০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুবিতে প্রথমবারের মতো সিরাত পাঠ প্রতিযোগিতা ও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল: ১ লাখ ৬৭ হাজার থেকে কমে ২ হাজার ৬০০ টাকা কুমিল্লার মুরাদনগরে অপহরণের পর যুবক খুন, ৩৬ দিন পর কঙ্কাল উদ্ধার কুমিল্লায় আ. লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার কুমিল্লার দেবিদ্বারে পানিতে ডুবে একই পরিবারের দুই শিশুর মৃত্যু কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ঝটিকা মিছিল, আটক ৫ বুড়িচংয়ে পূজা উদযাপনে থাকবে সেনাবাহিনী-পুলিশের নিরাপত্তা বলয় বুড়িচংয়ে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ৫ লক্ষ টাকার ওষুধ বিতরণ ইমোর মাধ্যমে প্রবাসীর সঙ্গে পরিচয়, কুমিল্লার দুলাল হত্যার পেছনের মূল কারণ কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে চার গাড়ির সংঘর্ষে ২ জন নিহত, আহত ৩

কুমিল্লায় ছাত্রদল নেতা হত্যা; আ.লীগ নেতাসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন

  • তারিখ : ০৮:৫৯:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪
  • 27

নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লায় ছাত্রদল নেতা হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় ১১ আসামি উপস্থিত থাকলেও পলাতক ছিলেন তিন জন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক নাসরিন জাহান এই রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন কালিবাজার এলাকার হাজী মো. আব্দুর রহমানের ছেলে, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. সেকান্দর আলী, আব্দুল লতিফের ছেলে ও যুবলীগ নেতা মো. শাহীন, আব্দুস সাত্তারের ছেলে ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা মো. সাদ্দাম হোসেন, মো. মোজাম্মেল হক ওরফে মুসার ছেলে মো. ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, আহম আলীর ছেলে মফিজ ভান্ডারী, জয়নাল মাস্টারের ছেলে মো. কাওছার (পলাতক), মনির হোসেনের ছেলে মো. রিয়াজ রিয়াদ (পলাতক), শফিক মেম্বারের ছেলে বিল্লাল (পলাতক), আব্দুর রহমান ডিলারের ছেলে মো. কামাল হোসেন, হারুন অর রশিদের ছেলে আব্দুল কাদের, আব্দুল ওহেদের ছেলে মো. ইব্রাহীম খলিল, আশ্রাফ আলীর ছেলে আনোয়ার, ইমদাদুল হক জুরুর ছেলে মো. মেহেদী হাসান রুবেল এবং হাজী সিরাজুল ইসলামের ছেলে জয়নাল আবেদীন।
আসামিদের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও পাঁচ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

নিহত ছাত্রদল নেতা মো. পারভেজ হোসেন কালিরবাজার ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন।

আইনজীবী শরীফুল জানান, ২০২০ সালের ১০ জুন সন্ধ্যায় কমলাপুর বাজারের দক্ষিণ পাশে পারভেজকে আটক ও মারধর করে সিকান্দার চেয়ারম্যান ও তার লোকজন। এতে সে গুরুতর আহত হয় এবং একপর্যায়ে মারা যায়।

এ ঘটনায় কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে ১৫০ অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে নিহতের মাও বাদী হয়ে মামলা করেন। এ ঘটনা তদন্ত করে সিআইডি ১৪ জনকে আসামি করে প্রতিবেদন দেয়। পরে এক আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি ও ৩০ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দেন।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় ছাত্রদল নেতা হত্যা; আ.লীগ নেতাসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন

তারিখ : ০৮:৫৯:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪

নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লায় ছাত্রদল নেতা হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় ১১ আসামি উপস্থিত থাকলেও পলাতক ছিলেন তিন জন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক নাসরিন জাহান এই রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন কালিবাজার এলাকার হাজী মো. আব্দুর রহমানের ছেলে, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. সেকান্দর আলী, আব্দুল লতিফের ছেলে ও যুবলীগ নেতা মো. শাহীন, আব্দুস সাত্তারের ছেলে ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা মো. সাদ্দাম হোসেন, মো. মোজাম্মেল হক ওরফে মুসার ছেলে মো. ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, আহম আলীর ছেলে মফিজ ভান্ডারী, জয়নাল মাস্টারের ছেলে মো. কাওছার (পলাতক), মনির হোসেনের ছেলে মো. রিয়াজ রিয়াদ (পলাতক), শফিক মেম্বারের ছেলে বিল্লাল (পলাতক), আব্দুর রহমান ডিলারের ছেলে মো. কামাল হোসেন, হারুন অর রশিদের ছেলে আব্দুল কাদের, আব্দুল ওহেদের ছেলে মো. ইব্রাহীম খলিল, আশ্রাফ আলীর ছেলে আনোয়ার, ইমদাদুল হক জুরুর ছেলে মো. মেহেদী হাসান রুবেল এবং হাজী সিরাজুল ইসলামের ছেলে জয়নাল আবেদীন।
আসামিদের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও পাঁচ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

নিহত ছাত্রদল নেতা মো. পারভেজ হোসেন কালিরবাজার ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন।

আইনজীবী শরীফুল জানান, ২০২০ সালের ১০ জুন সন্ধ্যায় কমলাপুর বাজারের দক্ষিণ পাশে পারভেজকে আটক ও মারধর করে সিকান্দার চেয়ারম্যান ও তার লোকজন। এতে সে গুরুতর আহত হয় এবং একপর্যায়ে মারা যায়।

এ ঘটনায় কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে ১৫০ অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে নিহতের মাও বাদী হয়ে মামলা করেন। এ ঘটনা তদন্ত করে সিআইডি ১৪ জনকে আসামি করে প্রতিবেদন দেয়। পরে এক আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি ও ৩০ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দেন।