০৬:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুবিতে প্রথমবারের মতো সিরাত পাঠ প্রতিযোগিতা ও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল: ১ লাখ ৬৭ হাজার থেকে কমে ২ হাজার ৬০০ টাকা কুমিল্লার মুরাদনগরে অপহরণের পর যুবক খুন, ৩৬ দিন পর কঙ্কাল উদ্ধার কুমিল্লায় আ. লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার কুমিল্লার দেবিদ্বারে পানিতে ডুবে একই পরিবারের দুই শিশুর মৃত্যু কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ঝটিকা মিছিল, আটক ৫ বুড়িচংয়ে পূজা উদযাপনে থাকবে সেনাবাহিনী-পুলিশের নিরাপত্তা বলয় বুড়িচংয়ে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ৫ লক্ষ টাকার ওষুধ বিতরণ ইমোর মাধ্যমে প্রবাসীর সঙ্গে পরিচয়, কুমিল্লার দুলাল হত্যার পেছনের মূল কারণ কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে চার গাড়ির সংঘর্ষে ২ জন নিহত, আহত ৩

কুমিল্লার হোমনায় মা ও দুই শিশু খুন; একাই ৩ জনকে হত্যা করেন সুমন

  • তারিখ : ১২:০২:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 35

হোমনা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার হোমনায় ঘরে ঢুকে মা, ছেলেসহ তিনজনকে হত্যার ঘটনায় আক্তার হোসেন ওরফে সুমন (২৭) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, সুমন মাহমুদার কাছে টাকা পেতেন। তা নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তাঁকে হত্যা করা হয়। পরে ওই দুই শিশু তাঁকে দেখে ফেলেছে, এমন আশঙ্কায় তাদেরও হত্যা করা হয়।

হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জয়নাল আবেদীন আজ শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সুমন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে থানায় তিনজনকে খুনের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। তিনি হোমনা পৌরসভার শ্রীমদ্দি চরেরগাঁও গ্রামের হক মিয়ার ছেলে।

সুমনের বরাতে ওসি জানান, গৃহবধূ মাহমুদা আক্তারের সঙ্গে সুমনের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। গত বুধবার সন্ধ্যায় শিঙারা ও আখ নিয়ে মাহমুদার ঘরে যান সুমন। এরপর রাতে মাহমুদা আক্তারের ছেলে শাহেদ ও ভাশুরের মেয়ে তিশামণি সিঙাড়া আর আখ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। মাহমুদার কাছে সুমন টাকা পেতেন। সেই টাকা চাওয়ায় দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে গভীর রাতে মাহমুদাকে শ্বাসরোধে ও মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন সুমন। ওই দুই শিশু সবাইকে তাঁর পরিচয় জানিয়ে দেবে—এই আশঙ্কায় তিশামণি (১৪) এবং মাহমুদার ছেলে শাহেদকেও (৯) শ্বাসরোধ ও কাঠের ফালি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন। সুমন জানান, এই খুনের সঙ্গে আর কেউ জড়িত নন। তিনি একাই তাঁদের তিনজনকে খুন করে পালিয়ে যান।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বড় ঘাগুটিয়া গ্রামের শাহপরানের ঘর থেকে তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (২৭), একমাত্র ছেলে শাহেদ ও তাঁর মামাতো ভাইয়ের মেয়ে দুলালপুর উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী তিশামণির লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মাহমুদা আক্তারের বাবা উপজেলার শ্রীমদ্দি গ্রামের বাসিন্দা মো. হোসেন মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

এ ঘটনায় পুলিশ সুপার মো. আসফিকুজ্জামান আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসফাকুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্ষেমালিকা চাকমা, পিবিআই, সিআইডি, র‍্যাব, সেনাবাহিনীর টিম খুনের রহস্য উদ্‌ঘাটনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তিন খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার আক্তার হোসেনের জবানবন্দি চলছে।

error: Content is protected !!

কুমিল্লার হোমনায় মা ও দুই শিশু খুন; একাই ৩ জনকে হত্যা করেন সুমন

তারিখ : ১২:০২:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

হোমনা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার হোমনায় ঘরে ঢুকে মা, ছেলেসহ তিনজনকে হত্যার ঘটনায় আক্তার হোসেন ওরফে সুমন (২৭) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, সুমন মাহমুদার কাছে টাকা পেতেন। তা নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তাঁকে হত্যা করা হয়। পরে ওই দুই শিশু তাঁকে দেখে ফেলেছে, এমন আশঙ্কায় তাদেরও হত্যা করা হয়।

হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জয়নাল আবেদীন আজ শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সুমন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে থানায় তিনজনকে খুনের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। তিনি হোমনা পৌরসভার শ্রীমদ্দি চরেরগাঁও গ্রামের হক মিয়ার ছেলে।

সুমনের বরাতে ওসি জানান, গৃহবধূ মাহমুদা আক্তারের সঙ্গে সুমনের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। গত বুধবার সন্ধ্যায় শিঙারা ও আখ নিয়ে মাহমুদার ঘরে যান সুমন। এরপর রাতে মাহমুদা আক্তারের ছেলে শাহেদ ও ভাশুরের মেয়ে তিশামণি সিঙাড়া আর আখ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। মাহমুদার কাছে সুমন টাকা পেতেন। সেই টাকা চাওয়ায় দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে গভীর রাতে মাহমুদাকে শ্বাসরোধে ও মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন সুমন। ওই দুই শিশু সবাইকে তাঁর পরিচয় জানিয়ে দেবে—এই আশঙ্কায় তিশামণি (১৪) এবং মাহমুদার ছেলে শাহেদকেও (৯) শ্বাসরোধ ও কাঠের ফালি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন। সুমন জানান, এই খুনের সঙ্গে আর কেউ জড়িত নন। তিনি একাই তাঁদের তিনজনকে খুন করে পালিয়ে যান।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বড় ঘাগুটিয়া গ্রামের শাহপরানের ঘর থেকে তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (২৭), একমাত্র ছেলে শাহেদ ও তাঁর মামাতো ভাইয়ের মেয়ে দুলালপুর উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী তিশামণির লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মাহমুদা আক্তারের বাবা উপজেলার শ্রীমদ্দি গ্রামের বাসিন্দা মো. হোসেন মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

এ ঘটনায় পুলিশ সুপার মো. আসফিকুজ্জামান আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসফাকুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্ষেমালিকা চাকমা, পিবিআই, সিআইডি, র‍্যাব, সেনাবাহিনীর টিম খুনের রহস্য উদ্‌ঘাটনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তিন খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার আক্তার হোসেনের জবানবন্দি চলছে।