০৯:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়নের দাবিতে চান্দিনা-বাগুর বাসস্ট্যান্ডে মানববন্ধন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে ‘সায়েন্স, স্পিরিচুয়ালিটি অ্যান্ড স্যাংকটিটি’ কনফারেন্স বাঙ্গরায় আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত অফিসের শুভ উদ্বোধন চান্দিনায় সবুজ গাছের চারা হাতে নিয়ে মাদককে লাল কার্ড দেখালো শিক্ষার্থীরা সাহেবাবাদ ডিগ্রি কলেজ; ১৫৩ জনের মধ্যে ১৩৮ জন ফেল; পাসের হার মাত্র ৯.৮০% কুমিল্লা বোর্ডের ৯ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করেনি কেউ কুমিল্লায় খেলতে বের হয়ে পানিতে ডুবে ২ ভাইয়ের মৃত্যু টানা ১৪ বছর কুমিল্লা বোর্ডসেরা সোনার বাংলা কলেজ; শতভাগ পাস, ১৪৮ জন জিপিএ-৫ জিপিএ-৫ পেল কুমিল্লা সোনার বাংলা কলেজের পায়েল ইসলাম; ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়ন না হলে রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধের হুমকি প্রবাসীদের

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিঁড়ির নিচে শিক্ষকদের অফিস, এক কক্ষে দুই শ্রেণির পাঠদান

  • তারিখ : ০৬:০৭:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
  • 98

মোঃ জামাল হোসেন।।
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে দক্ষিণ নিজমেহের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিঁড়ির নিচে অফিস, এক কক্ষে দুই শ্রেণির পাঠদান”

একতলা বিদ্যালয় ভবনের কক্ষ মাত্র দুটি। ভবনটির সিঁড়ির নিচে বসে দাপ্তরিক কাজ করেন শিক্ষকরা। একটি কক্ষে একসঙ্গে চলে দুই শ্রেণিরা পাঠদান। সময় ভাগ করে চলে ক্লাস। শ্রেণিকক্ষ সংকটে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। বছর বছর কমছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা।

ঘটনাটি শাহরাস্তি উপজেলা সদরের দক্ষিণ নিজমেহের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

জানা যায়, উপজেলা প্রশাসন ও পৌর ভবন থেকে মাত্র এক কিলোমিটারের মধ্যেই অবস্থিত দক্ষিণ নিজ মেহের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ে রয়েছে মাত্র দুটি কক্ষ। বর্তমানে স্কুলটিতে চালিয়ে যাচ্ছেন ছয়জন শিক্ষিকা। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে স্কুলটির কার্যক্রম। সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত চলে শিশু, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠদান। বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান।

বৃহস্পতিবার দক্ষিণ নিজমেহের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, সিঁড়ির নিচে চেয়ারে বসে আছেন কয়েকজন শিক্ষক। তাদের জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বলেন, শিক্ষকদের কক্ষ না থাকায় এখানেই বসতে হয়। দৃষ্টিকটু মনে হলেও বাধ্য হয়েই এ কাজটি করে যাচ্ছেন বলে জানান তারা। ওই সময় স্কুলটির একটি কক্ষে চলছিল পাঠদান। সেখানে গিয়ে দেখা মিলে দুই শিক্ষকের। তারা একসঙ্গে দুই শ্রেণির ক্লাস নিচ্ছেন।

শাহরাস্তি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মরিয়ম আক্তার জানান, ২০১৭ সালে তিনি এ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। এরপর থেকেই প্রতি বছর ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের জন্য লিখিত আবেদন করে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু এতে কোনো কাজ হচ্ছে না।

সহকারী শিক্ষিকা জান্নাতুল মাওয়া বলেন, ‘একটি কক্ষে দুটি শ্রেণির পাঠদান করতে সমস্যা হচ্ছে। আমাদের অফিস ও নামাজের স্থান নেই।’

উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন বলেন, ‘বিদ্যালয়টির ভবন প্রয়োজন। আমরা কয়েকবার তালিকাভুক্ত করে ভবনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরে তালিকাটি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি।

error: Content is protected !!

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিঁড়ির নিচে শিক্ষকদের অফিস, এক কক্ষে দুই শ্রেণির পাঠদান

তারিখ : ০৬:০৭:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

মোঃ জামাল হোসেন।।
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে দক্ষিণ নিজমেহের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিঁড়ির নিচে অফিস, এক কক্ষে দুই শ্রেণির পাঠদান”

একতলা বিদ্যালয় ভবনের কক্ষ মাত্র দুটি। ভবনটির সিঁড়ির নিচে বসে দাপ্তরিক কাজ করেন শিক্ষকরা। একটি কক্ষে একসঙ্গে চলে দুই শ্রেণিরা পাঠদান। সময় ভাগ করে চলে ক্লাস। শ্রেণিকক্ষ সংকটে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। বছর বছর কমছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা।

ঘটনাটি শাহরাস্তি উপজেলা সদরের দক্ষিণ নিজমেহের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

জানা যায়, উপজেলা প্রশাসন ও পৌর ভবন থেকে মাত্র এক কিলোমিটারের মধ্যেই অবস্থিত দক্ষিণ নিজ মেহের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ে রয়েছে মাত্র দুটি কক্ষ। বর্তমানে স্কুলটিতে চালিয়ে যাচ্ছেন ছয়জন শিক্ষিকা। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে স্কুলটির কার্যক্রম। সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত চলে শিশু, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠদান। বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান।

বৃহস্পতিবার দক্ষিণ নিজমেহের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, সিঁড়ির নিচে চেয়ারে বসে আছেন কয়েকজন শিক্ষক। তাদের জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বলেন, শিক্ষকদের কক্ষ না থাকায় এখানেই বসতে হয়। দৃষ্টিকটু মনে হলেও বাধ্য হয়েই এ কাজটি করে যাচ্ছেন বলে জানান তারা। ওই সময় স্কুলটির একটি কক্ষে চলছিল পাঠদান। সেখানে গিয়ে দেখা মিলে দুই শিক্ষকের। তারা একসঙ্গে দুই শ্রেণির ক্লাস নিচ্ছেন।

শাহরাস্তি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মরিয়ম আক্তার জানান, ২০১৭ সালে তিনি এ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। এরপর থেকেই প্রতি বছর ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের জন্য লিখিত আবেদন করে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু এতে কোনো কাজ হচ্ছে না।

সহকারী শিক্ষিকা জান্নাতুল মাওয়া বলেন, ‘একটি কক্ষে দুটি শ্রেণির পাঠদান করতে সমস্যা হচ্ছে। আমাদের অফিস ও নামাজের স্থান নেই।’

উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন বলেন, ‘বিদ্যালয়টির ভবন প্রয়োজন। আমরা কয়েকবার তালিকাভুক্ত করে ভবনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরে তালিকাটি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি।