০২:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় নিখোঁজের একদিন পর কমিশনারের ছেলের মরদেহ উদ্ধার দুই একটা দলের সঙ্গে আলাপ করে দেশের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারেন না -হাসনাত আব্দুল্লাহ কুমিল্লায় অসুস্থ বাবাকে দেখতে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত ধ্রুবতারার রজতজয়ন্তী উদযাপন; অ্যাওয়ার্ড প্রদান ও বিশেষ গীতি-নৃত্যালেখ্য জুলাই যোদ্ধাদের আত্মত্যাগে গণতান্ত্রিক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে -ডা. হারুন আল রশিদ মালদ্বীপে প্রবাসী সাংবাদিকদের সঙ্গে বাংলাদেশ ফোরামের মতবিনিময় সভা কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) আসন পূনর্বিন্যাসে নতুন মেরুকরণ বুড়িচংয়ে সেই যুবদল নেতাকে আবারও কারণ দর্শানোর নোটিশ; জেলা কমিটিকে তলব মানবিক কুমিল্লার ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে চিকিৎসা নিল পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ প্রত্যেক মানুষের সাফল্যের পথ আলাদা -হাসনাত আব্দুল্লাহ

কুমিল্লায় ব্যাতিক্রমধর্মী কোচিং এ প্লাস ক্রিয়েটিভ একাডেমিতে ভর্তির জন্য অভিভাবকদের ভীড়

  • তারিখ : ০৮:৫৯:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • 30

নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লায় এখন কোচিং সেন্টার এর শহর। অলিতে গলিতে গড়ে উঠেছে কয়েক’শ কোচিং সেন্টার। এগুলোর মধ্যে পুরাতন চৌধুরী পাড়ায় অবস্থিত ব্যাতিক্রমধর্মী একটি কোচিং সেন্টার এর কথা পাঠকদের উপকারার্থে জানানোর প্রয়োজনীয়তা বোধ করছি।

প্রথমেই বলে নেই, এই কোচিং সেন্টার এর স্লোগান ” ” আমরা মেধাবী খুঁজি না,মেধাবী তৈরি করি ” — এই লেখাটি দেখেই তাদের সম্পর্কে জানার আগ্রহ জন্মে এবং তাদের আয়োজিত ২৪ সালের বার্ষিক পরীক্ষায় মেধা স্থান অর্জনকারীদের পুরষ্কার প্রদানের দিন আরও কয়েকজন সাথী সংবাদকর্মী সহ গিয়ে উপস্থিত হই ” এ প্লাস ক্রিয়েটিভ একাডেমি” নামের সেই কোচিং সেন্টারে।

পরিচালকের কক্ষে ঢুকেই হতবাক! কুমিল্লা জিলা স্কুল, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ডাবল স্টার পাওয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করা তুখোড় ছাত্র আমার বড় ভাই/বন্ধু মুজিব ভাইকে দেখে।বুঝলাম এই কোচিং সেন্টার ভালো না হয়ে পারে না,আর মুজিব ভাইয়ের পক্ষেই মেধাবী তৈরি করি কথাটা বলা মানায়।ছাত্র ছাত্রীদের কাছে পড়াকে সহজ করে উপস্থাপন করার কাজ উনি ছাত্র জীবন থেকেই করে আসছেন।

কুমিল্লায় জিলা স্কুল, ফয়জুন্নেছা, ইস্পাহানি, ল্যাবরেটরি স্কুলের ভর্তি গাইড ” অংকুর ” তিনিই সর্ব প্রথম প্রকাশ করেন এবং ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।সেই মুজিব ভাইয়ের এ প্লাস ক্রিয়েটিভ একাডেমির কথা আজ সবাইকে জানাব।

কলেজের চাকরি ছেড়ে দিয়ে ২০১৯ সালে রেইসকোর্সে এই কোচিং সেন্টার শুরু করি কয়েকজন অভিভাবকের অনুরোধে। নিজেই পড়াতাম। ৮ জন ৫ ম শ্রেণির ছাত্র ছাত্রী দিয়ে শুরু। এদের জন্যই পরের বছর ষষ্ঠ শ্রেণির ক্লাস শুরু করি।তাদের রেজাল্ট দেখে আরো কিছু ছাত্র ছাত্রী আসে।

৫ ম, ষষ্ঠ দুই ক্লাসে ১৬ জনের মত হয়ে যায়। ‘ ২১ সালে করোনার জন্য কোচিং বন্ধ করে পুরাতন চৌধুরী পাড়ার বাসায় চলে আসি। আর তখনই মিরাকল ঘটে। বাসায় প্রাইভেট পড়তে চলে আসে আশেপাশের ১০ /১২ জন। তাদের দেখাদেখি আরও ১৫/২০ জন চলে আসায় দুই জন মেডিকেল স্টুডেন্ট রাখি আমার সাথে।

