০৯:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়নের দাবিতে চান্দিনা-বাগুর বাসস্ট্যান্ডে মানববন্ধন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে ‘সায়েন্স, স্পিরিচুয়ালিটি অ্যান্ড স্যাংকটিটি’ কনফারেন্স বাঙ্গরায় আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত অফিসের শুভ উদ্বোধন চান্দিনায় সবুজ গাছের চারা হাতে নিয়ে মাদককে লাল কার্ড দেখালো শিক্ষার্থীরা সাহেবাবাদ ডিগ্রি কলেজ; ১৫৩ জনের মধ্যে ১৩৮ জন ফেল; পাসের হার মাত্র ৯.৮০% কুমিল্লা বোর্ডের ৯ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করেনি কেউ কুমিল্লায় খেলতে বের হয়ে পানিতে ডুবে ২ ভাইয়ের মৃত্যু টানা ১৪ বছর কুমিল্লা বোর্ডসেরা সোনার বাংলা কলেজ; শতভাগ পাস, ১৪৮ জন জিপিএ-৫ জিপিএ-৫ পেল কুমিল্লা সোনার বাংলা কলেজের পায়েল ইসলাম; ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়ন না হলে রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধের হুমকি প্রবাসীদের

কুমিল্লায় বাবাকে হত্যার দায়ে ৩ ছেলের ফাঁসির রায়

  • তারিখ : ০৭:০২:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০২৩
  • 34

নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে বাবাকে হত্যার দায়ে তিন ছেলেকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি নুরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে তিন ছেলে, নাতি ও স্বজনেরা মিলে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেন। মামলায় ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। পরে এই মামলায় আটজনের মধ্যে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং বাকিদের খালাস দিয়েছেন আদালত।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বাবা হাজি আব্দুল করিম তিনটি বিয়ে করেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা সবাই তার প্রথম ঘরের সন্তান। দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে দুই মেয়ে জন্মগ্রহণ করে। তাদের অন্যত্র বিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তিনি আবার বিয়ে করেন। তৃতীয় স্ত্রীর ঘরে তিন ছেলে ও এক মেয়ে জন্মগ্রহণ করে। তৃতীয় স্ত্রীর ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে প্রথম স্ত্রীর ছেলে মেয়েদের জায়গা-জমি নিয়ে ঝামেলা হয়। ২০১৩ সালের ২৬ আগস্ট সকালে এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে প্রথম স্ত্রীর সন্তানরা বাবা হাজি আব্দুল করিমের ওপর হামলা করলে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেন তৃতীয় স্ত্রী সাফিয়া বেগম।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—মনোহরগঞ্জ উপজেলার কান্দি এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে মো. ফয়েজ উল্লাহ, মো. অহিদ উল্লাহ ও মো. শহিদ উল্লাহ।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৬ আগস্ট কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার কান্দি এলাকায় জমি লিখে না দেওয়ায় বাবা আব্দুল করিমকে পিটিয়ে হত্যা করেন তাঁর ছেলেরা। এ ঘটনায় নিহত আব্দুল করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী মোসাম্মত সাফিয়া খাতুন বাদী হয়ে তিন ছেলেসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় বাবাকে হত্যার দায়ে ৩ ছেলের ফাঁসির রায়

তারিখ : ০৭:০২:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০২৩

নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে বাবাকে হত্যার দায়ে তিন ছেলেকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি নুরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে তিন ছেলে, নাতি ও স্বজনেরা মিলে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেন। মামলায় ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। পরে এই মামলায় আটজনের মধ্যে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং বাকিদের খালাস দিয়েছেন আদালত।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বাবা হাজি আব্দুল করিম তিনটি বিয়ে করেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা সবাই তার প্রথম ঘরের সন্তান। দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে দুই মেয়ে জন্মগ্রহণ করে। তাদের অন্যত্র বিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তিনি আবার বিয়ে করেন। তৃতীয় স্ত্রীর ঘরে তিন ছেলে ও এক মেয়ে জন্মগ্রহণ করে। তৃতীয় স্ত্রীর ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে প্রথম স্ত্রীর ছেলে মেয়েদের জায়গা-জমি নিয়ে ঝামেলা হয়। ২০১৩ সালের ২৬ আগস্ট সকালে এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে প্রথম স্ত্রীর সন্তানরা বাবা হাজি আব্দুল করিমের ওপর হামলা করলে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেন তৃতীয় স্ত্রী সাফিয়া বেগম।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—মনোহরগঞ্জ উপজেলার কান্দি এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে মো. ফয়েজ উল্লাহ, মো. অহিদ উল্লাহ ও মো. শহিদ উল্লাহ।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৬ আগস্ট কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার কান্দি এলাকায় জমি লিখে না দেওয়ায় বাবা আব্দুল করিমকে পিটিয়ে হত্যা করেন তাঁর ছেলেরা। এ ঘটনায় নিহত আব্দুল করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী মোসাম্মত সাফিয়া খাতুন বাদী হয়ে তিন ছেলেসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।