০৯:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বিজয় ২৪ হলের কক্ষে বহিরাগত নারী-পুরুষ; শিক্ষার্থীরা বিব্রত কুমিল্লায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া হত্যাকাণ্ডে মৌন মিছিল কুমিল্লায় রেললাইনের পাশে যুবকের মরদেহ; হত্যা নাকি দূর্ঘটনা ! “নিউজটা ডিলেট করা যায় কি?”-ওসি কোতয়ালি কুমিল্লার মা–মেয়ে হত্যাকাণ্ড; প্রশ্নের ভিতরে কিছু প্রশ্ন! কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে হালচাষের ট্রাক্টর উল্টে কিশোর নিহত কুমিল্লায় ধর্ষণের বাধা দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ও মাকে খুন; মূলহোতা মোবারক গ্রেফতার পাশাপাশি দাফন করা হলো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেয়ে ও তার মাকে

কুমিল্লায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইলিং করে ৩৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায়, ৭ প্রতারক গ্রেপ্তার

  • তারিখ : ০৪:৪৫:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪
  • 19

নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইলিং এর মাধ্যমে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগে ৭ প্রতারককে গ্রেফতার কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

প্রতারণার সময় আটককৃতরা নিজেদেরকে ডিবি পুলিশ ও সাংবাদিকদের পরিচয় দিয়ে বিশাল অঙ্কের টাকা আদায় করে আসছিল।

শনিবার সকালে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান। ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন সময়ে কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

এ সময়ে চাঁদা আদায়ের জন্য ব্যবহৃত ভুক্তভোগের স্বাক্ষরিত সাতটি অলিখিত স্টাম্প, স্বাক্ষরিত সাতটি খালি ব্যাংক চেক উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার প্রতারক চক্রের সদস্যরা হল – ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়া সৈয়দ অয়াত উল্যাহ ও ইমরান হোসেন, ভুয়া সাংবাদিক পরিচয় দেয়া মোঃ মোজাম্মেল হক, চাঁদা আদায়কারী মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, গোপন ভিডিও ধারণ পরিকল্পনাকারী আব্দুর রহিম, ফাঁদে ফেলার বাসার মালিক মোহাম্মদ কোভিদ হোসেন ও পুরো ঘটনার মাস্টারমাইন্ড তাসনুভা আক্তার। পুলিশ সুপার জানান, কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার এলাকার এক ব্যক্তিকে মোবাইল ফোনে কল করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাসনুভা আক্তার।

পরিকল্পনা করে ওই ব্যক্তিকে কুমিল্লা সদর উপজেলার বালুতোপা এলাকার একটি বাসায় নিয়ে শারীরিক সম্পর্কের ফলাফনে ভিডিও চিত্র ধারণ করে।

এ সময়ে ঘটনাস্থলেই ডিবি পুলিশ ও সাংবাদিকের উপস্থিতি দেখিয়ে শুরু হয় ভুক্তভোগীর কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের কৌশল। প্রতারণার ভিডিও ছেলের মোবাইলে পাঠিয়ে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে প্রতারক চক্র।

সম্মানহানির কথা চিন্তা করে নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে প্রতারক চক্রকে ২৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা চাঁদা দেয়। পরে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইলিং করে ৩৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায়, ৭ প্রতারক গ্রেপ্তার

তারিখ : ০৪:৪৫:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪

নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইলিং এর মাধ্যমে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগে ৭ প্রতারককে গ্রেফতার কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

প্রতারণার সময় আটককৃতরা নিজেদেরকে ডিবি পুলিশ ও সাংবাদিকদের পরিচয় দিয়ে বিশাল অঙ্কের টাকা আদায় করে আসছিল।

শনিবার সকালে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান। ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন সময়ে কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

এ সময়ে চাঁদা আদায়ের জন্য ব্যবহৃত ভুক্তভোগের স্বাক্ষরিত সাতটি অলিখিত স্টাম্প, স্বাক্ষরিত সাতটি খালি ব্যাংক চেক উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার প্রতারক চক্রের সদস্যরা হল – ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়া সৈয়দ অয়াত উল্যাহ ও ইমরান হোসেন, ভুয়া সাংবাদিক পরিচয় দেয়া মোঃ মোজাম্মেল হক, চাঁদা আদায়কারী মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, গোপন ভিডিও ধারণ পরিকল্পনাকারী আব্দুর রহিম, ফাঁদে ফেলার বাসার মালিক মোহাম্মদ কোভিদ হোসেন ও পুরো ঘটনার মাস্টারমাইন্ড তাসনুভা আক্তার। পুলিশ সুপার জানান, কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার এলাকার এক ব্যক্তিকে মোবাইল ফোনে কল করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাসনুভা আক্তার।

পরিকল্পনা করে ওই ব্যক্তিকে কুমিল্লা সদর উপজেলার বালুতোপা এলাকার একটি বাসায় নিয়ে শারীরিক সম্পর্কের ফলাফনে ভিডিও চিত্র ধারণ করে।

এ সময়ে ঘটনাস্থলেই ডিবি পুলিশ ও সাংবাদিকের উপস্থিতি দেখিয়ে শুরু হয় ভুক্তভোগীর কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের কৌশল। প্রতারণার ভিডিও ছেলের মোবাইলে পাঠিয়ে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে প্রতারক চক্র।

সম্মানহানির কথা চিন্তা করে নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে প্রতারক চক্রকে ২৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা চাঁদা দেয়। পরে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়।