নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লা বরুড়া উপজেলার সমেষপুর এলাকার একটি মাদ্রাসার স্টোর রুম থেকে ১১ বছর বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ওই মাদ্রাসার বাবুচিং জাহাঙ্গীর গাজীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৩০) ডিসেম্বর চাঁদপুর জেলা সদর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
শুক্রবার সকালে বরুড়া উপজেলার ভাউকসার ইউনিয়নের সমেষপুর মারকাজুল তালিমুওয়াজ তারবিয়াহ কওমি মাদ্রাসার স্টোর রুম থেকে সিয়াম নামে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। সে মাদ্রাসাটির চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। শিশুটি মাদরাসার আবাসিক ভবনেই থাকত।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরুড়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম। তিনি বলেন, শিশু সিয়ামের লাশ উদ্ধারের পরদিন তার বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলার পর আমরা অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর গাজীকে চাঁদপুর জেলা সদর থেকে গ্রেফতার করেছি। সে পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার সন্ধার পর থেকে সিয়ামকে পাওয়া যাচ্ছেনা বলে মাদরাসার কর্তৃপক্ষ তার বাবাকে মুঠোফোন জানানো হয়। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে খুঁজাখুঁজির জন্য মাইকিং করা হয়। বিষয়টি বরুড়া থানায়ও অবগত করা হয়। নিখোঁজের ৩ দিন পর শুক্রবার সকালে মাদরাসার স্টোর রুম থেকে দুর্গন্ধ বের হলে পরে সেখানের মেঝেতে শিশু সিয়ামের লাশটি পাওয়া যায়।
শিশুটির মামা হেদায়েতুল্লাহ বলেন, মাদ্রাসা থেকে জানানো হয়, সিয়ামকে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপরেই পরিবারের সবাই পাগলপারা হয়ে সিয়ামকে অনেক খুঁজাখুঁজি করা হয়। গত ৩ মাস আগে সিয়ামের খালার সাথে ওই মাদরাসার বাবুর্চি জাহাঙ্গীরের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এই জেরেই সিয়ামকে সে মেরে চলে যায়। যেদিন থেকে সিয়ামে পাওয়া যাচ্ছিলনা সেদিন থেকে এই বাবুর্চি জাহাঙ্গীর মাদরাসা থেকে উধাও হয়ে যায়। সেই সিয়ামকে হত্যা করেছে। আমরা তার ফাঁসি চাই।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page