০৬:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লার মুরাদনগরে মামলায় আটক বিএনপির ১৩ নেতা-কর্মীর জামিন কুমিল্লার মুরাদনগরে অতিরিক্ত মদ পানে ২ জনের মৃত্যু কুমিল্লায় এনজিও’র ঋণের চাপ ও অভাবে মা-মেয়ের আত্মহত্যা চৌদ্দগ্রামে সাংবাদিক মামুনের রোগমুক্তি কামনায় দোয়া-মিলাদ বুড়িচংয়ে দখলকৃত খাল উদ্ধারে প্রশাসনের অভিযান কুমিল্লায় টিফিনের টাকায় গাছের চারা উপহার: ৫০০ শিক্ষার্থীর সবুজ শপথ কুমিল্লায় ৮ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ করে বিএনপির সম্মেলন চৌদ্দগ্রামে বিনাধান-১৯, ২১ ও ব্রি ধান-৪৮ এর মূল্যায়ন শীর্ষক মাঠ দিবস পালিত কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানকে ‘কলিজা খুলে নেওয়ার’ হুমকি, অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ৭৫ বোতল স্কাফ ও ১ লাখ ১০ হাজার টাকাসহ মাদক কারবারি আটক

কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এড. কালাম হত্যা; স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ২

  • তারিখ : ০৩:৩৭:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫
  • 28

স্টাফ রিপোর্টার।।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কুমিল্লায় এড. আবুল কালাম আজাদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি কুমিল্লা মহানগরীর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি মো. বাচ্চু মিয়া (৪২) ও মো. ফাহিম নামে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী।

এ সময় তদের কাছ থেকে গাঁজা ও ৫টি মোবাইলের সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়।

তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম, তিনি জানান রবিবার (৩০ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিজয়নগর এলাকায় যৌথ টহল দল একটি অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বাচ্চু মিয়া জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় অ্যাডভোকেট আবুল কালাম হত্যা মামলার অন্যতম আসামি।

জানা যায়, গত বছর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর কুমিল্লা নগরীতে আনন্দ মিছিল ও সহিংসতা শুরু হয়। আদালতে সহিংসতার খবর শুনে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি কাইমূল হক রিংকু, তার দুই ছেলে এবং অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদসহ কয়েকজন আইনজীবী আদালতে যাওয়ার পথে কুমিল্লা হাইস্কুল এলাকায় হামলার শিকার হন। আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ও ককটেল ছোড়ে।

এ সময় অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ কোমরে গুলিবিদ্ধ হন এবং রিংকু ও তার দুই ছেলেসহ আরো ৬-৭ জন আইনজীবী আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের কুমিল্লা মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে আবুল কালামের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে আইসিইউতে এবং পরবর্তীতে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। ১০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে তিনি মারা যান।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, ‘বাচ্চু মিয়াকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে মামলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আসামিদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। রবিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে আসামিকে কুমিল্লা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এড. কালাম হত্যা; স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ২

তারিখ : ০৩:৩৭:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার।।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কুমিল্লায় এড. আবুল কালাম আজাদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি কুমিল্লা মহানগরীর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি মো. বাচ্চু মিয়া (৪২) ও মো. ফাহিম নামে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী।

এ সময় তদের কাছ থেকে গাঁজা ও ৫টি মোবাইলের সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়।

তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম, তিনি জানান রবিবার (৩০ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিজয়নগর এলাকায় যৌথ টহল দল একটি অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বাচ্চু মিয়া জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় অ্যাডভোকেট আবুল কালাম হত্যা মামলার অন্যতম আসামি।

জানা যায়, গত বছর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর কুমিল্লা নগরীতে আনন্দ মিছিল ও সহিংসতা শুরু হয়। আদালতে সহিংসতার খবর শুনে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি কাইমূল হক রিংকু, তার দুই ছেলে এবং অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদসহ কয়েকজন আইনজীবী আদালতে যাওয়ার পথে কুমিল্লা হাইস্কুল এলাকায় হামলার শিকার হন। আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ও ককটেল ছোড়ে।

এ সময় অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ কোমরে গুলিবিদ্ধ হন এবং রিংকু ও তার দুই ছেলেসহ আরো ৬-৭ জন আইনজীবী আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের কুমিল্লা মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে আবুল কালামের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে আইসিইউতে এবং পরবর্তীতে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। ১০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে তিনি মারা যান।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, ‘বাচ্চু মিয়াকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে মামলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আসামিদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। রবিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে আসামিকে কুমিল্লা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।