০৩:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ব্রাহ্মণপাড়ায় বিনামূল্যে বীজ-সার পেলেন ৪৬৫ কৃষক কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী ফারুকের বাবার পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত কুমিল্লায় র‍্যাব-১১ এর অভিযানে অস্ত্র ও মাদকসহ ২৫ মামলার আসামি গ্রেফতার কুমিল্লা বিভাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মিছিল ও সমাবেশ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের উদ্যোগে উদ্যোক্তা মেলা বুড়িচং উপজেলা দলিল লেখক সমিতির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত সাহসিকতার স্বীকৃতি: পিপিএম পদকে ভূষিত হলেন কুমিল্লার এসআই খাজু মিয়া ব্রাহ্মণপাড়ায় শিক্ষার্থীদের সাথে ওসির মতবিনিময় বুড়িচংয়ে ভূমিকম্প, অগ্নিকাণ্ড ও বজ্রপাত প্রতিরোধে মহড়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত দেবিদ্বারে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

কুমিল্লায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হ্যান্ডকাফসহ আসামি ছিনতাই

  • তারিখ : ০৮:৫৩:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 19

মুরাদনগর প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার বাঙ্গরায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বাঙ্গরা বাজার থেকে শেখ আকরাম নামে ওই আসামিকে হ্যান্ডকাফসহ ছিনতাই করা হয়।

আসামি আকরামের বড় ভাই ওই ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের নেতৃত্বে এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় বাঙ্গরা বাজার থানার এসআই মো. রনি নামে আহত হয়েছেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি ইকবাল হোসেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত ৪ সেপ্টেম্বর ফুয়াদ নামে এক স্কুল ছাত্রকে মারধর করে মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় বৃহস্পতিবার বাঙ্গরা বাজার থানায় মামলা করেন দৌলতপুর গ্রামের ইকবাল হোসেন নামে এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা। এ ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবকলীগ কর্মী ও সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের ছোট ভাই শেখ আকরামসহ চার জনকে আসামি করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসব আসামিদের গ্রেফতারে খাপুরা এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় শেখ আকরামকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসার পথে বাঙ্গরা বাজারে ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় হ্যান্ডকাফ পরিহিত আকরামকে ছিনিয়ে নেয় তারা। এতে পুলিশের এসআই রনি আহত হন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন দাবি করেন, আমরা পুলিশের ওপর হামলা করিনি। আমার ভাই শেখ আকরামকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকার লোকজন তাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ করেছে। আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনা সঠিক নয়।

বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি ইকবাল হোসেন বলেন, এজাহারনামীয় আসামি শেখ আকরামকে খাপুরা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। সেখানে আমাদের এসআই রনি ও কনস্টেবল কার্তিক ছিলেন। আসামিকে থানায় নিয়ে আসার পথে বাঙ্গরা বাজারে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হ্যান্ডকাফসহ আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ওই আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে এবং ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হ্যান্ডকাফসহ আসামি ছিনতাই

তারিখ : ০৮:৫৩:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২

মুরাদনগর প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার বাঙ্গরায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বাঙ্গরা বাজার থেকে শেখ আকরাম নামে ওই আসামিকে হ্যান্ডকাফসহ ছিনতাই করা হয়।

আসামি আকরামের বড় ভাই ওই ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের নেতৃত্বে এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় বাঙ্গরা বাজার থানার এসআই মো. রনি নামে আহত হয়েছেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি ইকবাল হোসেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত ৪ সেপ্টেম্বর ফুয়াদ নামে এক স্কুল ছাত্রকে মারধর করে মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় বৃহস্পতিবার বাঙ্গরা বাজার থানায় মামলা করেন দৌলতপুর গ্রামের ইকবাল হোসেন নামে এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা। এ ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবকলীগ কর্মী ও সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের ছোট ভাই শেখ আকরামসহ চার জনকে আসামি করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসব আসামিদের গ্রেফতারে খাপুরা এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় শেখ আকরামকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসার পথে বাঙ্গরা বাজারে ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় হ্যান্ডকাফ পরিহিত আকরামকে ছিনিয়ে নেয় তারা। এতে পুলিশের এসআই রনি আহত হন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন দাবি করেন, আমরা পুলিশের ওপর হামলা করিনি। আমার ভাই শেখ আকরামকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকার লোকজন তাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ করেছে। আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনা সঠিক নয়।

বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি ইকবাল হোসেন বলেন, এজাহারনামীয় আসামি শেখ আকরামকে খাপুরা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। সেখানে আমাদের এসআই রনি ও কনস্টেবল কার্তিক ছিলেন। আসামিকে থানায় নিয়ে আসার পথে বাঙ্গরা বাজারে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হ্যান্ডকাফসহ আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ওই আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে এবং ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।