০৬:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সামিরা আজিমের গাড়িবহরে হামলা; দুই পক্ষে আহত ৩৫ কুমিল্লার বটবৃক্ষ ইয়াছিনকে সরাবেন না-তারেক রহমানের প্রতি নির্যাতিত পরিবারের আবেদন কুমিল্লায় নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে শিক্ষার্থীদের অঙ্গীকার চৌদ্দগ্রামের চিওড়া ইউনিয়ন ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত দেবিদ্বারে জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী সাইফুল ইসলাম শহীদের জনসংযোগ বিএনপির মধ্যে বিভাজন স্বার্থান্বেষী মহলের দৌরাত্ম্যের কারণে – রশিদ আহমেদ হোসাইনী কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল; ৪৫ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাল মৃত্তিকায় শীতের নির্মল ছোঁয়া বিভিন্ন স্থানে বিড়ালের চোখ তুলে নেয়া ও প্রাণি নির্যাতনের প্রতিবাদে কুমিল্লায় মানববন্ধন

কুমিল্লায় ছাত্রদল নেতা হত্যা; আ.লীগ নেতাসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন

  • তারিখ : ০৮:৫৯:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪
  • 60

নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লায় ছাত্রদল নেতা হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় ১১ আসামি উপস্থিত থাকলেও পলাতক ছিলেন তিন জন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক নাসরিন জাহান এই রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন কালিবাজার এলাকার হাজী মো. আব্দুর রহমানের ছেলে, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. সেকান্দর আলী, আব্দুল লতিফের ছেলে ও যুবলীগ নেতা মো. শাহীন, আব্দুস সাত্তারের ছেলে ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা মো. সাদ্দাম হোসেন, মো. মোজাম্মেল হক ওরফে মুসার ছেলে মো. ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, আহম আলীর ছেলে মফিজ ভান্ডারী, জয়নাল মাস্টারের ছেলে মো. কাওছার (পলাতক), মনির হোসেনের ছেলে মো. রিয়াজ রিয়াদ (পলাতক), শফিক মেম্বারের ছেলে বিল্লাল (পলাতক), আব্দুর রহমান ডিলারের ছেলে মো. কামাল হোসেন, হারুন অর রশিদের ছেলে আব্দুল কাদের, আব্দুল ওহেদের ছেলে মো. ইব্রাহীম খলিল, আশ্রাফ আলীর ছেলে আনোয়ার, ইমদাদুল হক জুরুর ছেলে মো. মেহেদী হাসান রুবেল এবং হাজী সিরাজুল ইসলামের ছেলে জয়নাল আবেদীন।
আসামিদের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও পাঁচ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

নিহত ছাত্রদল নেতা মো. পারভেজ হোসেন কালিরবাজার ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন।

আইনজীবী শরীফুল জানান, ২০২০ সালের ১০ জুন সন্ধ্যায় কমলাপুর বাজারের দক্ষিণ পাশে পারভেজকে আটক ও মারধর করে সিকান্দার চেয়ারম্যান ও তার লোকজন। এতে সে গুরুতর আহত হয় এবং একপর্যায়ে মারা যায়।

এ ঘটনায় কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে ১৫০ অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে নিহতের মাও বাদী হয়ে মামলা করেন। এ ঘটনা তদন্ত করে সিআইডি ১৪ জনকে আসামি করে প্রতিবেদন দেয়। পরে এক আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি ও ৩০ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দেন।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় ছাত্রদল নেতা হত্যা; আ.লীগ নেতাসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন

তারিখ : ০৮:৫৯:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪

নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লায় ছাত্রদল নেতা হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় ১১ আসামি উপস্থিত থাকলেও পলাতক ছিলেন তিন জন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক নাসরিন জাহান এই রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন কালিবাজার এলাকার হাজী মো. আব্দুর রহমানের ছেলে, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. সেকান্দর আলী, আব্দুল লতিফের ছেলে ও যুবলীগ নেতা মো. শাহীন, আব্দুস সাত্তারের ছেলে ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা মো. সাদ্দাম হোসেন, মো. মোজাম্মেল হক ওরফে মুসার ছেলে মো. ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, আহম আলীর ছেলে মফিজ ভান্ডারী, জয়নাল মাস্টারের ছেলে মো. কাওছার (পলাতক), মনির হোসেনের ছেলে মো. রিয়াজ রিয়াদ (পলাতক), শফিক মেম্বারের ছেলে বিল্লাল (পলাতক), আব্দুর রহমান ডিলারের ছেলে মো. কামাল হোসেন, হারুন অর রশিদের ছেলে আব্দুল কাদের, আব্দুল ওহেদের ছেলে মো. ইব্রাহীম খলিল, আশ্রাফ আলীর ছেলে আনোয়ার, ইমদাদুল হক জুরুর ছেলে মো. মেহেদী হাসান রুবেল এবং হাজী সিরাজুল ইসলামের ছেলে জয়নাল আবেদীন।
আসামিদের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও পাঁচ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

নিহত ছাত্রদল নেতা মো. পারভেজ হোসেন কালিরবাজার ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন।

আইনজীবী শরীফুল জানান, ২০২০ সালের ১০ জুন সন্ধ্যায় কমলাপুর বাজারের দক্ষিণ পাশে পারভেজকে আটক ও মারধর করে সিকান্দার চেয়ারম্যান ও তার লোকজন। এতে সে গুরুতর আহত হয় এবং একপর্যায়ে মারা যায়।

এ ঘটনায় কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে ১৫০ অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে নিহতের মাও বাদী হয়ে মামলা করেন। এ ঘটনা তদন্ত করে সিআইডি ১৪ জনকে আসামি করে প্রতিবেদন দেয়। পরে এক আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি ও ৩০ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দেন।