১২:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বুড়িচংয়ে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ কুমিল্লায় কবিরাজের কাছে ‘জিন ছাড়াতে’ গিয়ে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ মুরাদনগরে বিশেষ চাহিদা সম্পূর্ণ শিশু বিদ্যালয়ের এক বছর পূর্তি উদযাপন চৌদ্দগ্রামে উজিরপুর ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড মহিলা দলের মতবিনিময় সভা সরকারের জনবান্ধব উদ্যোগ মানুষকে জানাতে হবে -জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে সংঘর্ষের ঘটনায়, কিশোর গ্যাং এর ২৪ সদস্য গ্রেফতার ঢাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে কুমিল্লার শিক্ষার্থী জুবায়েদ নিহত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাবের রোবটিক্স ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় অভিনব কায়দায় মিশুকের সিটের নিচে মাদক পাচার, র‍্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার ১ কুমিল্লায় বিজিবির অভিযানে এক কোটি টাকার বেশি ভারতীয় পণ্য জব্দ

দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল কুমিল্লা

  • তারিখ : ০৮:৩৫:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪
  • 66

স্টাফ রিপোর্টার।।
দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা বন্ধের দাবীতে কুমিল্লায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চা।

বিকেল ৩টার দিকে কুমিল্লা নগরের পূবালী চত্ত্বরের প্রধান সড়কে বসে শ্লোগান দেয় হিন্দু সম্প্রদায়ের তরুণ-যুবক- বৃদ্ধ-নারী সকলে। হাতে ছিলো আমার মাটি আমার মা বাংলাদেশ ছাড়বো না লিখা প্লেকার্ড মুখে প্রতিবাদি শ্লোগান। লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে, সনাতনীরা জেগেছে। পরে নগরের টাউনহল মাঠে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ সহ-সভাপতি কানাই নাগ ও জাগো হিন্দু পরিষদ সাধারণ পরিষদ কিশোর কুমার দাস এর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে সহমত পোষণ করে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা, ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘু ঐক্য মোর্চা সমন্বয়কারী অধ্যাপক দিলীপ মজুমদার, কুমিল্লা মহানগর পুজা উদযাপন পরিষদ সাধারণ সম্পাদক অচিন্ত্য দাস টিটু, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসর ড. বিশ্বজিত দেব, ঐক্য পরিষদ কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ তাপস বকসী, ইসকন কুমিল্লার উপদেষ্টা তাপস নাহা, পূজা উদযাপন পরিষদ কুমিল্লা জেলা সহসভাপতি নির্মল পাল, হিন্দুমহাজোট কুমিল্লার সহসভাপতি এড. স্বর্ণকমল নন্দী, আইনজীবি ঐক্য পরিষদ কুমিল্লা সাধারণ সম্পাদক এড সুবির নন্দীবাবু, ডা: বনশ্রী সাহা,ডা: করুনা রানী কর্মকার, ইসকন কুমিল্লার রুপচান্দ দাস, পিতাম্বর দাস, দর্পন সংঘের শ্যামল কৃষ্ণ সাহা, বৌদ্ধ এসোসিয়েশন এর ধর্মপ্রান ভিক্ষু, ত্রিশুলের প্রেসিডেন্ট আশীষ দাস, সাগর দাস, সাবেক পিপি এড প্রদীপ দত্ত, সজল চন্দ্র কর্মকার, লোকনাথ স্মৃতি তর্পনের হারাধন ভৌমিক, লিটন কর্মকার প্রমূখ।

সভায় বক্তরা দ্রুত সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন, দেশে সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন প্রনয়ন সহ সম্প্রতি সারাদেশে ঘটে যাওয়া সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির, বাড়ীঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অগ্নিসংযোগ সহ ভাংচুরকরা সহ নাসকতার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি প্রদান করতে অন্তর্বর্তী কালীন সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে বক্তারা দাবিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থেকে সরে না দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

সমাবেশ শেষে ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চার ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি নগরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে বিপুল সংখ্যাক নারী-পুরুষসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের সকল শ্রেনীপেশার মানুষ অংশ নেন।

অধ্যক্ষ তাপস বকসি বলেন, অবিলম্বে হামলা বন্ধ করতে হবে। চেখের জল শুকিয়ে গেছে, ৪৭ এ পূর্ব পুরুষেরা গেছে, ৭১ সালে চলে গেছে, কিন্তু ২৪সালে আর যাবো না।

যতদিন হামলা বন্ধ না হলে কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন বক্তারা।

অবিলম্বে সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধ করে হামলাকারিদের চিহিৃত করে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবী জানান। সেই সাথে হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষতপূরনের ও দাবী তোলেন হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরা।

error: Content is protected !!

দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল কুমিল্লা

তারিখ : ০৮:৩৫:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার।।
দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা বন্ধের দাবীতে কুমিল্লায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চা।

বিকেল ৩টার দিকে কুমিল্লা নগরের পূবালী চত্ত্বরের প্রধান সড়কে বসে শ্লোগান দেয় হিন্দু সম্প্রদায়ের তরুণ-যুবক- বৃদ্ধ-নারী সকলে। হাতে ছিলো আমার মাটি আমার মা বাংলাদেশ ছাড়বো না লিখা প্লেকার্ড মুখে প্রতিবাদি শ্লোগান। লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে, সনাতনীরা জেগেছে। পরে নগরের টাউনহল মাঠে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ সহ-সভাপতি কানাই নাগ ও জাগো হিন্দু পরিষদ সাধারণ পরিষদ কিশোর কুমার দাস এর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে সহমত পোষণ করে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা, ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘু ঐক্য মোর্চা সমন্বয়কারী অধ্যাপক দিলীপ মজুমদার, কুমিল্লা মহানগর পুজা উদযাপন পরিষদ সাধারণ সম্পাদক অচিন্ত্য দাস টিটু, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসর ড. বিশ্বজিত দেব, ঐক্য পরিষদ কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ তাপস বকসী, ইসকন কুমিল্লার উপদেষ্টা তাপস নাহা, পূজা উদযাপন পরিষদ কুমিল্লা জেলা সহসভাপতি নির্মল পাল, হিন্দুমহাজোট কুমিল্লার সহসভাপতি এড. স্বর্ণকমল নন্দী, আইনজীবি ঐক্য পরিষদ কুমিল্লা সাধারণ সম্পাদক এড সুবির নন্দীবাবু, ডা: বনশ্রী সাহা,ডা: করুনা রানী কর্মকার, ইসকন কুমিল্লার রুপচান্দ দাস, পিতাম্বর দাস, দর্পন সংঘের শ্যামল কৃষ্ণ সাহা, বৌদ্ধ এসোসিয়েশন এর ধর্মপ্রান ভিক্ষু, ত্রিশুলের প্রেসিডেন্ট আশীষ দাস, সাগর দাস, সাবেক পিপি এড প্রদীপ দত্ত, সজল চন্দ্র কর্মকার, লোকনাথ স্মৃতি তর্পনের হারাধন ভৌমিক, লিটন কর্মকার প্রমূখ।

সভায় বক্তরা দ্রুত সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন, দেশে সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন প্রনয়ন সহ সম্প্রতি সারাদেশে ঘটে যাওয়া সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির, বাড়ীঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অগ্নিসংযোগ সহ ভাংচুরকরা সহ নাসকতার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি প্রদান করতে অন্তর্বর্তী কালীন সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে বক্তারা দাবিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থেকে সরে না দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

সমাবেশ শেষে ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চার ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি নগরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে বিপুল সংখ্যাক নারী-পুরুষসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের সকল শ্রেনীপেশার মানুষ অংশ নেন।

অধ্যক্ষ তাপস বকসি বলেন, অবিলম্বে হামলা বন্ধ করতে হবে। চেখের জল শুকিয়ে গেছে, ৪৭ এ পূর্ব পুরুষেরা গেছে, ৭১ সালে চলে গেছে, কিন্তু ২৪সালে আর যাবো না।

যতদিন হামলা বন্ধ না হলে কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন বক্তারা।

অবিলম্বে সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধ করে হামলাকারিদের চিহিৃত করে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবী জানান। সেই সাথে হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষতপূরনের ও দাবী তোলেন হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরা।