০২:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লার দেবিদ্বারে পানিতে ডুবে একই পরিবারের দুই শিশুর মৃত্যু কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ঝটিকা মিছিল, আটক ৫ বুড়িচংয়ে পূজা উদযাপনে থাকবে সেনাবাহিনী-পুলিশের নিরাপত্তা বলয় বুড়িচংয়ে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ৫ লক্ষ টাকার ওষুধ বিতরণ ইমোর মাধ্যমে প্রবাসীর সঙ্গে পরিচয়, কুমিল্লার দুলাল হত্যার পেছনের মূল কারণ কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে চার গাড়ির সংঘর্ষে ২ জন নিহত, আহত ৩ কুমিল্লার মুরাদনগরে পরিত্যক্ত মুরগির খামার থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার কুমিল্লায় স্কুল শেষে নদীতে গোসল করতে নেমে প্রাণ গেল প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীর চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ও পৌর জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ‎ব্রাহ্মণপাড়ায় মোটরসাইকেল ফেলে পালালেন দুই যুবক, ৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার

কুমিল্লায় একদিনে করোনা শনাক্ত ৭১৬, মৃত্যু ১২

  • তারিখ : ০৬:৪৪:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ জুলাই ২০২১
  • 11

নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৭১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৪০ দশমিক ৬ শতাংশ।

এ সময় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১২ জন।জেলা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী,বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ৩০ জুলাই বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৭৬২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

শনাক্তদের মধ্যে ২০৮ জনই কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে আদর্শ সদরের ১২, সদর দক্ষিণের ১১, বুড়িচংয়ের ১৩, ব্রাহ্মণপাড়ার ২০, চান্দিনার ৫০, চৌদ্দগ্রামের ৪৪, দেবিদ্বারের ৪৭, দাউদকান্দির ৪৮, লাকসামের ৩০, লালমাইয়ের ১০, নাঙ্গলকোটের ২১, বরুড়ার ৩৮, মনোহরগঞ্জের ৩৭, মুরাদনগরের ১১, মেঘনার ১৫, তিতাসের ৪৫ জন এবং হোমনা উপজেলার ৫৬ জন।

যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে দাউদকান্দির তিনজন এবং সিটি কর্পোরেশন, লালমাইয়ের বরুড়ার দুইজন করে রয়েছেন। বাকিদের মধ্যে নাঙ্গলকোট, চান্দিনার মুরাদনগর, একজন করে রয়েছেন। মৃতদের মধ্যে দুইজন নারী এবংদশজন পুরুষ।

জেলায় এখন পর্যন্ত ২৮ হাজার ৪৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭১১ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২০০ জন। এনিয়ে মোট সুস্থ হলেন ১৫ হাজার ৯৪৫ জন।

কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মহিউদ্দিন জানান,চলতি সপ্তাহে প্রতিদিনই হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের ভিড় বেড়েছে। করোনার বরাদ্দকৃত আসনের চেয়ে অন্তত ৩৫-৪০ জন বেশি ভর্তি রয়েছেন। যদি এ রকম চলতে থাকে তাহলে রোগীর চাপ সামলানো কষ্টকর হয়ে যাবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন,জেলায় করোনা সংক্রমণের হার কমাতে ও সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে প্রতিদিনই ভ্রাম্যমাণ আদালতের একাধিক অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়মিত ত্রাণও বিতরণ করা হচ্ছে।

সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন বলেন,আমরা চেষ্টা করছি জনসচেতনতা বাড়িয়ে কীভাবে সংক্রমণ কমানো যায়। সে লক্ষ্যে প্রতিদিনই কাজ চলছে। পাশাপাশি শতভাগ টিকা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে এখন প্রয়োজন সমন্বিত প্রয়াস।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় একদিনে করোনা শনাক্ত ৭১৬, মৃত্যু ১২

তারিখ : ০৬:৪৪:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ জুলাই ২০২১

নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৭১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৪০ দশমিক ৬ শতাংশ।

এ সময় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১২ জন।জেলা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী,বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ৩০ জুলাই বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৭৬২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

শনাক্তদের মধ্যে ২০৮ জনই কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে আদর্শ সদরের ১২, সদর দক্ষিণের ১১, বুড়িচংয়ের ১৩, ব্রাহ্মণপাড়ার ২০, চান্দিনার ৫০, চৌদ্দগ্রামের ৪৪, দেবিদ্বারের ৪৭, দাউদকান্দির ৪৮, লাকসামের ৩০, লালমাইয়ের ১০, নাঙ্গলকোটের ২১, বরুড়ার ৩৮, মনোহরগঞ্জের ৩৭, মুরাদনগরের ১১, মেঘনার ১৫, তিতাসের ৪৫ জন এবং হোমনা উপজেলার ৫৬ জন।

যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে দাউদকান্দির তিনজন এবং সিটি কর্পোরেশন, লালমাইয়ের বরুড়ার দুইজন করে রয়েছেন। বাকিদের মধ্যে নাঙ্গলকোট, চান্দিনার মুরাদনগর, একজন করে রয়েছেন। মৃতদের মধ্যে দুইজন নারী এবংদশজন পুরুষ।

জেলায় এখন পর্যন্ত ২৮ হাজার ৪৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭১১ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২০০ জন। এনিয়ে মোট সুস্থ হলেন ১৫ হাজার ৯৪৫ জন।

কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মহিউদ্দিন জানান,চলতি সপ্তাহে প্রতিদিনই হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের ভিড় বেড়েছে। করোনার বরাদ্দকৃত আসনের চেয়ে অন্তত ৩৫-৪০ জন বেশি ভর্তি রয়েছেন। যদি এ রকম চলতে থাকে তাহলে রোগীর চাপ সামলানো কষ্টকর হয়ে যাবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন,জেলায় করোনা সংক্রমণের হার কমাতে ও সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে প্রতিদিনই ভ্রাম্যমাণ আদালতের একাধিক অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়মিত ত্রাণও বিতরণ করা হচ্ছে।

সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন বলেন,আমরা চেষ্টা করছি জনসচেতনতা বাড়িয়ে কীভাবে সংক্রমণ কমানো যায়। সে লক্ষ্যে প্রতিদিনই কাজ চলছে। পাশাপাশি শতভাগ টিকা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে এখন প্রয়োজন সমন্বিত প্রয়াস।