এন এ মুরাদ, কুমিল্লা।।
বয়স আশির কোটা পেরিয়ে । ভোর হতেই কলার ভার কাঁদে করে বেড়িয়ে পড়েন গায়ের পথে । প্রতিদিন ১৫শ -১৬শ টাকার কলা কিনেন। এগুলো নিয়ে পথে- ঘাটে, হাটে বিক্রি শেষে বাড়ি ফিরেন। কলার বোঝার ভারে কাঁধ নেমে গেছে। মেরুদন্ড বাঁকিয়ে ধনুকের মতো , আশি বছর বয়সে এসেও ঘাড় থেকে সংসারের বোঝা নামেনি যার তিনি হলেন মুরাদনগর উপজেলার হীরাপুর গ্রামের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে মনু মিয়া।
সেই মনু মিয়ার পাশে দাঁড়ালেন মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)আবুল হাসিম। সোমবার দুপুরে বৃদ্ধ মনু মিয়া ও তার স্ত্রীকে থানায় নিয়ে নগত আর্থিক সহায়তা দেন তিনি। সহায়তা পেয়ে মনু মিয়ার চোখ দিয়ে আনন্দের অশ্রæ গড়িয়ে পড়ে।
ওসি আবুল হাসিম বলেন, মানবিক পুলিশ সুপার ফারুক আহম্মেদ পিপিএম (বার) স্যারের মাধ্যমে অসহায় বৃদ্ধ মনু মিয়ার জীবন সংগ্রামের বিষয়টি জানতে পেরে স্যারের নির্দেশনায় মনু মিয়াকে দশ হাজার টাকা আর্থিক সহয়তা দেওয়া হয়েছে। এই টাকা কোন প্রচারের উদ্দেশ্যে নয়, সমাজের বৃত্তবানরা যেন এগিয়ে আসে তাদের অনুপ্রাণিত করার জন্য সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে দিয়েছি। আমি জানি এই টাকা দিয়ে তার বাকী জীবন চলবে না। সবায় মিলে সহায়তা করলে এই বৃদ্ধের ঘার হতে কলার বোঝাটা নেমে আসতে পারে।
কলা ব্যবসায়ী অসহায় মনু মিয়া বলেন, “ ১৯৮০ সালে থেকে ফেরী করে কলা বিক্রি শুরু করি। চল্লিশ বছর ধরে কলা বিক্রি করে চলছি। অসুখের তাড়নায় বাঁচিনা। দেহ মন কোনটাই চলে না তবুও বসে থাকতে পারিনা। বসে থাকলে কে দিবে ঔষধের টাকা আর কে দিবে ভাত। আজকে ওসি সাহেব থেকে সহায়তা পেয়ে আমি খুবই খুশি। দোয়া করি আল্লাহ স্যারের মঙ্গল করুক।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page