কুবি প্রতিনিধি।।
গত ২৮ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস (লতা) এর উপর সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে।
আজ বৃহস্পতিবার (২রা মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে সকাল ১০:৩০ টায় এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। দুপুর ২ টা পর্যন্ত এই মানববন্ধন চলমান ছিল। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
এসময় জনতার সম্মুখে এক বক্তব্যে পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন এসোশিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন “লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস এর উপর যে সকল অছাত্র, বহিরাগত সন্ত্রাসী বর্বরোচিত হামলা করেছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ করেছে।
বিভাগের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের একটাই দাবি যারা আমাদের শিক্ষকের উপর হামলা করছে অচিরেই তাদেরকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হউক। শিক্ষক এবং সাধারন শিক্ষার্থীরা যেনো নির্বিঘ্নে চলা-ফেরা করতে পারে প্রশাসন যেনো সেই পরিবেশ তৈরি করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে যে চলমান সংকট তৈরি হয়েছে তা অচিরেই সমাধান করে আগের পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হউক।”
মানববন্ধনে লোক প্রশাসন বিভাগের ১৩ তম আর্বতনের শিক্ষার্থী মুজাম্মেল হক স্টুডেন্ট’স আই কে জানান “২৮ শে এপ্রিলে শিক্ষকদের উপর বিশেষ করে আমাদের ডিপার্টমেন্টের শ্রদ্ধেয় সহযোগী অধ্যাপক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস ম্যামের উপর যে বর্বর হামলা রচিত হয়েছে সেটার তীব্র প্রতিবাদ জানাতে আজকে আমরা মানববন্ধনে একত্রিত হয়েছি।
প্রকৃত পক্ষে, এই ভিসি আসার পর থেকেই এখানকার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পাস অনিরাপদ হয়ে গিয়েছে। উনি বহিরাগত এবং অ-ছাত্রদের নিয়ে এসে শিক্ষকদের উপর হামলা করিয়ে এই ক্যাম্পাসের পবিত্রতা নষ্ট করেছেন। উনি গবেষণা, গবেষণা বলে গলা ফাটান ঠিকই, কিন্ত আজ পর্যন্ত গবেষণার দৃশ্যমান কোন অবকাঠামো তৈরী করতে পারেন নি। উনার ‘ক্রিটিক্যাল থিংকিং’ ধারণা থেকে অবৈধ জিনিস কে কিভাবে বৈধ করা যায় সেই সবকই আমরা শিখছি। তবে যাইহোক, ২৮ তারিখে ঘটে যাওয়া নেক্কার জনক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি এবং ক্যাম্পাস খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে এবং পরীক্ষায় বসার সুযোগ করে দেওয়ার দাবী জানাচ্ছি।”
লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাহিদুল ইসলাম স্টুডেন্ট’স আইকে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে কি এমন পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করে দিতে হবে? এই ক্যাম্পাস বন্ধের পিছনে বর্তমান শিক্ষার্থীদের দোষ আছে রয়েছে। কেননা বর্তমানে ক্যাম্পাস দেখাশোনা করে দশ পনেরো বছর আগে পড়াশোনা শেষ করা মানুষরা। তারা কেন ক্যাম্পাস দেখাশোনা করবে? ক্যাম্পাস দেখাশোনা দায়িত্ব বর্তমান শিক্ষার্থীদের। উনি( উপাচার্য) যে গবেষণার কথা বলেন, তার সারাজীবনের গবেষণা দিয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস লতার সমকক্ষ হবে না। কারণ লতা বসে থাকার মানুষ না। তিনি যেমন শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেন তেমনি গবেষণাও সমান তালে চালিয়ে যান।”
তিনি আরও বলেন, বর্বরতা হামলা করে আপনি উপাচার্যের পদের যোগ্যতা হারিয়েছেন। আমরা আপনাকে আর ক্যাম্পাসে দেখতে চায় না। আপনি চলে গিয়ে আমাদের মুক্তি দিন।