মনোয়ার হোসেন।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ভ্রাম্যমান আদালতের পৃথক অভিযানে কৃষি ও আবাদি জমির টপসয়েল কাটার দায়ে দুই মাটি বিক্রেতাকে মোট ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় এক মাটি ব্যবসায়ীকে আটক করা হয় এবং মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত একটি স্কেভেটর (ভেকু) জব্দ করা হয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকাল থেকে রাত এবং রবিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে পৃথক দুটি অভিযানে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাফকাত আলীর নেতৃত্বে এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানে থানা পুলিশের পৃথক টিম সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, রবিবার দুপুর আনুমানিক দুইটার দিকে সুনির্দিষ্ট তথ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের পন্নারা, বানুশ্বর ও কনকাপৈত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় কৃষি জমির টপসয়েল কেটে অন্যত্র বিক্রির দায়ে “বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০”-এর ১৫ ধারায় এক মাটি ব্যবসায়ীকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে জরিমানার অর্থ আদায় করা হয়।
অপরদিকে, এর আগের দিন শনিবার বিকাল চারটা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের তেলিগ্রাম ও চিওড়া এলাকায় পৃথক অভিযানে অবৈধভাবে কৃষি জমির মাটি কাটার অপরাধে জমির মালিক ও এক মাটি বিক্রেতাকে একই আইনের ১৫ ধারায় মোট ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে অভিযুক্ত মাটি ব্যবসায়ীকে আটক করা হয় এবং জরিমানা আদায়ের পর মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত একটি স্কেভেটর (ভেকু) জব্দ করা হয়।
রবিবার বিকালে অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাফকাত আলী জানান, অবৈধভাবে ফসলি জমির মাটি কাটা রোধ, কৃষি জমি ও পরিবেশ সুরক্ষা এবং জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে অব্যাহত থাকবে।
এ ধরনের অভিযানে মাটি খেকোদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।











