১২:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
চৌদ্দগ্রামে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে মাটি বিক্রেতাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা, ভেকু জব্দ কুমিল্লা স্টেডিয়াম এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিদেশি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার আ’লীগের হামলায় আহত মহিলাদল নেত্রীকে দেখতে কুমিল্লায় সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদ খেলাধুলা যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখে -সফিকুর রহমান বুড়িচংয়ে আ’লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের গ্রেপ্তার বুড়িচংয়ে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান, দুইটি ইটভাটা উচ্ছেদ জয়পুর সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির ৬১ তম বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় যৌথবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসী শামীম গ্রেপ্তার জাতীয় পর্যায়ের তুলনায় স্থানীয় সাংবাদিকরা বেশি ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন- ড. ইমরান আনসারী কোনো ষড়যন্ত্রই কুমিল্লা-৬ আসনের মানুষের সঙ্গে আমার বন্ধন ভাঙতে পারবে না-হাজী ইয়াছিন

কুমিল্লায় স্বামীকে হ’ত্যা’র দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন ও পরকিয়া প্রেমিকের ফাঁসি

  • তারিখ : ০১:৩৩:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪
  • 75

মোঃ জহিরুল হক বাবু।।
কুমিল্লার বরুড়ায় পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা শরিফ উদ্দিনকে হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন ও তার পরকিয়া প্রেমিকের মৃত্যুদন্ড দিয়েছে কুমিল্লার আদালত।

মঙ্গলবার ২৩ জানুয়ারি দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। এছাড়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়। মামলার সহকারি পিপি মোঃ আবু ইউসুফ মুন্সী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, বরুড়ায় পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা শরিফ উদ্দিনের স্ত্রী মোনালিসা হিমু। সে সিরাজগঞ্জ সদরের হোসেনপুর এলাকার আব্দুল মান্নান এর মেয়ে। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী পরকিয়া প্রেমিক মোঃ আশিকুজ্জামান কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ঝলমের চেঙ্গাছাল এলাকার নাসিরুল আলমের ছেলে। নিহত শরিফ উদ্দিন সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট এলাকার বাসিন্দা।

মামলার বিবরনে জানা যায়, ২০২০ সালে ১৫ জানুয়ারি রাতে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরিফ উদ্দিনকে তার ভাড়া বাসায় হত্যা করে তারই স্ত্রী হিমু ও পরকিয়া প্রেমিক মোঃ আশিকুজ্জামান। পরদিন ডাকাতির ঘটনা সাজিয়ে থানায় ডাকাতি ও হত্যা মামলা করেন স্ত্রী হিমু। পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে প্রকৃত ঘটনা উদ্ধার করা হয়। মামলার চার্জশীটে আসামী করা হয় হিমু ও আশিকুজ্জামানকে।

মামালার অতিরিক্ত পিপি মোঃ আবু ইউসুফ মুন্সী বলেন, নিহত শরিফের স্ত্রী হিমু তার পরকিয়া প্রেমিকের সহযোগিতায় স্বামীকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। পরে রক্তক্ষরন হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যুবরন করেন। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ১৭ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য শেষে দোষী প্রমানিত হওয়ায় হিমুর তিনটি নাবালক সন্তান থাকায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও অপর আসামী আশিকুজ্জামাকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় স্বামীকে হ’ত্যা’র দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন ও পরকিয়া প্রেমিকের ফাঁসি

তারিখ : ০১:৩৩:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪

মোঃ জহিরুল হক বাবু।।
কুমিল্লার বরুড়ায় পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা শরিফ উদ্দিনকে হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন ও তার পরকিয়া প্রেমিকের মৃত্যুদন্ড দিয়েছে কুমিল্লার আদালত।

মঙ্গলবার ২৩ জানুয়ারি দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। এছাড়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়। মামলার সহকারি পিপি মোঃ আবু ইউসুফ মুন্সী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, বরুড়ায় পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা শরিফ উদ্দিনের স্ত্রী মোনালিসা হিমু। সে সিরাজগঞ্জ সদরের হোসেনপুর এলাকার আব্দুল মান্নান এর মেয়ে। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী পরকিয়া প্রেমিক মোঃ আশিকুজ্জামান কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ঝলমের চেঙ্গাছাল এলাকার নাসিরুল আলমের ছেলে। নিহত শরিফ উদ্দিন সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট এলাকার বাসিন্দা।

মামলার বিবরনে জানা যায়, ২০২০ সালে ১৫ জানুয়ারি রাতে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরিফ উদ্দিনকে তার ভাড়া বাসায় হত্যা করে তারই স্ত্রী হিমু ও পরকিয়া প্রেমিক মোঃ আশিকুজ্জামান। পরদিন ডাকাতির ঘটনা সাজিয়ে থানায় ডাকাতি ও হত্যা মামলা করেন স্ত্রী হিমু। পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে প্রকৃত ঘটনা উদ্ধার করা হয়। মামলার চার্জশীটে আসামী করা হয় হিমু ও আশিকুজ্জামানকে।

মামালার অতিরিক্ত পিপি মোঃ আবু ইউসুফ মুন্সী বলেন, নিহত শরিফের স্ত্রী হিমু তার পরকিয়া প্রেমিকের সহযোগিতায় স্বামীকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। পরে রক্তক্ষরন হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যুবরন করেন। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ১৭ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য শেষে দোষী প্রমানিত হওয়ায় হিমুর তিনটি নাবালক সন্তান থাকায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও অপর আসামী আশিকুজ্জামাকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন।