কুবি প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ শফি উল্যাহ প্রথমবারের মতো বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান এলসেভিয়ার যৌথভাবে এ তালিকা প্রকাশ করে।
গণিত বিভাগের শিক্ষক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণায় নিয়োজিত মোহাম্মদ শফি উল্যাহর প্রধান গবেষণা ক্ষেত্র হলো গাণিতিক পদার্থবিদ্যা, সলিটন তত্ত্ব এবং ডিফারেনশিয়াল সমীকরণের বিশ্লেষণাত্মক ও সাংখ্যিক পদ্ধতি। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন Elsevier, Springer, Nature (সায়েন্টিফিক রিপোর্টস), আমেরিকান ইনস্টিটিউট অফ ফিজিক্স, আমেরিকান ইনস্টিটিউট অফ ম্যাথমেটিক্যাল সায়েন্সেস, আমেরিকান সোসাইটি অফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার্স এবং ওয়ার্ল্ড সায়েন্টিফিক পাবলিশিং কোম্পানির মতো জার্নালে তাঁর গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
২০২৫ সালের তালিকাটি বিভিন্ন ক্ষেত্রের গবেষকদের সাইটেশন সংখ্যা, এইচ-ইনডেক্স ও কো-অথরশিপ-অ্যাডজাস্টেড এইচ-ইনডেক্সের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। গুগল স্কলারের তথ্যানুযায়ী, শফি উল্যাহর গবেষণার সাইটেশনসংখ্যা ইতোমধ্যে ১,১০৪ অতিক্রম করেছে। আন্তর্জাতিক সম্মেলনে নিয়মিত গবেষণাপত্র উপস্থাপনের পাশাপাশি তিনি দুইবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘বেস্ট রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি দুটি স্কোপাস-ইনডেক্সড জার্নালের একাডেমিক এডিটর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
নিজের এই অর্জনকে বাংলাদেশের গবেষণা ও একাডেমিক উৎকর্ষের উজ্জ্বল স্বীকৃতি হিসেবে দেখেন মোহাম্মদ শফি উল্যাহ। তিনি বলেন, ‘প্রথমবারের মতো বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান পেয়ে আমি গভীরভাবে সম্মানিত। এই স্বীকৃতি কেবল আমার ব্যক্তিগত সাফল্য নয়; বরং এটি বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশের গবেষণা ও একাডেমিক উৎকর্ষেরও এক উজ্জ্বল স্বীকৃতি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি সর্বদা চেষ্টা করেছি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করতে। বিশেষ করে গণিত বিভাগের গবেষণা ও একাডেমিক কার্যক্রমকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার লক্ষ্যে আমি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এই ধারাবাহিকতায় বিশ্বের শীর্ষ গবেষকদের তালিকায় আমার নাম অন্তর্ভুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি।’
ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি জানান, ‘আমার বিশ্বাস, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্রমবর্ধমান সংখ্যক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাবে এবং বিশ্ব-দরবারে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিচিত করবে। তাদের সাফল্যের মধ্য দিয়েই আমাদের প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ও শিক্ষার ক্ষেত্রে আরও সমৃদ্ধ হবে।’