০১:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লার দেবিদ্বারে পানিতে ডুবে একই পরিবারের দুই শিশুর মৃত্যু কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ঝটিকা মিছিল, আটক ৫ বুড়িচংয়ে পূজা উদযাপনে থাকবে সেনাবাহিনী-পুলিশের নিরাপত্তা বলয় বুড়িচংয়ে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ৫ লক্ষ টাকার ওষুধ বিতরণ ইমোর মাধ্যমে প্রবাসীর সঙ্গে পরিচয়, কুমিল্লার দুলাল হত্যার পেছনের মূল কারণ কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে চার গাড়ির সংঘর্ষে ২ জন নিহত, আহত ৩ কুমিল্লার মুরাদনগরে পরিত্যক্ত মুরগির খামার থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার কুমিল্লায় স্কুল শেষে নদীতে গোসল করতে নেমে প্রাণ গেল প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীর চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ও পৌর জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ‎ব্রাহ্মণপাড়ায় মোটরসাইকেল ফেলে পালালেন দুই যুবক, ৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার

যুক্তরাষ্ট্রে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে ধারণার চেয়েও বেশি

  • তারিখ : ০৭:৫০:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর ২০২০
  • 227

করোনাভাইরাস মহামারিতে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে আক্রান্ত-মৃতের সংখ্যা অন্য যেকোনও অঞ্চলের তুলনায় সর্বোচ্চ তো বটেই, দেশটির অর্থনীতিতেও লেগেছে শক্তিশালী আঘাত। করোনা মহামারিতে যুক্তরাষ্ট্রে যত লোক বেকার হতে পারেন বলে ধারণা করছিলেন বিশেষজ্ঞরা, বাস্তবে কর্মহীন লোকের সংখ্যা বাড়ছে তার চেয়েও দ্রুত গতিতে।

যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বিভাগের প্রতিবেদন অনুসারে, দেশটিতে গত ২১ তারিখ শেষ হওয়া সপ্তাহে কাজ হারিয়ে সরকারের কাছে বেকারত্ব সুবিধার জন্য আবেদন করেছেন অন্তত ৭ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ, যা অর্থনীতিবিদদের ধারণার চেয়ে প্রায় অর্ধলাখ বেশি।

ডো জোনসের অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসে ওই সাতদিনে যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ ৭ লাখ ৩৩ হাজার জন বেকারত্ব সুবিধার জন্য আবেদন করতে পারেন বলে জানানো হয়েছিল।

এর আগের সপ্তাহেও দেশটিতে ৭ লাখ ৪২ হাজার মার্কিনি বেকারত্ব সুবিধার জন্য আবেদন করেছিলেন।

তবে বেকারের সংখ্যা বাড়লেও ধীরে ধীরে তাদের জন্য বরাদ্দ আর্থিক সহায়তা কমাতে শুরু করেছে মার্কিন প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্ব সুবিধা পাচ্ছেন এমন লোকের সংখ্যা গত দুই সপ্তাহ ধরেই কমছে।

একদিকে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে, অন্যদিকে আর্থিক সুবিধাও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে- এমন দ্বিমুখী সংকটে নাজেহাল অবস্থা অনেক মার্কিনির।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশটিতে আবারও হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এর মধ্যে প্রিয়জনের সঙ্গে থ্যাংকসগিভিং পালন করতে অনেকেই দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে গেছেন। ফলে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে আবারও ব্যাপক হারে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়া আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার বিকেল নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ। মারা গেছেন অন্তত ২ লাখ ৬৩ হাজার ২০০ জন।

সূত্র: শিনহুয়া

error: Content is protected !!

যুক্তরাষ্ট্রে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে ধারণার চেয়েও বেশি

তারিখ : ০৭:৫০:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর ২০২০

করোনাভাইরাস মহামারিতে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে আক্রান্ত-মৃতের সংখ্যা অন্য যেকোনও অঞ্চলের তুলনায় সর্বোচ্চ তো বটেই, দেশটির অর্থনীতিতেও লেগেছে শক্তিশালী আঘাত। করোনা মহামারিতে যুক্তরাষ্ট্রে যত লোক বেকার হতে পারেন বলে ধারণা করছিলেন বিশেষজ্ঞরা, বাস্তবে কর্মহীন লোকের সংখ্যা বাড়ছে তার চেয়েও দ্রুত গতিতে।

যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বিভাগের প্রতিবেদন অনুসারে, দেশটিতে গত ২১ তারিখ শেষ হওয়া সপ্তাহে কাজ হারিয়ে সরকারের কাছে বেকারত্ব সুবিধার জন্য আবেদন করেছেন অন্তত ৭ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ, যা অর্থনীতিবিদদের ধারণার চেয়ে প্রায় অর্ধলাখ বেশি।

ডো জোনসের অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসে ওই সাতদিনে যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ ৭ লাখ ৩৩ হাজার জন বেকারত্ব সুবিধার জন্য আবেদন করতে পারেন বলে জানানো হয়েছিল।

এর আগের সপ্তাহেও দেশটিতে ৭ লাখ ৪২ হাজার মার্কিনি বেকারত্ব সুবিধার জন্য আবেদন করেছিলেন।

তবে বেকারের সংখ্যা বাড়লেও ধীরে ধীরে তাদের জন্য বরাদ্দ আর্থিক সহায়তা কমাতে শুরু করেছে মার্কিন প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্ব সুবিধা পাচ্ছেন এমন লোকের সংখ্যা গত দুই সপ্তাহ ধরেই কমছে।

একদিকে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে, অন্যদিকে আর্থিক সুবিধাও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে- এমন দ্বিমুখী সংকটে নাজেহাল অবস্থা অনেক মার্কিনির।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশটিতে আবারও হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এর মধ্যে প্রিয়জনের সঙ্গে থ্যাংকসগিভিং পালন করতে অনেকেই দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে গেছেন। ফলে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে আবারও ব্যাপক হারে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়া আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার বিকেল নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ। মারা গেছেন অন্তত ২ লাখ ৬৩ হাজার ২০০ জন।

সূত্র: শিনহুয়া