০২:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বুড়িচংয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল ওহাব নিহত বুড়িচংয়ে হুইলচেয়ার, সেলাই মেশিন ও গৃহ নির্মাণ সামগ্রী বিতরণ করলেন ড. মোবারক হোসেন ধানের শীষের প্রার্থী ড. মোশাররফ হোসেনের পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ শুরু দাউদকান্দিতে নিসচা’র ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন বুড়িচং প্রেসক্লাবের সদস্যদের সাথে নবাগত ওসির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় রেললাইনের পাশ থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার : ৯ আসামি গ্রেফতার কুমিল্লা ইপিজেডে বকেয়া বেতনের দাবিতে নাসা গ্রুপের শ্রমিকদের বিক্ষোভ কুমিল্লায় টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের কর্মবিরতি; দুই ঘণ্টা সেবা বন্ধ নবগঠিত বুড়িচং পৌরসভার মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন : পিআরএ কর্মশালা অনুষ্ঠিত জামায়াত ক্ষমতায় গেলে সাংবাদিকদের স্বাধীন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা হবে: ড. মোবারক হোসেন

কুমিল্লায় মুক্তিযোদ্ধাকে জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছনা, সমালোচনার ঝড়

  • তারিখ : ০৮:২১:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 59
    স্টাফ রিপোর্টার।।
    কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বাতিসা এলাকায় আবদুল হাই কানু নামে এক মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আগস্টের গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত শনিবার নিজ এলাকা লুধিয়ারায় ফিরে আসেন আবদুল হাই কানু। এরপর গতকাল রোববার স্থানীয় কয়েকজন তাঁকে লাঞ্ছনা করে এলাকা থেকে বের করে দেয় বলে জানা গেছে।

    মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছনার ঘটনাটি রোববার দুপুরে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ঘটেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। এ ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন মিলে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে জুতার মালা পরিয়ে এলাকা ছেড়ে যেতে বলছেন।

    এ সময় গ্রামবাসীর কাছে তাঁকে ক্ষমা চাওয়ার জন্যও বলতে শোনা যায়। জুতার মালা পরানো ও এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেওয়ার ১ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

    লাঞ্ছনার ঘটনার বিষয়ে জানতে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।

    মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানু কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সদস্য ও উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি। স্থানীয়রা জানায়, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার প্রথমদিকে শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তাঁর ভালো সম্পর্কের কারণে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন। স্থানীয় এক জামায়াত নেতাকে এলাকা ছাড়া করার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। কিন্তু পরে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির কারণে এলাকায় থাকতে পারেননি কানু। এমনকি হত্যা মামলায় আসামিও হয়েছেন।  

    মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছনার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, ‘রাতে ফেসবুকে আমি এ ধরনের একটি ভিডিও ক্লিপ দেখেছি। এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তবে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

    কয়েকজন মিলে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে জুতার মালা পরান। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়ামুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে লাঞ্ছনায় নেতৃত্ব দেওয়া জামায়াত ইসলামীর সমর্থক বলে জানিয়েছেন স্থানীয় অনেকে।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমির মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় জামায়াতের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। প্রবাসী আবুল হাসেম আমাদের দলের কেউ না। তবে সমর্থক কিংবা অনুসারী হলেও হতে পারে। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।’

    এদিকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছনার ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ জানিয়েছেন অনেকে।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় মুক্তিযোদ্ধাকে জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছনা, সমালোচনার ঝড়

তারিখ : ০৮:২১:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    স্টাফ রিপোর্টার।।
    কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বাতিসা এলাকায় আবদুল হাই কানু নামে এক মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আগস্টের গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত শনিবার নিজ এলাকা লুধিয়ারায় ফিরে আসেন আবদুল হাই কানু। এরপর গতকাল রোববার স্থানীয় কয়েকজন তাঁকে লাঞ্ছনা করে এলাকা থেকে বের করে দেয় বলে জানা গেছে।

    মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছনার ঘটনাটি রোববার দুপুরে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ঘটেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। এ ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন মিলে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে জুতার মালা পরিয়ে এলাকা ছেড়ে যেতে বলছেন।

    এ সময় গ্রামবাসীর কাছে তাঁকে ক্ষমা চাওয়ার জন্যও বলতে শোনা যায়। জুতার মালা পরানো ও এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেওয়ার ১ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

    লাঞ্ছনার ঘটনার বিষয়ে জানতে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।

    মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানু কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সদস্য ও উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি। স্থানীয়রা জানায়, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার প্রথমদিকে শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তাঁর ভালো সম্পর্কের কারণে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন। স্থানীয় এক জামায়াত নেতাকে এলাকা ছাড়া করার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। কিন্তু পরে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির কারণে এলাকায় থাকতে পারেননি কানু। এমনকি হত্যা মামলায় আসামিও হয়েছেন।  

    মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছনার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, ‘রাতে ফেসবুকে আমি এ ধরনের একটি ভিডিও ক্লিপ দেখেছি। এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তবে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

    কয়েকজন মিলে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে জুতার মালা পরান। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়ামুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে লাঞ্ছনায় নেতৃত্ব দেওয়া জামায়াত ইসলামীর সমর্থক বলে জানিয়েছেন স্থানীয় অনেকে।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমির মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় জামায়াতের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। প্রবাসী আবুল হাসেম আমাদের দলের কেউ না। তবে সমর্থক কিংবা অনুসারী হলেও হতে পারে। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।’

    এদিকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছনার ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ জানিয়েছেন অনেকে।