০২:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় স্কুল শেষে নদীতে গোসল করতে নেমে প্রাণ গেল প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীর চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ও পৌর জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ‎ব্রাহ্মণপাড়ায় মোটরসাইকেল ফেলে পালালেন দুই যুবক, ৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার ‎ব্রাহ্মণপাড়া চান্দলায় পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে দুর্ধর্ষ ডাকাতি কুবির মেডিকেল সেবা নিশ্চিতে শিক্ষার্থীদের ৮ দাবি ফের গ্রেপ্তার দেবিদ্বার পৌরসভার মেয়র শামিম হোমনায় রেহানা মজিদ মহিলা কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত প্রথমবারের মতো কুবিতে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালুর সুপারিশ কুমিল্লায় ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল: ফ্যান-লাইট ও ফ্রিজের মাসিক বিল ১ লাখ ৬৭ হাজার টাকা! কুবি শিক্ষার্থীকে হত্যাকারীর শাস্তি নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ

কুমিল্লা নগর উদ্যানে অংকনশালায় প্রতিবছর এক হাজারেরও বেশি শিশু ছবি আঁকা শিখে

  • তারিখ : ১০:৩১:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 9

তাপস চন্দ্র সরকার, কুমিল্লা।।
সিটি কর্পোরেশন অংকনশালা ও শিল্পচর্চা কেন্দ্রটি ২০১৯ সালে ২০ আগস্ট মঙ্গলবার কুমিল্লা নগর উদ্যানে সেমিপাকা এক কক্ষ বিশিষ্ট একচালা বিল্ডিং নির্মাণ করে প্রতিষ্ঠা করা হয়।

এটি সিটি কর্পোরেশনের একটি সেবামূলক ভর্তূকি প্রতিষ্ঠান। এখানে নাম মাত্র ফি দিয়ে শিশুরা ছবি আঁকা শিখে থাকেন। এতে সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী শিশুরা অগ্রাধিকার পায়। হতদরিদ্র শিশুদের খরচ প্রতিষ্ঠান বহন করে থাকে (যেমন: রং, পেন্সিল ও খাতা ইত্যাদি)। এই প্রতিষ্ঠানে ধনী-গরীব যেকেনো শিশু ছবি আঁকার জন্য ভর্তি হতে পারে। এ প্রতিষ্ঠানে প্রতি বছর এক হাজারেরও বেশি শিশু ছবি আঁকা শিখে।

এছাড়াও প্রতি বছর বার্ষিক চিত্র প্রদর্শনী ও ম্যাগাজিন বের করা হয়। এটিই কুমিল্লাতে একমাত্র অংকনশালা যেখানে শিশুরা সপ্তাহে ০৭ (সাত) দিনই ছবি আঁকা শিখে থাকেন। এই প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা তৎকালীন সময়ের কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ মনিরুল হক সাক্কু এবং এর সভাপতি ছিলেন সদ্য প্রয়াত কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত।

এই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শাহীন স্কুল জীবন থেকেই অনুপ্রাণিত হন ছবি আঁকার কাজে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি ছাত্রজীবনেই আঁকা-আঁকিতে হাতেখড়ি হয় তাঁর। বন্ধুদের সাথে প্রতিযোগিতার পাশাপাশি স্কুলেও ছবি আঁকার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতেন তিনি। তখন থেকেই ছবি আঁকায় আত্মনিবেশ করেন নিজেকে। শুধুমাত্র রং ও তুলী নিয়েই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শুরু করেন ছবি আঁকানোর কাজ। অনেক প্রশংসাও কুড়িয়েছেন তিনি। মোঃ শাহীন নিরলসভাবে শিশুদের শিক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিশুরা তাদের মনের ইচ্ছাগুলোকে রং-তুলিতে রূপ দিতে পারে।

একান্ত আলাপচারিতায় সিটি কর্পোরেশন অংকনশালা ও শিল্পচর্চা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শাহীন বলেন, সুন্দর ছবি আঁকা একধরণের প্রতিভা। তিনি বলেন- “যত দিন কাজ করার সুযোগ থাকবে ততদিন ছবি আঁকার কাজ করবো।”
এদিকে, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন অংকনশালা ও শিল্পচর্চা কেন্দ্রে কোনো শিশুকে ভর্তি করতে চাইলে নিম্নলিখিত মোবাইলে ফোন করে বিস্তারিত জানুন।
মোবাইল: 01711 – 27 03 63

error: Content is protected !!

