০২:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বিজয় ২৪ হলের কক্ষে বহিরাগত নারী-পুরুষ; শিক্ষার্থীরা বিব্রত কুমিল্লায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া হত্যাকাণ্ডে মৌন মিছিল কুমিল্লায় রেললাইনের পাশে যুবকের মরদেহ; হত্যা নাকি দূর্ঘটনা ! “নিউজটা ডিলেট করা যায় কি?”-ওসি কোতয়ালি কুমিল্লার মা–মেয়ে হত্যাকাণ্ড; প্রশ্নের ভিতরে কিছু প্রশ্ন! কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে হালচাষের ট্রাক্টর উল্টে কিশোর নিহত কুমিল্লায় ধর্ষণের বাধা দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ও মাকে খুন; মূলহোতা মোবারক গ্রেফতার পাশাপাশি দাফন করা হলো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেয়ে ও তার মাকে

১৫০০ টাকা খরচ করে ক্যাম্পাসে এসেছি’ এই টাকা কে দিবে? কুবি শিক্ষার্থী

  • তারিখ : ১০:৪৭:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
  • 14

কুবি প্রতিনিধি।।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কতটা অযোগ্য হলে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কীসের হল বন্ধ হবে? হল কি কারো বাপ-দাদার সম্পত্তি? আমি যে ১৫০০ টাকা খরচ করে বাসা থেকে আসলাম এই টাকা কে দিবে? আবার বাড়ি যাওয়া আসার টাকাই বা কে দিবে? শিক্ষার্থীদের হলে শিক্ষার্থীরা থাকবে, কোনোভাবেই আমাদের সরানো যাবে না। দাবি মোদের একটাই: সকল কিছু আগের মতো স্বাভাবিক চাই।

অনির্দিষ্টকালের জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হল বন্ধের ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. নাসির উদ্দিন জিসান এমন মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নামতে বাধ্য করবেন না। ফল ভালো হবে না। ফাজলামির একটা সীমা থাকা উচিত। আপনাদের দলাদলির জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা কেন ক্ষতিগ্রস্ত হবে? এই একটা প্রশ্নের উত্তর চাই আপনাদের কাছে।

এদিকে অনির্দিষ্টকালের বন্ধের ঘোষণার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নেতিবাচক মন্তব্য ছড়িয়ে পড়ছে।

শামিম আশরাফ নামের এক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন, হলসমূহ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওমাগো মামার বাড়ির আবদার।

মো. শাহিন মিয়া নামের এক শিক্ষার্থী লিখেন, মনের ভেতর এতো ভয় থাকলে দায়িত্ব কেনো নিসিলেন মাননীয় ভিসি স্যার? নরমাল একটা বিষয় আপনি সমাধান করার যোগ্যতা রাখেন না আবার বড় বড় কথা বলেন।

শাহ গালিব মির্জা নামের আরেক শিক্ষার্থী লিখেন, শিক্ষার্থীরা এখনো কিছুই করেনি, তার মধ্যেই একদম শাটডাউন, হলসহ বন্ধ। আহ্ মানবতা আজ কোথায়! প্রশাসন আজ কতটা বিচ্ছিন্ন কতটা একা!

খন্দকার নজরুল ইসলাম নামের একজন লিখেন, ভিসি স্যার আপনার গাট্টি গলানোর জন্য কতদিন টাইম লাগবে? সিন্ডিকেটে কি সিদ্ধান্ত হয়েছে?

অজয় চন্দ্র বর্মন নামের আরেক শিক্ষার্থী লিখেন, আগামীকাল সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের আর চুপ থাকা যাবে না। আমাদের টিউশন আছে। আমরা টিউশন করে চাকরির প্রস্তুতি নিতে হবে।

ফাহমিদা করিম নামের একজন বলেন, এই কলিজা নিয়ে ভিসি হইছে কেমনে।সামান্য টিচারদের আন্দোলন সহ্য করতে পারে না।আগের মত পোলাপান আন্দোলনে নামলেত ওনাকে খুঁজেও পাওয়া যাবে না। রানিং স্টুডেন্টদের উচিত বাড়ি না গিয়ে আন্দোলন করা।নাহয় সেশনজট নামক অভিশাপে জীবন শেষ হয়ে যাবে।

error: Content is protected !!

১৫০০ টাকা খরচ করে ক্যাম্পাসে এসেছি’ এই টাকা কে দিবে? কুবি শিক্ষার্থী

তারিখ : ১০:৪৭:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

কুবি প্রতিনিধি।।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কতটা অযোগ্য হলে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কীসের হল বন্ধ হবে? হল কি কারো বাপ-দাদার সম্পত্তি? আমি যে ১৫০০ টাকা খরচ করে বাসা থেকে আসলাম এই টাকা কে দিবে? আবার বাড়ি যাওয়া আসার টাকাই বা কে দিবে? শিক্ষার্থীদের হলে শিক্ষার্থীরা থাকবে, কোনোভাবেই আমাদের সরানো যাবে না। দাবি মোদের একটাই: সকল কিছু আগের মতো স্বাভাবিক চাই।

অনির্দিষ্টকালের জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হল বন্ধের ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. নাসির উদ্দিন জিসান এমন মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নামতে বাধ্য করবেন না। ফল ভালো হবে না। ফাজলামির একটা সীমা থাকা উচিত। আপনাদের দলাদলির জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা কেন ক্ষতিগ্রস্ত হবে? এই একটা প্রশ্নের উত্তর চাই আপনাদের কাছে।

এদিকে অনির্দিষ্টকালের বন্ধের ঘোষণার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নেতিবাচক মন্তব্য ছড়িয়ে পড়ছে।

শামিম আশরাফ নামের এক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন, হলসমূহ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওমাগো মামার বাড়ির আবদার।

মো. শাহিন মিয়া নামের এক শিক্ষার্থী লিখেন, মনের ভেতর এতো ভয় থাকলে দায়িত্ব কেনো নিসিলেন মাননীয় ভিসি স্যার? নরমাল একটা বিষয় আপনি সমাধান করার যোগ্যতা রাখেন না আবার বড় বড় কথা বলেন।

শাহ গালিব মির্জা নামের আরেক শিক্ষার্থী লিখেন, শিক্ষার্থীরা এখনো কিছুই করেনি, তার মধ্যেই একদম শাটডাউন, হলসহ বন্ধ। আহ্ মানবতা আজ কোথায়! প্রশাসন আজ কতটা বিচ্ছিন্ন কতটা একা!

খন্দকার নজরুল ইসলাম নামের একজন লিখেন, ভিসি স্যার আপনার গাট্টি গলানোর জন্য কতদিন টাইম লাগবে? সিন্ডিকেটে কি সিদ্ধান্ত হয়েছে?

অজয় চন্দ্র বর্মন নামের আরেক শিক্ষার্থী লিখেন, আগামীকাল সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের আর চুপ থাকা যাবে না। আমাদের টিউশন আছে। আমরা টিউশন করে চাকরির প্রস্তুতি নিতে হবে।

ফাহমিদা করিম নামের একজন বলেন, এই কলিজা নিয়ে ভিসি হইছে কেমনে।সামান্য টিচারদের আন্দোলন সহ্য করতে পারে না।আগের মত পোলাপান আন্দোলনে নামলেত ওনাকে খুঁজেও পাওয়া যাবে না। রানিং স্টুডেন্টদের উচিত বাড়ি না গিয়ে আন্দোলন করা।নাহয় সেশনজট নামক অভিশাপে জীবন শেষ হয়ে যাবে।