০৫:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে ওমানে প্রবাসীর আত্মহত্যা

  • তারিখ : ১০:৫৪:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
  • 146

স্টাফ রিপোর্টার।।
স্ত্রীকে লাইভে রেখে রুমন নামের এক প্রবাসী আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার (২৬ জুলাই) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টার দিকে ওমানের সালালাহ এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত রুমনের ভায়রা ওবায়দুল হক। রুমনের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের ইশানচন্দ্র গ্রামে।

জানা যায়, ৯ বছর আগে পারিবারিক পছন্দে খালাত বোনের সঙ্গে রুমনের বিয়ে হয়। বিয়ের চার মাস পর রুমন ওমান চলে যান। তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। শনিবার রুমন স্ত্রীর সঙ্গে লাইভ ভিডিও কলে একটি ভিডিও নিয়ে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে রুমন স্ত্রীকে লাইভে রেখেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

রুমনের স্ত্রী পান্না আক্তার বলেন, আমাকে ভিডিও কলে রেখে আত্মহত্যা করছে দেখে লাইভ কল কেটে একই ফ্যাক্টরিতে কাজ করা আমার মামাত বোনের জামাই ওবায়দুল হককে বিষয়টি জানাই। তিনি গিয়ে দেখেন স্বামী ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছেন।

রুমনের মা বলেন, আমি শখ করে বোনের মেয়েকে পছন্দ করে বিয়ে করাই। বিয়ের পর থেকে তারা আলাদা থাকে। আমার খোঁজখবর রাখত না। লোক মারফত জানতে পারি আমার পুত্রবধূ পরকীয়ায় জড়িয়ে গেছে। যদি এই কারণে আমার ছেলে আত্মহত্যা করে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

নিহতের ভাই আবদুল মমিন জানায়, বিয়ের পর ভাই শ্বশুরবাড়িতে বসবাস শুরু করে। ভাই প্রবাসে থাকার সুবাদে ভাবি পান্না বেগম স্থানীয় পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। তখন দলীয় দাপটের কারণে আমরা এ বিষয়ে কোনো উচ্চবাচ্য করতে পারিনি।

প্রবাস থেকে নিহতের ভায়রা ওবায়দুল হক জানান, ফুফাত শ্যালিকা পান্নার ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি- একটি টিনশেড ঘরে রুমনের লাশ ঝুলছে। তাৎক্ষণিক খবরটি দেশে জানাই।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে ওমানে প্রবাসীর আত্মহত্যা

তারিখ : ১০:৫৪:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার।।
স্ত্রীকে লাইভে রেখে রুমন নামের এক প্রবাসী আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার (২৬ জুলাই) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টার দিকে ওমানের সালালাহ এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত রুমনের ভায়রা ওবায়দুল হক। রুমনের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের ইশানচন্দ্র গ্রামে।

জানা যায়, ৯ বছর আগে পারিবারিক পছন্দে খালাত বোনের সঙ্গে রুমনের বিয়ে হয়। বিয়ের চার মাস পর রুমন ওমান চলে যান। তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। শনিবার রুমন স্ত্রীর সঙ্গে লাইভ ভিডিও কলে একটি ভিডিও নিয়ে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে রুমন স্ত্রীকে লাইভে রেখেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

রুমনের স্ত্রী পান্না আক্তার বলেন, আমাকে ভিডিও কলে রেখে আত্মহত্যা করছে দেখে লাইভ কল কেটে একই ফ্যাক্টরিতে কাজ করা আমার মামাত বোনের জামাই ওবায়দুল হককে বিষয়টি জানাই। তিনি গিয়ে দেখেন স্বামী ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছেন।

রুমনের মা বলেন, আমি শখ করে বোনের মেয়েকে পছন্দ করে বিয়ে করাই। বিয়ের পর থেকে তারা আলাদা থাকে। আমার খোঁজখবর রাখত না। লোক মারফত জানতে পারি আমার পুত্রবধূ পরকীয়ায় জড়িয়ে গেছে। যদি এই কারণে আমার ছেলে আত্মহত্যা করে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

নিহতের ভাই আবদুল মমিন জানায়, বিয়ের পর ভাই শ্বশুরবাড়িতে বসবাস শুরু করে। ভাই প্রবাসে থাকার সুবাদে ভাবি পান্না বেগম স্থানীয় পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। তখন দলীয় দাপটের কারণে আমরা এ বিষয়ে কোনো উচ্চবাচ্য করতে পারিনি।

প্রবাস থেকে নিহতের ভায়রা ওবায়দুল হক জানান, ফুফাত শ্যালিকা পান্নার ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি- একটি টিনশেড ঘরে রুমনের লাশ ঝুলছে। তাৎক্ষণিক খবরটি দেশে জানাই।