মোঃ জহিরুল হক বাবু।।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এম.পি বলেছেন, করোনা পরিস্থিতিতে যে সুযোগ এসেছে তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে শিক্ষার্থীদের জীবনমূখি জ্ঞানের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাসী হয়ে দেশ ও জাতি গঠনে কাজ করার জন্য উপযোগী করে গড়তে হবে।
করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক মূল্যবোধ, জনস্বাস্থ্য সহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা,খাদ্য উৎপাদন, সুসম খাদ্য গ্রহণ,তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের দক্ষতা সহ মানসিকতার পরিবর্তনের যে সুযোগ এসেছে তা শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। সমাজে এখনো রাজনীতিবিদদের চেয়ে শিক্ষকদের গুরুত্ব বেশি। করোনা পরবর্তী সামাজিক পরিবর্তনে শিক্ষদের নেতৃত্ব দিতে হবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর নতুন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানমূখি করতে যতটুকু ছাড়ের প্রয়োজন উন্মুক্ত করে দিতে হবে। অনলাইনে শতভাগ পাঠদান পৃথিবীর কোন দেশে সম্ভব হয়নি। আমরাও হয়ত শতভাগ সফল হইনি। তবে এতে সবারই দক্ষতা বেড়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড মিলনায়তনে আয়োজিত কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের আওতাধীন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগণের সাথে কোভিড-১৯ পরবর্তী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এম.পি এসব কথা বলেন।
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মো.আবদুস ছালামের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো.শাহাদাত হোসেন, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. রুহুল আমিন ভূইয়া,কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো.জামাল নাসের, চাঁদপুর পুরান বাজার ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, ফেনী জেলা শিক্ষা অফিসার কাজী সলিমুল্লাহ, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজনীন, সদর দক্ষিন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো.শাহজালাল প্রমুখ। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সমাপনী বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবোর্ড সচিব প্রফেসর নূর মোহাম্মদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপ-কলেজ পরিদর্শক বিজন চক্রবতী ও উপ-বিদ্যালয় পরিদর্শক মো.কামরুজ্জামান।
এদিকে,মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষা কর্মকর্তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পক্ষে মত দেন। তারা বলেন,দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা ঘরবন্ধি হয়ে বিষন্নতায় ভুগছে। অনলাইনে শহরের শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করতে পারলেও গ্রামের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে রয়েছেন। ফলপ্রসু শিক্ষার জন্য সরাসরি ক্লাসের বিকল্প নেই। শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানে আসতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বোচ্চ সুরক্ষার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে বক্তারা জানান।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page