মোঃ বাছির উদ্দিন।।
গোমতি নদী ও সালদা নদীর ভাঙনে ও পাহাড়ি ঢলে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় ভয়াবহ বন্যার তান্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এতে প্রাণিসম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যা কিনা খামারীরা পুষিয়ে উঠতে পারবে না বলেও খামামীরা জানায়। গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি, কাঁচা ঘাস, শুকনো খড়সহ প্রাণিসম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্য্যালয় সূত্রে জানা যায়, গোমতি নদী ও সালদা নদীর ভাঙনে ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলায় প্রাণিসম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আজকে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলায় প্রায় ২ হাজার খামারী ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাদের খামারগুলোতে শত শত বিভিন্ন জাতের গরু-ছাগল লালন-পালন করতো। কিন্তু বন্যায় খামারীরা গবাদিপশুকে কোথাও নিয়ে যেতে পারে নাই।
কিছু গবাদিপশু আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলেও সেদিকে দেখা মিলছে বিভিন্ন রোগের। এসব ক্ষতিগ্রস্থ খামারীরা ভিড় করছেন প্রাণিসম্পদ অফিসে। তারা তাদের ক্ষতির পরিমান অফিসে জমা দিচ্ছেন। এদিকে সবকিছু হারিয়ে খামারীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে প্রাণিসম্পদ অফিস বলছে, এখন পর্যন্ত যেসব খামারীরা তাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অফিসে জমা দিচ্ছেন এতে প্রায় ৫ কোটি টাকা গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
কিন্তু আরো বেশি ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে বলেও অফিস সূত্রে জানা যায়। অপরদিকে গবাদিপশুর রোগবালাই নিয়ন্ত্রণে প্রাণিসম্পদের মাঠ পর্য্যায়ের কর্মীরা ব্যাপক কাজ করে যাচ্ছেন। গবাদিপশুর ভ্যাকসিন ও টীকা দিয়ে ও বন্যার্ত গবাদিপশু গুলোকে ফ্রি চিকিৎসা শেষে ঔষধ প্রদান করছে। সংশ্লিষ্টরা বলছে, পানি কমার সাথে সাথে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো দাঁড়াবে। তবে খামারীদের ধ্যের্য সহকারে কাজ করতে বলা হয়েছে।
এবিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ইজমাল হাছান বলেন, বন্যায় প্রাণিসম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যা নিরুপন করা সহজ হবে না। তবে এখন পর্যন্ত প্রায় সবমিলিয়ে ৫ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। এসব খামারীদের জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের মাধ্যমে কিছুটা সাহায্য সহযোগিতা করার চেষ্টা চলছে। এরই সাথে সাথে প্রাণিদের চিকিৎসায় মাঠ পর্য্যায়ে কাজ করা হচ্ছে। তাদের ফ্রি চিকিৎসা ও ঔষধ প্রদান করা হচ্ছে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page