০২:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
Although not, the greatest victories into the Playtech’s community provides happened into the most other popular online slots Together with, the latest promise of future discount password products adds an element of expectation to have what exactly is ahead Slots be noticeable due to their vibrant image and enjoyable templates কুবিতে ‘ডাটা গভর্নেন্স অ্যান্ড ইন্টারঅপারেবিলিটি’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ৮৬ লাখ টাকার ভারতীয় মোবাইল ডিসপ্লে আটক দেবিদ্বারে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া প্রতিরোধে ‘ক্লিনিং ক্যাম্পেইন’ উদ্বোধন Free Gambling Enterprise Games for Enjoyable: A Total Guide চৌদ্দগ্রামে মাদরাসা শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানী: পল্লী চিকিৎসক ইয়াছিন আটক কুমিল্লায় শ্বশুরবাড়ির সেফটি ট্যাঙ্কিতে জামাতার লাশ; স্ত্রী, দুই পুত্র ও দুই শ্যালক আটক কুমিল্লায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ৪ মাজারে হামলা ভাঙচুর আগুন

মেঘনায় ভাঙ্গা ব্রিজের ওপর বাঁশের সাঁকো, ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

  • তারিখ : ০৬:৩৪:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ জানুয়ারী ২০২১
  • 223

এন.সি জুুয়েল।।
কুমিল্লার মেঘনায় ভাওরখোলা ইউনিয়নের শেষ প্রান্ত ও গোবিন্দপুর ইউনিয়নের শেষ প্রান্তের মধ্যবর্তী স্থানে দুটি ব্রিজ ও তিন কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের অভাবে প্রায় ৩০ হাজার জনগণ চলাচলে সীমাহীন জনদুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

প্রতিদিন ভাওরখোলা ইউনিয়নের অন্তর্গত কয়েকটি গ্রামের মানুষ ও শিক্ষার্থীরা এ ভাঙ্গা ব্রিজের ওপর বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে।

প্রতিদিন শিক্ষার্থীরা দুই কিলোমিটার হেঁটে গোবিন্দপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত দৌলত হোসেন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সেননগর পাইলট হাইস্কুলে যায়। এ ছাড়া বিধ্বস্ত ব্রিজের দুই পাশে মির্জানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আরো বেশ কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাটবাজার অবস্থিত। সবখানেই হেঁটে কষ্ট করে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের।

ঐতিহ্যবাহী বাজার খিরার চকবাজারে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূর হতে জনগণ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়-বিক্রয় করতে আসত। কিন্তু দুই পাশে দুই ব্রিজের এবং রাস্তার সংস্কারের অভাবে মানুষ এখন চলাচল করতে পারছে না। ফলে জনদুর্ভোগের শেষ নেই যেন।

গোবিন্দপুর ইউনিয়ন ও ভাওরখোলা ইউনিয়নের বেশকিছু গ্রামের মানুষ ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং মেঘনা উপজেলা প্রধান সড়কে সংযোগস্থল হওয়ার কারণে এ রাস্তাটি দিয়েই চলাচল করছে। মেঘনা উপজেলা সদর হতে প্রায় দুই কিলোমিটার দক্ষিণে কদমতলা বাসস্টেশন হতে মির্জানগর দড়ি মির্জানগর আতাউল্লাহ কান্দিসহ কয়েকটি গ্রামের জনগণ ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে এভাবে চলাচল করছেন।

বর্ষা এলে নৌকায় হলো তাদের একমাত্র বাহন। মাত্র এক বছর আগে জনগণের স্বার্থে কদমতলা হতে খিরার চকবাজার পর্যন্ত সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে কাচা রাস্তা দিয়ে খুব কষ্ট করে চলাচল করত তারা। কিন্তু ছয়-সাত মাস ধরে মির্জানগরে মাঝখানে ব্রিজটি উন্নতমানের রড সিমেন্ট দিয়ে নির্মাণ না করায় সেটিও মাটিতে দেবে যায়।

ফলে সাধারণ জনগণ এর চলাচলে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় এলাকাবাসীর সঙ্গে। তারা আক্ষেপ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ রাস্তাটির বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। জানি না, কবে নাগাদ এর মেরামত হবে।

মির্জানগর গ্রামের ডাক্তার আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, এ রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় আছে, এর মধ্যে আবার ব্রিজ ভেঙে পড়ে গেছে। অনতিবিলম্বে এটির সংস্কার জরুরি।
মির্জানগর গ্রামের কামাল মেম্বার বলেন, আমরা এ রাস্তাগুলো নিয়ে অনেক বিপদে আছি, রাস্তা সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।

পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইমাম হোসেন বলেন, প্রায় ২০ বছর ধরে আশানুরূপ কোনো উন্নয়ন দেখছি না এলাকায়। গোবিন্দপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাইন উদ্দিন বলেন, সমস্যা তুলে ধরে কুমিল্লা অফিসে পাঠানো হয়েছে।

মেঘনা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার মো. মেহেদী হাসান বলেন, বিধ্বস্ত ব্রিজটি সংস্কারের জন্য ওপরের মহলের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আর রাস্তাটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংস্কারের জন্য অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক আব্বাসীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশা করি, খুব তাড়াতাড়ি এর সমাধান হবে।

error: Content is protected !!

মেঘনায় ভাঙ্গা ব্রিজের ওপর বাঁশের সাঁকো, ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

তারিখ : ০৬:৩৪:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ জানুয়ারী ২০২১

এন.সি জুুয়েল।।
কুমিল্লার মেঘনায় ভাওরখোলা ইউনিয়নের শেষ প্রান্ত ও গোবিন্দপুর ইউনিয়নের শেষ প্রান্তের মধ্যবর্তী স্থানে দুটি ব্রিজ ও তিন কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের অভাবে প্রায় ৩০ হাজার জনগণ চলাচলে সীমাহীন জনদুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

প্রতিদিন ভাওরখোলা ইউনিয়নের অন্তর্গত কয়েকটি গ্রামের মানুষ ও শিক্ষার্থীরা এ ভাঙ্গা ব্রিজের ওপর বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে।

প্রতিদিন শিক্ষার্থীরা দুই কিলোমিটার হেঁটে গোবিন্দপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত দৌলত হোসেন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সেননগর পাইলট হাইস্কুলে যায়। এ ছাড়া বিধ্বস্ত ব্রিজের দুই পাশে মির্জানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আরো বেশ কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাটবাজার অবস্থিত। সবখানেই হেঁটে কষ্ট করে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের।

ঐতিহ্যবাহী বাজার খিরার চকবাজারে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূর হতে জনগণ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়-বিক্রয় করতে আসত। কিন্তু দুই পাশে দুই ব্রিজের এবং রাস্তার সংস্কারের অভাবে মানুষ এখন চলাচল করতে পারছে না। ফলে জনদুর্ভোগের শেষ নেই যেন।

গোবিন্দপুর ইউনিয়ন ও ভাওরখোলা ইউনিয়নের বেশকিছু গ্রামের মানুষ ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং মেঘনা উপজেলা প্রধান সড়কে সংযোগস্থল হওয়ার কারণে এ রাস্তাটি দিয়েই চলাচল করছে। মেঘনা উপজেলা সদর হতে প্রায় দুই কিলোমিটার দক্ষিণে কদমতলা বাসস্টেশন হতে মির্জানগর দড়ি মির্জানগর আতাউল্লাহ কান্দিসহ কয়েকটি গ্রামের জনগণ ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে এভাবে চলাচল করছেন।

বর্ষা এলে নৌকায় হলো তাদের একমাত্র বাহন। মাত্র এক বছর আগে জনগণের স্বার্থে কদমতলা হতে খিরার চকবাজার পর্যন্ত সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে কাচা রাস্তা দিয়ে খুব কষ্ট করে চলাচল করত তারা। কিন্তু ছয়-সাত মাস ধরে মির্জানগরে মাঝখানে ব্রিজটি উন্নতমানের রড সিমেন্ট দিয়ে নির্মাণ না করায় সেটিও মাটিতে দেবে যায়।

ফলে সাধারণ জনগণ এর চলাচলে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় এলাকাবাসীর সঙ্গে। তারা আক্ষেপ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ রাস্তাটির বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। জানি না, কবে নাগাদ এর মেরামত হবে।

মির্জানগর গ্রামের ডাক্তার আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, এ রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় আছে, এর মধ্যে আবার ব্রিজ ভেঙে পড়ে গেছে। অনতিবিলম্বে এটির সংস্কার জরুরি।
মির্জানগর গ্রামের কামাল মেম্বার বলেন, আমরা এ রাস্তাগুলো নিয়ে অনেক বিপদে আছি, রাস্তা সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।

পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইমাম হোসেন বলেন, প্রায় ২০ বছর ধরে আশানুরূপ কোনো উন্নয়ন দেখছি না এলাকায়। গোবিন্দপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাইন উদ্দিন বলেন, সমস্যা তুলে ধরে কুমিল্লা অফিসে পাঠানো হয়েছে।

মেঘনা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার মো. মেহেদী হাসান বলেন, বিধ্বস্ত ব্রিজটি সংস্কারের জন্য ওপরের মহলের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আর রাস্তাটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংস্কারের জন্য অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক আব্বাসীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশা করি, খুব তাড়াতাড়ি এর সমাধান হবে।