০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় স্কুল শেষে নদীতে গোসল করতে নেমে প্রাণ গেল প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীর চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ও পৌর জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ‎ব্রাহ্মণপাড়ায় মোটরসাইকেল ফেলে পালালেন দুই যুবক, ৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার ‎ব্রাহ্মণপাড়া চান্দলায় পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে দুর্ধর্ষ ডাকাতি কুবির মেডিকেল সেবা নিশ্চিতে শিক্ষার্থীদের ৮ দাবি ফের গ্রেপ্তার দেবিদ্বার পৌরসভার মেয়র শামিম হোমনায় রেহানা মজিদ মহিলা কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত প্রথমবারের মতো কুবিতে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালুর সুপারিশ কুমিল্লায় ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল: ফ্যান-লাইট ও ফ্রিজের মাসিক বিল ১ লাখ ৬৭ হাজার টাকা! কুবি শিক্ষার্থীকে হত্যাকারীর শাস্তি নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ

কুমিল্লা পাসপোর্টের ডিডির বিরুদ্ধে সমন ইস্যুর নির্দেশ আদালতের

  • তারিখ : ০৬:৩১:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ অগাস্ট ২০২২
  • 9

মোঃ সাফি।।
চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল সোমবার দুপুর ১২টায় কুমিল্লায় পাসপোর্ট অফিসে সাকিবসহ তিন সেবাগ্রহীতাকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে উপ-পরিচালক (ডিডি) নুরুল হুদার বিরুদ্ধে।

এ ঘটনার বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহে গেলে দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার রিপোর্টার মো. সাফি ও রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য ম্যাক নিউজের রাকিবুল রানাকে লাঞ্ছিত করা হয়।

এ ঘটনার ভিডিও ধারণের সময় মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

পরে একটি ভিডিও সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় ১৮ এপ্রিল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমে সংবাদ প্রকাশিত হলে তা আদালতের নজরে আসে।

২৬ এপ্রিল বিকেল ৫টায় বাংলানিউজে সংবাদ প্রকাশের বিষয়টিকে সামনে এনে কুমিল্লা ১ নম্বর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্বাস উদ্দিন স্বপ্রণোদিত হয়ে র‌্যাবকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে তদন্তের ভার পড়ে পিবিআইয়ের ওপর।

১২ আগস্ট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআই কুমিল্লার পরিদর্শক মো. আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ। তদন্ত প্রতিবেদনে বাংলানিউজে প্রকাশিত সংবাদের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। সংবাদের প্রাথমিক সত্যতার ওপর ভিত্তি করে গতকাল ১৬ আগস্ট কুমিল্লা ১ নম্বর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্বাস উদ্দিন পাসপোর্ট অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে ৩২৩ ও ৩৫২ ধারায় অপরাধ আমলে নিয়ে সমন ইস্যুর নির্দেশ দেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্বাস উদ্দিন স্বাক্ষরিত একটি আদেশনামায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।

আদেশনামায় উল্লেখ করা হয়, দাখিলীয় তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, তদন্তকারী কর্মকর্তা ভিকটিম মো. সাকিব, ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রত্যক্ষ সাক্ষী সাংবাদিক মো. রকিবুল ইসলাম রানা ও মো. সাফিসহ ঘটনা সংশ্লিষ্ট মোট ১০জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬১ ধারার বিধানমতে লিপিবিদ্ধ করেছেন এবং তদন্তে প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজ জব্দ করেছেন। সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও জব্দকৃত ভিডিও ফুটেজ বিবেচনায় নিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা দাখিলীয় তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্ত উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৩২৩ ও ৩৫২ ধারার অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা রয়েছে মর্মে উল্লেখ করেন। বর্ণিত অবস্থায় অভিযুক্ত উপ-পরিচালকের ৩২৩ ও ৩৫২ ধারার অপরাধ আমলে নেওয়া হলো। যেহেতু সরকারি কর্মচারী আইন, ২০১৮ এর ৪১(৩) ধারায় সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনো আদালতে মোকদ্দমা বিচারাধীন থাকলে উক্ত কর্মচারীর নিয়োগকারী বা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে, সেহেতু পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আদেশ লিপি পাঠানো হোক। সমন তামিলের জন্য পরবর্তী ধার্য তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর।

error: Content is protected !!

কুমিল্লা পাসপোর্টের ডিডির বিরুদ্ধে সমন ইস্যুর নির্দেশ আদালতের

তারিখ : ০৬:৩১:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ অগাস্ট ২০২২

মোঃ সাফি।।
চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল সোমবার দুপুর ১২টায় কুমিল্লায় পাসপোর্ট অফিসে সাকিবসহ তিন সেবাগ্রহীতাকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে উপ-পরিচালক (ডিডি) নুরুল হুদার বিরুদ্ধে।

এ ঘটনার বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহে গেলে দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার রিপোর্টার মো. সাফি ও রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য ম্যাক নিউজের রাকিবুল রানাকে লাঞ্ছিত করা হয়।

এ ঘটনার ভিডিও ধারণের সময় মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

পরে একটি ভিডিও সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় ১৮ এপ্রিল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমে সংবাদ প্রকাশিত হলে তা আদালতের নজরে আসে।

২৬ এপ্রিল বিকেল ৫টায় বাংলানিউজে সংবাদ প্রকাশের বিষয়টিকে সামনে এনে কুমিল্লা ১ নম্বর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্বাস উদ্দিন স্বপ্রণোদিত হয়ে র‌্যাবকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে তদন্তের ভার পড়ে পিবিআইয়ের ওপর।

১২ আগস্ট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআই কুমিল্লার পরিদর্শক মো. আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ। তদন্ত প্রতিবেদনে বাংলানিউজে প্রকাশিত সংবাদের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। সংবাদের প্রাথমিক সত্যতার ওপর ভিত্তি করে গতকাল ১৬ আগস্ট কুমিল্লা ১ নম্বর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্বাস উদ্দিন পাসপোর্ট অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে ৩২৩ ও ৩৫২ ধারায় অপরাধ আমলে নিয়ে সমন ইস্যুর নির্দেশ দেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্বাস উদ্দিন স্বাক্ষরিত একটি আদেশনামায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।

আদেশনামায় উল্লেখ করা হয়, দাখিলীয় তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, তদন্তকারী কর্মকর্তা ভিকটিম মো. সাকিব, ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রত্যক্ষ সাক্ষী সাংবাদিক মো. রকিবুল ইসলাম রানা ও মো. সাফিসহ ঘটনা সংশ্লিষ্ট মোট ১০জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬১ ধারার বিধানমতে লিপিবিদ্ধ করেছেন এবং তদন্তে প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজ জব্দ করেছেন। সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও জব্দকৃত ভিডিও ফুটেজ বিবেচনায় নিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা দাখিলীয় তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্ত উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৩২৩ ও ৩৫২ ধারার অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা রয়েছে মর্মে উল্লেখ করেন। বর্ণিত অবস্থায় অভিযুক্ত উপ-পরিচালকের ৩২৩ ও ৩৫২ ধারার অপরাধ আমলে নেওয়া হলো। যেহেতু সরকারি কর্মচারী আইন, ২০১৮ এর ৪১(৩) ধারায় সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনো আদালতে মোকদ্দমা বিচারাধীন থাকলে উক্ত কর্মচারীর নিয়োগকারী বা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে, সেহেতু পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আদেশ লিপি পাঠানো হোক। সমন তামিলের জন্য পরবর্তী ধার্য তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর।