১২:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শিক্ষক সিন্ডিকেটের অপতৎপরতায় ফের অস্থিরতায় কুমিল্লা মডার্ণ হাই স্কুল তুরস্কের দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কুবির শিক্ষক–শিক্ষার্থী বিনিময় চুক্তি, নেই টিউশন ফি বেগম জিয়ার আরোগ্য কামনায় হাজী ইয়াছিনের ধারাবাহিক কুরআন খতম ও দোয়া চৌদ্দগ্রামে চিওড়া ইউনিয়ন বিএনপির নির্বাচনী সমন্বয় সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় কৃতী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও সংবর্ধনা প্রদান জীবনের বাকি সময়টা কুমিল্লা-৬ আসনের নেতাকর্মীদের সঙ্গেই থাকতে চাই -হাজী ইয়াছিন বুড়িচংয়ে যৌতুকের দাবিতে প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ; আটক ২ কুবির দত্ত হলে প্রথমবারের মতো আন্তঃহল বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন সংবাদ প্রকাশে নির্ভীক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির এক যুগ শিশুদের নিয়ে কুবি রোটারেক্ট ক্লাবের ‘পুষ্পায়ন’ কর্মসূচি

তুরস্কের দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কুবির শিক্ষক–শিক্ষার্থী বিনিময় চুক্তি, নেই টিউশন ফি

  • তারিখ : ০৬:৪৩:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫
  • 75

কুবি প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) তুরস্কের আনাদলু বিশ্ববিদ্যালয় ও তোকাত গাজী ওসমানপাশা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বিনিময় কর্মসূচির জন্য সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর করেছে। যাতে শিক্ষার্থীদের জন্য মওকুফ থাকবে টিউশন ফি। সংশ্লিষ্টদের মতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্যোগের অংশ হিসেবেই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক দপ্তর জানায়, আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে চুক্তির বিষয়েও আলোচনা চলছে। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এক বা দুই সেমিস্টারের জন্য অপর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে, পড়াতে ও গবেষণায় অংশ নিতে পারবেন। পারস্পরিক সম্মতিতে স্বল্প মেয়াদি একাডেমিক ভিজিটও করা যাবে।

দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, স্বাগতিক বিশ্ববিদ্যালয় বিনিময় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের লাইব্রেরি, অফিস স্পেসসহ প্রয়োজনীয় একাডেমিক সুবিধা দেবে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবীমা বাধ্যতামূলক হলেও টিউশন ফি দিতে হবে না। তবে যদি সুযোগ থাকে তাহলে চুক্তির আওতায় স্বাগতিক প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহনকারীকে কিছু অর্থনৈতিক সহযোগিতা করতে পারে। বিনিময় শিক্ষার্থীরা নন–ডিগ্রি শিক্ষার্থী হিসেবে ভর্তি হবে এবং দেশে ফিরে সেই ক্রেডিট নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রান্সফার করতে পারবে। কোর্স শেষ হলে স্বাগতিক বিশ্ববিদ্যালয় ট্রান্সক্রিপ্ট দেবে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মশিউর রহমান বলেন, “দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই ভাবছিলাম কীভাবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত করা যায়। সেই চিন্তা থেকে বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তুরস্কের দুই বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের MoU পাঠায়। পর্যালোচনা করে ভিসি স্যারের সই সহ পাঠাই। পরে তারা তাদের ভিসির সই দিয়ে ফেরত পাঠিয়েছে। এটা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি অর্জন হিসেবে দেখছি। আলজেরিয়া, ভারত, রাশিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে আলোচনা চলছে।”

তিনি আরো বলেন, “আমাদের কাজের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আমাদের আন্তর্জাতিক ফান্ড নেই। তুরস্ক থেকে কেউ এলে Erasmus ফান্ড ব্যবহার করা যায়, কিন্তু আমাদের শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা বাইরে যেতে চাইলে তাদের জন্য সেই সুযোগ এখনও তৈরি করা যায় নাই। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে Erasmus+ সিস্টেমে যুক্ত করার জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “ইউরোপীয় কমিশনের দুটি আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশ নিয়েছি। আজই তাদের তালিকায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম যুক্ত করার আবেদন করব। এই আবেদন গৃহীত হলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপে যেতে পারব”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মতে, তুরস্কের এই দুই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি কুবির আন্তর্জাতিক দৃশ্যমানতা বাড়ানোর এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা এবং গবেষণার সুযোগ তৈরি হলো। এই সহযোগিতার মাধ্যমে কুবির গবেষণা, আন্তর্জাতিক অংশীদারত্ব এবং বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক আরও শক্তিশালী হবে।

error: Content is protected !!

তুরস্কের দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কুবির শিক্ষক–শিক্ষার্থী বিনিময় চুক্তি, নেই টিউশন ফি

তারিখ : ০৬:৪৩:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫

কুবি প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) তুরস্কের আনাদলু বিশ্ববিদ্যালয় ও তোকাত গাজী ওসমানপাশা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বিনিময় কর্মসূচির জন্য সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর করেছে। যাতে শিক্ষার্থীদের জন্য মওকুফ থাকবে টিউশন ফি। সংশ্লিষ্টদের মতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্যোগের অংশ হিসেবেই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক দপ্তর জানায়, আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে চুক্তির বিষয়েও আলোচনা চলছে। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এক বা দুই সেমিস্টারের জন্য অপর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে, পড়াতে ও গবেষণায় অংশ নিতে পারবেন। পারস্পরিক সম্মতিতে স্বল্প মেয়াদি একাডেমিক ভিজিটও করা যাবে।

দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, স্বাগতিক বিশ্ববিদ্যালয় বিনিময় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের লাইব্রেরি, অফিস স্পেসসহ প্রয়োজনীয় একাডেমিক সুবিধা দেবে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবীমা বাধ্যতামূলক হলেও টিউশন ফি দিতে হবে না। তবে যদি সুযোগ থাকে তাহলে চুক্তির আওতায় স্বাগতিক প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহনকারীকে কিছু অর্থনৈতিক সহযোগিতা করতে পারে। বিনিময় শিক্ষার্থীরা নন–ডিগ্রি শিক্ষার্থী হিসেবে ভর্তি হবে এবং দেশে ফিরে সেই ক্রেডিট নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রান্সফার করতে পারবে। কোর্স শেষ হলে স্বাগতিক বিশ্ববিদ্যালয় ট্রান্সক্রিপ্ট দেবে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মশিউর রহমান বলেন, “দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই ভাবছিলাম কীভাবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত করা যায়। সেই চিন্তা থেকে বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তুরস্কের দুই বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের MoU পাঠায়। পর্যালোচনা করে ভিসি স্যারের সই সহ পাঠাই। পরে তারা তাদের ভিসির সই দিয়ে ফেরত পাঠিয়েছে। এটা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি অর্জন হিসেবে দেখছি। আলজেরিয়া, ভারত, রাশিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে আলোচনা চলছে।”

তিনি আরো বলেন, “আমাদের কাজের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আমাদের আন্তর্জাতিক ফান্ড নেই। তুরস্ক থেকে কেউ এলে Erasmus ফান্ড ব্যবহার করা যায়, কিন্তু আমাদের শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা বাইরে যেতে চাইলে তাদের জন্য সেই সুযোগ এখনও তৈরি করা যায় নাই। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে Erasmus+ সিস্টেমে যুক্ত করার জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “ইউরোপীয় কমিশনের দুটি আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশ নিয়েছি। আজই তাদের তালিকায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম যুক্ত করার আবেদন করব। এই আবেদন গৃহীত হলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপে যেতে পারব”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মতে, তুরস্কের এই দুই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি কুবির আন্তর্জাতিক দৃশ্যমানতা বাড়ানোর এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা এবং গবেষণার সুযোগ তৈরি হলো। এই সহযোগিতার মাধ্যমে কুবির গবেষণা, আন্তর্জাতিক অংশীদারত্ব এবং বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক আরও শক্তিশালী হবে।