এদের সবাই করোনা পরবর্তীতে ভালো রেজাল্ট করায় ছাত্র ছাত্রী বেড়ে যায় এবং আরো কয়েকজন ভালো শিক্ষক জোগাড় করে আবার কোচিং শুরু করি। ১০ জনের বেশি কোন ক্লাসে নেই না। এভাবে আমি আমার সাথে সেরা সব শিক্ষকদের এনে একেবারে ঘরোয়া পরিবেশে হাতে কলমে শিক্ষা দেই। এবং নিয়মিত পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্র ছাত্রীদের অনুশীলনে রাখি।আর এবার আমার ৩০ জনেরও বেশী ছাত্র ছাত্রী নিজ নিজ স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষায় মেধাতালিকায় স্থান করে নিয়েছে। আগামীতে আরো ভালো করার ইচ্ছা আছে।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় ব্যাতিক্রমধর্মী কোচিং এ প্লাস ক্রিয়েটিভ একাডেমিতে ভর্তির জন্য অভিভাবকদের ভীড়

তারিখ : ০৮:৫৯:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লায় এখন কোচিং সেন্টার এর শহর। অলিতে গলিতে গড়ে উঠেছে কয়েক’শ কোচিং সেন্টার। এগুলোর মধ্যে পুরাতন চৌধুরী পাড়ায় অবস্থিত ব্যাতিক্রমধর্মী একটি কোচিং সেন্টার এর কথা পাঠকদের উপকারার্থে জানানোর প্রয়োজনীয়তা বোধ করছি।

প্রথমেই বলে নেই, এই কোচিং সেন্টার এর স্লোগান ” ” আমরা মেধাবী খুঁজি না,মেধাবী তৈরি করি ” — এই লেখাটি দেখেই তাদের সম্পর্কে জানার আগ্রহ জন্মে এবং তাদের আয়োজিত ২৪ সালের বার্ষিক পরীক্ষায় মেধা স্থান অর্জনকারীদের পুরষ্কার প্রদানের দিন আরও কয়েকজন সাথী সংবাদকর্মী সহ গিয়ে উপস্থিত হই ” এ প্লাস ক্রিয়েটিভ একাডেমি” নামের সেই কোচিং সেন্টারে।

পরিচালকের কক্ষে ঢুকেই হতবাক! কুমিল্লা জিলা স্কুল, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ডাবল স্টার পাওয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করা তুখোড় ছাত্র আমার বড় ভাই/বন্ধু মুজিব ভাইকে দেখে।বুঝলাম এই কোচিং সেন্টার ভালো না হয়ে পারে না,আর মুজিব ভাইয়ের পক্ষেই মেধাবী তৈরি করি কথাটা বলা মানায়।ছাত্র ছাত্রীদের কাছে পড়াকে সহজ করে উপস্থাপন করার কাজ উনি ছাত্র জীবন থেকেই করে আসছেন।

কুমিল্লায় জিলা স্কুল, ফয়জুন্নেছা, ইস্পাহানি, ল্যাবরেটরি স্কুলের ভর্তি গাইড ” অংকুর ” তিনিই সর্ব প্রথম প্রকাশ করেন এবং ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।সেই মুজিব ভাইয়ের এ প্লাস ক্রিয়েটিভ একাডেমির কথা আজ সবাইকে জানাব।

কলেজের চাকরি ছেড়ে দিয়ে ২০১৯ সালে রেইসকোর্সে এই কোচিং সেন্টার শুরু করি কয়েকজন অভিভাবকের অনুরোধে। নিজেই পড়াতাম। ৮ জন ৫ ম শ্রেণির ছাত্র ছাত্রী দিয়ে শুরু। এদের জন্যই পরের বছর ষষ্ঠ শ্রেণির ক্লাস শুরু করি।তাদের রেজাল্ট দেখে আরো কিছু ছাত্র ছাত্রী আসে।

৫ ম, ষষ্ঠ দুই ক্লাসে ১৬ জনের মত হয়ে যায়। ‘ ২১ সালে করোনার জন্য কোচিং বন্ধ করে পুরাতন চৌধুরী পাড়ার বাসায় চলে আসি। আর তখনই মিরাকল ঘটে। বাসায় প্রাইভেট পড়তে চলে আসে আশেপাশের ১০ /১২ জন। তাদের দেখাদেখি আরও ১৫/২০ জন চলে আসায় দুই জন মেডিকেল স্টুডেন্ট রাখি আমার সাথে।

এদের সবাই করোনা পরবর্তীতে ভালো রেজাল্ট করায় ছাত্র ছাত্রী বেড়ে যায় এবং আরো কয়েকজন ভালো শিক্ষক জোগাড় করে আবার কোচিং শুরু করি। ১০ জনের বেশি কোন ক্লাসে নেই না। এভাবে আমি আমার সাথে সেরা সব শিক্ষকদের এনে একেবারে ঘরোয়া পরিবেশে হাতে কলমে শিক্ষা দেই। এবং নিয়মিত পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্র ছাত্রীদের অনুশীলনে রাখি।আর এবার আমার ৩০ জনেরও বেশী ছাত্র ছাত্রী নিজ নিজ স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষায় মেধাতালিকায় স্থান করে নিয়েছে। আগামীতে আরো ভালো করার ইচ্ছা আছে।