কুমিল্লায় ভেকুর ধাক্কায় চালকের মৃত্যুঃ রাস্তায় লাশ ফেলে পালাল মালিক পক্ষ

হালিম সৈকত।।
কুমিল্লার তিতাসে তিতাস নদী খননকালে ভেকু মেশিন ধাক্কায় ফয়সাল (২০) নামে ভেকু চালকের মৃত্যু হয়েছে।

পরিবারের দাবী পুর্ব শত্রুতার জের ধরে হত্যা করা হয়েছে তাকে। তাদের অভিযোগ বাড়ির পাশের রাস্তায় লাশ ফেলে গা ঢাকা দিয়েছে ভেকুর মালিক পক্ষ।
ঘটনাটি ঘটেছে ১৬ এপ্রিল শুক্রবার সকাল ৮টায় উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের নয়াকান্দি বাজার সংলগ্ন তিতাস নদীতে।

নিহত চালক ফয়সাল দাউদকান্দি উপজেলা মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের সুরেরখাল গ্রামের খলিলের এক মাত্র ছেলে। খবর পেয়ে তিতাস থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন।

স্থানীয় ও পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন থেকে তিতাস নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য নদী খননের কাজ করছেন লুনা ট্রের্ডাস। আর সেই নদী খনন কাজের ভেকু মেশিনের সহকারী ড্রাইভারের কাজ করতেন নিহত ফয়সাল। প্রতি দিনের মত শুক্রবার সকালেও সে কাজ করতে আসে অহিদ ড্রাইভারের সাথে। অহিদ ড্রাইভার জানান, আমার ভেকু মেশিন ছিল নিহত ফয়সালের চালিত ভেকু মেশিনের আগে । কিন্তু আমি খেয়াল করিনি ফয়সালের ভেকু মেশিনটি ঠিক আমার মেশিনের পিছে। এমনতাবস্থায় আমার ভেকুটি মাটিতে পিছলে গিয়ে ফয়সালের ভেকুর উপড়ে পড়লে ফয়সাল মারাত্বকভাবে আহত হয়।

এ ব্যাপারে ফয়সালের বাবা খলিল মিয়া জানান, আমার একমাত্র ছেলেকে তারা পুর্ব শত্রুতার জের ধরে হত্যা করেছে , কারন তাদের সাথে ফয়সালের ঝগড়া হয়েছিল এরই কারনে মালিক পক্ষ তাদের দুজনকেই কাজ থেকে বিদায় করে দিয়েছিল । তারপর সাব-কন্ট্রাকট্রর মাহফুজ ও তার শালা জসিম ও সাদ্দাম তাকে পুনরায় ফুসলিয়ে কাজে নিয়ে গিয়ে পুর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।

আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার ছেলের হত্যার বিচার চাই।

অপরদিকে নিহতের মা জানান, আমার ছেলের সাথে থাকা দুইটি মোবাইলসহ তার সাথে থাকা টাকা পয়সা, কাপড় চোপড় নিয়ে গিয়ে তাকে হত্যা করেছে। তা না হলে লাশ বাড়ির পাশে ফেলে যাবে কেন? তাছাড়া তাদের কেউ আমাদের কাছে আসেনি আমাদের খোঁজ খবরও নেয়নি। তাছাড়া আমার ছেলে আহত হলো তারা আমাদের জানালোনা কেন? আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। এ ব্যাপারে লুণা ট্রের্ডাস এর মালিক ফারুক হোসেনকে ফোনে না পেয়ে সাব কন্ট্রাক্টর মাহফুজকে ফোন করলে তিনি জানান, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। তবে তার পরিবারের খোঁজ নেয়ার চেষ্টা করেছি। লাশ নিহতের বাড়িতে পৌছে দিয়েছি।

     আরো দেখুন:

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  

You cannot copy content of this page