কারচর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২২ নভেম্বর বিকেল ৪টার দিকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহাকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আরও চারজন গুলিবিদ্ধ হন।
মোবাইল: +8801740652911
ইমেল: journalistbabo@gmail.com
www.comillanews.com