আক্কাস আল মাহমুদ হৃদয়।।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বাকশীমূল ইউনিয়নের শ্রীমন্তপুর এলাকায় রবিউল ইসলাম (১৮) নামের এক দোকানের কর্মচারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শ্রীমন্তপুর-আনন্দপুর রাস্তার পাশে ফরিদ উদ্দিনের ঝোপঝাড় জায়গা থেকে রবিউলের গলাকাটা মরহদেহ উদ্ধার করে বুড়িচং থানা পুলিশ।
বুড়িচং থানার ওসি আজিজুল হক ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহতের বাড়ি বাকশীমূল ইউনিয়নের পাল্টিরাজাপুর, তার পিতার নাম খোরশেদ আলম।
পরিবারের সূত্রে জানায়, রবিউল ইসলাম কুমিল্লা ইপিজেড সংলগ্ন এলাকার আজমীর স্টোর দোকানের কর্মচারী ছিলেন। রবিউল ইসলাম শনিবার রাত ৮টার সময় আজমীর স্টোরের স্বত্বাধিকারী বাহারের নিকট থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে আসার পথে উক্ত ঘটনাটি ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, রবিউল অনেক বছর ধরে কুমিল্লা ইপিজেড সংলগ্ন এলাকা আজমীর স্টোর বাহারের দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করে আসছে। তিন মাস আগে দোকানের মালিক বাহার এর সাথে বকেয়া টাকা নিয়ে বিছুটা ঝামেলা ছিলো।
অপর দিকে রবিউল বিয়ে করে বাকশীমূল গ্রামের মনিরুল ইসলামের মেয়ে সানজিদা আক্তারকে। বিয়ে করার পরে রবিউল জানতে পারে তার স্ত্রীর চোখ সহ বিভিন্ন সমস্যা ছিলো। তাই তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য ছিলো।
এ বিষয়কে কেন্দ্র করে রবিউল শশুড় মনিরুল ইসলাম বুড়িচং থানায় অভিযোগ করে। নিহতের পরিবার রবিউলের দোকানের মালিক ও শশুড় বাড়ির লোকজন এ হত্যাকান্ডের সাথে রয়েছে বলে দাবী করেন।
এ বিষয় বুড়িচং থানার এসআই লিটন ঘোষ, এসআই আরিফুল গিয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে মরদেহে একাধিক আঘাতের চিহৃ ও গলাকাটা দেখতে পায় এবং ঘটনার একটু দূরে একজোড়া জুতা পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে বুড়িচং থানার ওসি আজিজুল হক জানান, আমি সরেজমিনে গিয়েছি। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে এবং আইনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page