০৯:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জীবনের বাকি সময়টা কুমিল্লা-৬ আসনের নেতাকর্মীদের সঙ্গেই থাকতে চাই -হাজী ইয়াছিন বুড়িচংয়ে যৌতুকের দাবিতে প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ; আটক ২ কুবির দত্ত হলে প্রথমবারের মতো আন্তঃহল বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন সংবাদ প্রকাশে নির্ভীক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির এক যুগ শিশুদের নিয়ে কুবি রোটারেক্ট ক্লাবের ‘পুষ্পায়ন’ কর্মসূচি কুমিল্লায় বই মেলায় অষ্টম দিনে কবিতা, আবৃত্তি ও সংগীতে প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক আয়োজন কুমিল্লায় মক্কা হসপিটালের শুভ উদ্বোধন খালেদা জিয়ার জন্য কালিরবাজারে দোয়া ও পথ সভা; ধানের শীষ নিয়েই নির্বাচন করব- হাজী ইয়াছিন ১৭ তম কুমিল্লা মিডিয়া টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে জার্নালিষ্ট গ্লাডিয়েটরসের জয় বর্ণাঢ্য আয়োজনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘নবান্ন উৎসব ১৪৩২’

বুড়িচংয়ে যৌতুকের দাবিতে প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ; আটক ২

  • তারিখ : ০৬:০৪:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫
  • 399

জহিরুল হক বাবু।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে ঘটনাটি আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

নিহত গৃহবধূ সাদিয়া আক্তার (২২) বুড়িচং উপজেলার বাকশিমুল ইউনিয়নের উত্তর কোদালিয়া গ্রামের রেজাউল হোসেনের মেয়ে।

নিহতের পরিবার জানায়, গত ৫ ডিসেম্বর শুক্রবার সাদিয়া তার দাদার কুলখানির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাবার বাড়িতে আসেন। দুপুরে খাবারের সময় শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হয়ে তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। একপর্যায়ে তাকে জোরপূর্বক সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।

পরিবারের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িতে নেওয়ার পর যৌতুকের দাবিতে সাদিয়াকে পুনরায় শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয় এবং জোরপূর্বক বিষপানে বাধ্য করা হয়। পরে বিকেল ৫টার দিকে স্বজনদের জানানো হয়, তিনি বিষপান করেছেন এবং তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে রাত ৯টার দিকে চান্দিনায় পৌঁছালে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সংবাদ জানাজানি হলে দেবর ও শ্বশুর পালিয়ে যান বলে অভিযোগ করে পরিবার।

এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে বুড়িচং থানায় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় স্বামীর ছোট ভাই রাব্বি হোসেন (২৪)-কে প্রধান আসামি করে মোট ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন শ্বশুর মোস্তফা (৬০), শাশুড়ি রহিমা খাতুন (৫০), স্বামীর বোন আমেনা খাতুন (২৬) ও সোনালী আক্তার (২০) এবং স্বামী হাবিবুর রহমান (২৮)।

নিহতের মা রুবি আক্তার বলেন, প্রায় দুই বছর আগে আমার মেয়ের সঙ্গে হাবিবের বিয়ে হয়। তাদের আট মাস বয়সী একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। বিয়ের কিছুদিন পর স্বামী প্রবাসে চলে গেলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে। পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

বুড়িচং থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রাকিবুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ইতোমধ্যে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।

error: Content is protected !!

বুড়িচংয়ে যৌতুকের দাবিতে প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ; আটক ২

তারিখ : ০৬:০৪:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

জহিরুল হক বাবু।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে ঘটনাটি আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

নিহত গৃহবধূ সাদিয়া আক্তার (২২) বুড়িচং উপজেলার বাকশিমুল ইউনিয়নের উত্তর কোদালিয়া গ্রামের রেজাউল হোসেনের মেয়ে।

নিহতের পরিবার জানায়, গত ৫ ডিসেম্বর শুক্রবার সাদিয়া তার দাদার কুলখানির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাবার বাড়িতে আসেন। দুপুরে খাবারের সময় শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হয়ে তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। একপর্যায়ে তাকে জোরপূর্বক সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।

পরিবারের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িতে নেওয়ার পর যৌতুকের দাবিতে সাদিয়াকে পুনরায় শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয় এবং জোরপূর্বক বিষপানে বাধ্য করা হয়। পরে বিকেল ৫টার দিকে স্বজনদের জানানো হয়, তিনি বিষপান করেছেন এবং তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে রাত ৯টার দিকে চান্দিনায় পৌঁছালে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সংবাদ জানাজানি হলে দেবর ও শ্বশুর পালিয়ে যান বলে অভিযোগ করে পরিবার।

এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে বুড়িচং থানায় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় স্বামীর ছোট ভাই রাব্বি হোসেন (২৪)-কে প্রধান আসামি করে মোট ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন শ্বশুর মোস্তফা (৬০), শাশুড়ি রহিমা খাতুন (৫০), স্বামীর বোন আমেনা খাতুন (২৬) ও সোনালী আক্তার (২০) এবং স্বামী হাবিবুর রহমান (২৮)।

নিহতের মা রুবি আক্তার বলেন, প্রায় দুই বছর আগে আমার মেয়ের সঙ্গে হাবিবের বিয়ে হয়। তাদের আট মাস বয়সী একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। বিয়ের কিছুদিন পর স্বামী প্রবাসে চলে গেলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে। পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

বুড়িচং থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রাকিবুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ইতোমধ্যে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।