মোঃ জহিরুল হক বাবু।।
কুমিল্লায় মিথ্যা মাদক মামলা দিয়ে ফাঁসানোর প্রতিবাদে ও প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার মধ্যম মাঝিগাছা যুবসমাজের উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, মধ্যম মাঝিগাছা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মোঃ সুমন মিয়া। তিনি বলেন, আমি পেশায় একজন রেন্টেকার ব্যবসায়ী। আমি দীর্ঘদিন যাবত এ ব্যবসা করে আসছি। গত ২১ জানুয়ারী সন্ধ্যায় আমি বাড়ী থেকে গাড়ী যোগে কুমিল্লা শহরে যাওয়ার সময় চানপুর ব্রীজ এলাকায় র্যাব আমাকে আটক করে। কারন হিসেবে জানতে পারি আমার বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতয়ালী থানায় একটি মাদক মামলা হয়েছে।
গত ১৮ জানুয়ারী নন্দিরবাজার এলাকা থেকে ৫০ কেজি গাঁজাসহ কালিকাপুর গ্রামে আরমান নামে এক ব্যাক্তিকে র্যাব আটক করলে সে আমার নাম বলে। পরদিন ২২ জানুয়ারী আমাকে কুমিল্লা জেলখানায় পাঠানো হয়। আমি জেলখানায় গিয়ে উপরোক্ত আরমানের সাথে কথা বলি। আরমান জানায় সে আগে কখনো আমাকে দেখেনি কিংবা আমাকে চিনেও না।
আমাকে মিথ্যা মামলায় কোন আসামী করা হলো এ বিষয়ে আরমানকে জিজ্ঞেস করলে আরমান জানায়, পাঁচথূবী বরজলা গ্রামের মোঃ সিদ্দিক মিয়ার পুত্র মোঃ শাহীন ও জহির হোসেন, জলিল মিয়ার পুত্র মোঃ হান্নান, বামুইল গ্রামের মোহাম্মদ আলীর পুত্র মোঃ রবিউল হোসেন ও কুমিল্লা ফৌজদারী টিএন্ডটি গলি মন্দিরের সামনের বাসার পলাশ প্রকাশ্যে দাদা তাঁকে মোটা অংঙ্কের টাকার লোভ দেখিয়ে গাঁজা পাঁচারের জন্য বলে। এবং রাস্তায় কোথাও র্যাব পুলিশ ধরলে সে যেন আমার নাম বলে, তাহলে পুলিশ, র্যাব তাঁকে ছেড়ে দিবে। তাই আরমান র্যাবের হাতে আটক হওয়ার পর র্যাবের কাছে আমার নাম বলে দেয়।
আমি ২০১৬ সাল থেকে অত্র অঞ্চলে মাদক প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছি, ইতোমধ্যে আমি মাদক বিরোধী অনেক অনুষ্ঠান করেছি। অতীতে আমার বিরুদ্ধে মাদক মামলা তো দূরের কথা কোন জিডি পর্যন্ত নেই। আমি রেন্টেকারের ব্যবসা করি, আমার গাড়ী ভাড়া নিয়ে পুলিশ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে যাতায়ত করে। আমি যদি মাদকের সাথে জড়িত থাকতাম তা হলে মামলা হওয়ার পরপরই আমি পালিয়ে যেতাম। তাছাড়া যেই প্রাইভেটকারটি আটক হয়েছে, তা আমার গাড়ী না, আমার মালিকীয়া গাড়ীও যদি হতো তবে ধরে নিতেন আমি মাদক ব্যবসায়ী।
প্রকৃত পক্ষে ওই মাদক ব্যবসায়ীরা আমাকে ফাঁসানোর জন্য পরিকল্পিত ভাবে এ কাজটি করেছি। ইতোমধ্যে জেলে থাকা আরমান কুমিল্লা কোতয়ালী থানা পুলিশের কাছে আমি যে নির্দোশ এ বিষয়ে ১৬১ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
গ্রামবাসীদের উদ্যোশে তিনি বলেন, আপনারা আমাকে দীর্ঘদিন ধরে চিনেন, আমি মাদকের সাথে জড়িত আছি কি-না আপনারা ভালো করে যানেন, আজ এখানে এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ, যুব সমাজের লোকজন আছেন।
আমি কুমিল্লা কোতয়ালী থানা পুলিশকে অনুরোধ করবো প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে আমাকে ফাঁসানো মামলা থেকে অব্যহৃতি দিন। আমি আমার পরিবার নিয়ে আগামী দিনে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে চাই। দয়া করে আমার জীবনটা নষ্ট করবেন না।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন মোঃ রেয়াছত আলী সর্দার, আনার হোসেন, মিজানুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, জহির মিয়া, বিল্লাল মিয়া, মাসুক মিয়া, তাজু মিয়া, রিপন মিয়াসহ আরো অনেকে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page