কুমিল্লা নগর উদ্যানে অংকনশালায় প্রতিবছর এক হাজারেরও বেশি শিশু ছবি আঁকা শিখে

তারিখ : ১০:৩১:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

তাপস চন্দ্র সরকার, কুমিল্লা।।
সিটি কর্পোরেশন অংকনশালা ও শিল্পচর্চা কেন্দ্রটি ২০১৯ সালে ২০ আগস্ট মঙ্গলবার কুমিল্লা নগর উদ্যানে সেমিপাকা এক কক্ষ বিশিষ্ট একচালা বিল্ডিং নির্মাণ করে প্রতিষ্ঠা করা হয়।

এটি সিটি কর্পোরেশনের একটি সেবামূলক ভর্তূকি প্রতিষ্ঠান। এখানে নাম মাত্র ফি দিয়ে শিশুরা ছবি আঁকা শিখে থাকেন। এতে সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী শিশুরা অগ্রাধিকার পায়। হতদরিদ্র শিশুদের খরচ প্রতিষ্ঠান বহন করে থাকে (যেমন: রং, পেন্সিল ও খাতা ইত্যাদি)। এই প্রতিষ্ঠানে ধনী-গরীব যেকেনো শিশু ছবি আঁকার জন্য ভর্তি হতে পারে। এ প্রতিষ্ঠানে প্রতি বছর এক হাজারেরও বেশি শিশু ছবি আঁকা শিখে।

এছাড়াও প্রতি বছর বার্ষিক চিত্র প্রদর্শনী ও ম্যাগাজিন বের করা হয়। এটিই কুমিল্লাতে একমাত্র অংকনশালা যেখানে শিশুরা সপ্তাহে ০৭ (সাত) দিনই ছবি আঁকা শিখে থাকেন। এই প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা তৎকালীন সময়ের কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ মনিরুল হক সাক্কু এবং এর সভাপতি ছিলেন সদ্য প্রয়াত কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত।

এই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শাহীন স্কুল জীবন থেকেই অনুপ্রাণিত হন ছবি আঁকার কাজে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি ছাত্রজীবনেই আঁকা-আঁকিতে হাতেখড়ি হয় তাঁর। বন্ধুদের সাথে প্রতিযোগিতার পাশাপাশি স্কুলেও ছবি আঁকার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতেন তিনি। তখন থেকেই ছবি আঁকায় আত্মনিবেশ করেন নিজেকে। শুধুমাত্র রং ও তুলী নিয়েই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শুরু করেন ছবি আঁকানোর কাজ। অনেক প্রশংসাও কুড়িয়েছেন তিনি। মোঃ শাহীন নিরলসভাবে শিশুদের শিক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিশুরা তাদের মনের ইচ্ছাগুলোকে রং-তুলিতে রূপ দিতে পারে।

একান্ত আলাপচারিতায় সিটি কর্পোরেশন অংকনশালা ও শিল্পচর্চা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শাহীন বলেন, সুন্দর ছবি আঁকা একধরণের প্রতিভা। তিনি বলেন- “যত দিন কাজ করার সুযোগ থাকবে ততদিন ছবি আঁকার কাজ করবো।”
এদিকে, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন অংকনশালা ও শিল্পচর্চা কেন্দ্রে কোনো শিশুকে ভর্তি করতে চাইলে নিম্নলিখিত মোবাইলে ফোন করে বিস্তারিত জানুন।
মোবাইল: 01711 – 27 03 63