০৪:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বর্ণাঢ্য আয়োজনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘নবান্ন উৎসব ১৪৩২’ মুরাদনগরে মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আজিজ গ্রেপ্তার ১৭ তম কুমিল্লা মিডিয়া টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে জিতলেন মিডিয়া ওয়ারিয়র্স কুমিল্লায় ট্রাক্টর উল্টে নদীতে গোসলরত একই পরিবারের ৩ নারী নিহত কুমিল্লা জেলা বইমেলা ২০২৫–এ আবৃত্তি সংসদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় শাহরাস্তিতে বিএনপি’র মিলাদ ও দোয়া কুমিল্লায় মায়ের সামনে এসিল্যান্ডের গাড়িচাপায় দুই বছরের শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু ১৭তম কুমিল্লা মিডিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ৬ দলের জার্সি উন্মোচন জগন্নাথপুরে ঈদে মাজিউন্নবী ও ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন উপলক্ষে নাতে মোস্তফা মাহফিল বুড়িচংয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল ওহাব নিহত

থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত তিন সন্তানের চিকিৎসা করাতে হিমশিম খাচ্ছে বাবা

  • তারিখ : ০৭:২৪:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২
  • 34

মনির খাঁন, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি।
কুমিল্লার মুরাদনগরে বিরল রোগ থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত এক পরিবারের তিন সন্তান। ব্যায়বহুল এ রোগের চিকিৎসা চালাতে গিয়ে মানুষের দ্বাড়ে দ্বাড়ে ঘুরছেন গোলজার রহমান নামে এক পিতা। গোলজার রহমানের বাড়ি উপজেলার আন্দিকোট ইউনিয়নের ফুলঘর গ্রামে। অসহায় এ পিতা তার আদরের তিন সন্তানকে বাঁচাতে সরকারসহ বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আকুতি জানান।

জানা যায়, ফুলঘর গ্রামের বাসিন্দা গুলজার রহমান পেশায় মসজিদেও ইমাম ছিলেন। বিভিন্ন মসজিদে ইমামতি করে কোন রকম চালাতেন সংসার চালাতেন। কিন্তু তিন সন্তান বিরল রোগ থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হবার পর ইমামতির টাকায় সংসার এবং সন্তানদের চিকিৎসা না চালাতে পেরে, ইমামতি ছেড়ে অটোরিকশা চালানো সহ দিনমজুরের কাজ করছেন। কিন্তু তাতেও চলছে না সন্তানদের চিকিৎসা। দিন যত যাচ্ছে ততই বাড়ছে চিকিৎসার ব্যায়। এমতাবস্থায় সন্তানদের চিকিৎসা চালাতে গিয়ে ৫লাখ টাকার ঋনের বোঝা নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন তিনি।

গোলজারের ৫ সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে এবং সবার ছোট ছেলে সুস্থ্য আছে। তাছাড়া বাকী ১ ছেলে আব্দুর রহমান (১৪), মেয়ে মাহিনুর (৯) ও মাইশা মনি (৭) থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। এক যুগ ধরে তিন সন্তানের চিকিৎসা চালাতে গিয়ে বিক্রি করে দিয়েছেন জমি এবং ভিটেবাড়ি। প্রতি মাসে তিন সন্তানকে রক্ত দিতে হয়, এতে ক্লিনিক খরচ, নানা টেস্ট ও ঔষধসহ গড়ে মাসিক ১০/১২ হাজার টাকা খরচ হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় তিন সন্তানই বছরের বেশিরভাগ সময় নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ্য হয়ে থাকে, যে কারণে চিকিৎসা খরচও বেড়ে যায় কয়েক গুণ।

গোলজার রহমান বলেন, সন্তানদের চিকিৎসার জন্য নিজের ভিটেমাটি বিক্রি করে আজ আমার অবশিষ্ট কিছুই নেই। মসজিদে মানুষকে নামজ পড়িয়েছি, ভাবিনি কখনো দিনমুজুরের কাজ ও অটোরিকশা চালাতে হবে আমাকে। এখন এই স্বল্প আয়ে আমার সংসারের ভরনপোষন ও সন্তানদের চিকিৎসা চলছে না।

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিশেক দাস বলেন, থালাসেমিয়ায় আক্রান্ত গোলজার রহমানের তিন শিশুর বিষয়ে আমি জানতাম না। তবে শিগ্রই খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় সহায়তার ব্যবস্থা নেয়া হবে।

error: Content is protected !!

থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত তিন সন্তানের চিকিৎসা করাতে হিমশিম খাচ্ছে বাবা

তারিখ : ০৭:২৪:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২

মনির খাঁন, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি।
কুমিল্লার মুরাদনগরে বিরল রোগ থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত এক পরিবারের তিন সন্তান। ব্যায়বহুল এ রোগের চিকিৎসা চালাতে গিয়ে মানুষের দ্বাড়ে দ্বাড়ে ঘুরছেন গোলজার রহমান নামে এক পিতা। গোলজার রহমানের বাড়ি উপজেলার আন্দিকোট ইউনিয়নের ফুলঘর গ্রামে। অসহায় এ পিতা তার আদরের তিন সন্তানকে বাঁচাতে সরকারসহ বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আকুতি জানান।

জানা যায়, ফুলঘর গ্রামের বাসিন্দা গুলজার রহমান পেশায় মসজিদেও ইমাম ছিলেন। বিভিন্ন মসজিদে ইমামতি করে কোন রকম চালাতেন সংসার চালাতেন। কিন্তু তিন সন্তান বিরল রোগ থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হবার পর ইমামতির টাকায় সংসার এবং সন্তানদের চিকিৎসা না চালাতে পেরে, ইমামতি ছেড়ে অটোরিকশা চালানো সহ দিনমজুরের কাজ করছেন। কিন্তু তাতেও চলছে না সন্তানদের চিকিৎসা। দিন যত যাচ্ছে ততই বাড়ছে চিকিৎসার ব্যায়। এমতাবস্থায় সন্তানদের চিকিৎসা চালাতে গিয়ে ৫লাখ টাকার ঋনের বোঝা নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন তিনি।

গোলজারের ৫ সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে এবং সবার ছোট ছেলে সুস্থ্য আছে। তাছাড়া বাকী ১ ছেলে আব্দুর রহমান (১৪), মেয়ে মাহিনুর (৯) ও মাইশা মনি (৭) থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। এক যুগ ধরে তিন সন্তানের চিকিৎসা চালাতে গিয়ে বিক্রি করে দিয়েছেন জমি এবং ভিটেবাড়ি। প্রতি মাসে তিন সন্তানকে রক্ত দিতে হয়, এতে ক্লিনিক খরচ, নানা টেস্ট ও ঔষধসহ গড়ে মাসিক ১০/১২ হাজার টাকা খরচ হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় তিন সন্তানই বছরের বেশিরভাগ সময় নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ্য হয়ে থাকে, যে কারণে চিকিৎসা খরচও বেড়ে যায় কয়েক গুণ।

গোলজার রহমান বলেন, সন্তানদের চিকিৎসার জন্য নিজের ভিটেমাটি বিক্রি করে আজ আমার অবশিষ্ট কিছুই নেই। মসজিদে মানুষকে নামজ পড়িয়েছি, ভাবিনি কখনো দিনমুজুরের কাজ ও অটোরিকশা চালাতে হবে আমাকে। এখন এই স্বল্প আয়ে আমার সংসারের ভরনপোষন ও সন্তানদের চিকিৎসা চলছে না।

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিশেক দাস বলেন, থালাসেমিয়ায় আক্রান্ত গোলজার রহমানের তিন শিশুর বিষয়ে আমি জানতাম না। তবে শিগ্রই খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় সহায়তার ব্যবস্থা নেয়া হবে।