মনির খাঁন, মুরাদনগর উপজেলা প্রতিনিধি।
কুমিল্লার মুরাদনগরে জুতা পায়ে শহীদ মিনারে উঠে ফোটোসেশন করে ভাইরাল হয়েছেন বিএনপি সমর্থিত এক ইউপি সদস্য প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে জসিম উদ্দিন ওরফে ওমানী জসিম নামে ওই প্রার্থীর প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করে রিটার্নিং অফিসার। এ সময় উল্লাসিত হয়ে তিনি উপজেলা কমপ্লেক্স এর অভ্যন্তরে দলবল নিয়ে জুতা পায়ে স্মৃতিসৌধে উঠে ফটোসেশন করেন। পরে মুহূর্তের মধ্যেই জুতা পায়ে শহীদ মিনারে ওঠার এই ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়ে।
জসিম উদ্দিন ওরফে ওমানী জসিম উপজেলার টনকী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পদপ্রার্থী। এদিকে স্মৃতিসৌধে ওঠে ফটোসেশনের দায়ে অবিলম্বে ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সহ সচেতন মহলে বেশ সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। টনকী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড সোনারামপুর গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানান, জসিম উদ্দিন ওরফে ওমানী জসিম বিএনপি’র একজন একনিষ্ঠ কর্মী, সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় সে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন এবং আসছে নির্বাচনে ইউপি সদস্য প্রার্থী হন। তার বিরুদ্ধে এলাকার নিরীহ মানুষকে হয়রানিসহ নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। স্মৃতিসৌধে জুতা নিয়ে ফটোসেশন করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান এলাকার সচেতন মহল।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হারুন অর-রশিদ বলেন, জুতা পায়ে স্মৃতিসৌধে উপরে উঠা এটা মুক্তিযোদ্ধা এবং শহিদদের জন্য অপমান। যারা এ কাজগুলো করেছেন আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন বলেন, আজকে উপজেলায় মনোনয়ন যাচাই বাছাই করা হয়েছে। এ উপলক্ষে চেয়ারম্যান এবং মেম্বার প্রার্থীরা উপজেলায় এসেছেন। অনেকেই স্মৃতিসৌধে দাড়িয়ে ছবি তুলেছেন। আসলে আমি বুঝতে পারিনি, জুতা পায়ে ছবি উঠানো আমার ভুল হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিশেক দাস বলেন, আজকে উপজেলায় ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী প্রার্থীরা এসেছেন, অনেক লোকজনের জমায়েত হয়েছে। কারা শহিদ মিনাওে উটেছে আমরা তা দেখি নাই। যারা জুতা পায়ে স্মৃতিসৌধে উঠে ফটোসেশন করেছে তারা শাহিদদেও অপমান করেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি এবং রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বিষয়টি নিয়ে অবগত করবো।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page