আলমগীর হোসেন।।
বরফ কলের আড়ালে ক্ষতিকর কেমিক্যাল দিয়ে বানানো হচ্ছিল শিশুদের জন্য লোভনীয় আইসক্রিম আইস ললি। সেসব আইসক্রিমে আবার ব্যবহার করা হচ্ছিল কৃত্রিম রং এবং ঘন চিনি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আইসক্রিমের প্যাকেট নকল ভাবে তৈরি করে সেগুলো আবার ব্যবহার করা হয়েছিল ভেজাল আইসক্রিম বিক্রিতে।
কুমিল্লা জেলা বিএসটিআই ও ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে এমন এক ভেজাল আইসক্রিম কারখানা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার হোসেন তলা গ্রামে কাকলি আইসক্রিম ফ্যাক্টরি নামে ফ্যাক্টরির মালিক মোঃ আব্দুর রাজ্জাককে জরিমানা করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। ফ্যাক্টরি থেকে জব্দকৃত ১১ কার্টুন ম্যাংগো আইস ললি, কার্টুন ভেজাল স্পিড ড্রিংকস, রোবট ড্রিংকস ১১ কার্টুন, আইসক্রিম ১০ কার্টুন ধ্বংস করা হয়। এছাড়া কারখানা থেকে শিশুদের জন্য ক্ষতিকর দুই কেজি ঘন চিনি বা সোডিয়াম সাইক্লোমেট জব্দ করা হয়।
বিএসটিআই কুমিলা কার্যালয়ের প্রধান কে এম হানিফ জানান, রং বেরঙের মোড়কে আইসক্রিম তৈরি করে বিক্রি করা হচ্ছিল প্রত্যন্ত এলাকায়। আইসক্রিমের কোন ক্রিম দেয় হচ্ছিল না, বরং বরফের উপর ক্ষতিকর রং ও ঘনচিনি ব্যবহার করে বানানো হচ্ছিল এসব আইসক্রিম। অভিযুক্ত ফ্যাক্টরির মালিক কে এর আগেও দুইবার আইনের আওতায় আনা হয় । তিনি স্থান পরিবর্তন করে পালিয়ে এই আইসক্রিম ফ্যাক্টরি পরিচালনা করে আসছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিফাত উদ্দিন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএসটিআই কুমিল্লা অফিসার কর্মকর্তা ইকবাল আহমদ, ফিল্ড অফিসার আরিফ উদ্দিন।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page