০৮:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনায় কুমিল্লায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত বুড়িচংয়ে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন মুরাদনগরে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ চৌদ্দগ্রামে শ্রীপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত ওমানে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় কুমিল্লার যুবক কামরুল নিহত মদিনার কাফেলা বাংলাদেশ বুড়িচং উপজেলা কমিটি গঠিত কুমিল্লায় অবৈধ ইটভাট ‘‘মেসার্স বিএমবি ব্রিকসের’’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ কুমিল্লার ৯ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বিএনপি; ২টি শরিক দলের জন্য ছাড় বুড়িচংয়ে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ কুমিল্লায় কবিরাজের কাছে ‘জিন ছাড়াতে’ গিয়ে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ

কুমিল্লার হোমনায় মা ও দুই শিশু খুন; একাই ৩ জনকে হত্যা করেন সুমন

  • তারিখ : ১২:০২:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 50

হোমনা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার হোমনায় ঘরে ঢুকে মা, ছেলেসহ তিনজনকে হত্যার ঘটনায় আক্তার হোসেন ওরফে সুমন (২৭) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, সুমন মাহমুদার কাছে টাকা পেতেন। তা নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তাঁকে হত্যা করা হয়। পরে ওই দুই শিশু তাঁকে দেখে ফেলেছে, এমন আশঙ্কায় তাদেরও হত্যা করা হয়।

হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জয়নাল আবেদীন আজ শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সুমন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে থানায় তিনজনকে খুনের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। তিনি হোমনা পৌরসভার শ্রীমদ্দি চরেরগাঁও গ্রামের হক মিয়ার ছেলে।

সুমনের বরাতে ওসি জানান, গৃহবধূ মাহমুদা আক্তারের সঙ্গে সুমনের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। গত বুধবার সন্ধ্যায় শিঙারা ও আখ নিয়ে মাহমুদার ঘরে যান সুমন। এরপর রাতে মাহমুদা আক্তারের ছেলে শাহেদ ও ভাশুরের মেয়ে তিশামণি সিঙাড়া আর আখ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। মাহমুদার কাছে সুমন টাকা পেতেন। সেই টাকা চাওয়ায় দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে গভীর রাতে মাহমুদাকে শ্বাসরোধে ও মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন সুমন। ওই দুই শিশু সবাইকে তাঁর পরিচয় জানিয়ে দেবে—এই আশঙ্কায় তিশামণি (১৪) এবং মাহমুদার ছেলে শাহেদকেও (৯) শ্বাসরোধ ও কাঠের ফালি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন। সুমন জানান, এই খুনের সঙ্গে আর কেউ জড়িত নন। তিনি একাই তাঁদের তিনজনকে খুন করে পালিয়ে যান।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বড় ঘাগুটিয়া গ্রামের শাহপরানের ঘর থেকে তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (২৭), একমাত্র ছেলে শাহেদ ও তাঁর মামাতো ভাইয়ের মেয়ে দুলালপুর উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী তিশামণির লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মাহমুদা আক্তারের বাবা উপজেলার শ্রীমদ্দি গ্রামের বাসিন্দা মো. হোসেন মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

এ ঘটনায় পুলিশ সুপার মো. আসফিকুজ্জামান আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসফাকুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্ষেমালিকা চাকমা, পিবিআই, সিআইডি, র‍্যাব, সেনাবাহিনীর টিম খুনের রহস্য উদ্‌ঘাটনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তিন খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার আক্তার হোসেনের জবানবন্দি চলছে।

error: Content is protected !!

কুমিল্লার হোমনায় মা ও দুই শিশু খুন; একাই ৩ জনকে হত্যা করেন সুমন

তারিখ : ১২:০২:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

হোমনা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার হোমনায় ঘরে ঢুকে মা, ছেলেসহ তিনজনকে হত্যার ঘটনায় আক্তার হোসেন ওরফে সুমন (২৭) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, সুমন মাহমুদার কাছে টাকা পেতেন। তা নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তাঁকে হত্যা করা হয়। পরে ওই দুই শিশু তাঁকে দেখে ফেলেছে, এমন আশঙ্কায় তাদেরও হত্যা করা হয়।

হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জয়নাল আবেদীন আজ শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সুমন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে থানায় তিনজনকে খুনের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। তিনি হোমনা পৌরসভার শ্রীমদ্দি চরেরগাঁও গ্রামের হক মিয়ার ছেলে।

সুমনের বরাতে ওসি জানান, গৃহবধূ মাহমুদা আক্তারের সঙ্গে সুমনের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। গত বুধবার সন্ধ্যায় শিঙারা ও আখ নিয়ে মাহমুদার ঘরে যান সুমন। এরপর রাতে মাহমুদা আক্তারের ছেলে শাহেদ ও ভাশুরের মেয়ে তিশামণি সিঙাড়া আর আখ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। মাহমুদার কাছে সুমন টাকা পেতেন। সেই টাকা চাওয়ায় দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে গভীর রাতে মাহমুদাকে শ্বাসরোধে ও মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন সুমন। ওই দুই শিশু সবাইকে তাঁর পরিচয় জানিয়ে দেবে—এই আশঙ্কায় তিশামণি (১৪) এবং মাহমুদার ছেলে শাহেদকেও (৯) শ্বাসরোধ ও কাঠের ফালি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন। সুমন জানান, এই খুনের সঙ্গে আর কেউ জড়িত নন। তিনি একাই তাঁদের তিনজনকে খুন করে পালিয়ে যান।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বড় ঘাগুটিয়া গ্রামের শাহপরানের ঘর থেকে তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (২৭), একমাত্র ছেলে শাহেদ ও তাঁর মামাতো ভাইয়ের মেয়ে দুলালপুর উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী তিশামণির লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মাহমুদা আক্তারের বাবা উপজেলার শ্রীমদ্দি গ্রামের বাসিন্দা মো. হোসেন মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

এ ঘটনায় পুলিশ সুপার মো. আসফিকুজ্জামান আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসফাকুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্ষেমালিকা চাকমা, পিবিআই, সিআইডি, র‍্যাব, সেনাবাহিনীর টিম খুনের রহস্য উদ্‌ঘাটনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তিন খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার আক্তার হোসেনের জবানবন্দি চলছে।