মনোয়ার হোসেন, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে গৃহবধূ আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে স্বামীকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের কালকোট গ্রামের মজুমদার বাড়ীতে। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর পিতা বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে স্বামীকে আসামী করে থানায় মামলা দায়েরের পর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর আগে উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের নোয়াপুর গ্রামের মো: ইউনুসের মেয়ে তাহমিনার (২৯) সাথে পাশ্ববর্তী কনকাপৈত ইউনিয়নের কালকোট গ্রামের ওয়ালী উল্লাহর ছেলে ইফতেখারুল মজুমদার রাসেল (৩৫) এর সাথে ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পরেই নিজ ব্যবসা প্রসারিত করার জন্য টাকার প্রয়োজন দেখা দিলে রাসেল তার স্ত্রী তাহমিনাকে বাবার বাড়ী থেকে টাকা আনার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে তাহমিনার প্রবাসী পিতা ইউনুস বিভিন্ন সময়ে প্রায় ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা রাসেলকে প্রদান করে।
এরপরেও স্বামীর ঘরে শান্তিতে বসবাস করতে পারেনি গৃহবধূ তাহমিনা। আরও টাকার জন্য রাসেল বিভিন্ন সময়ে তাহমিনাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন অব্যাহত রাখে। তাহমিদ মজুমদার আয়ান নামে ১৩ মাস বয়সী একমাত্র সন্তানের কথা চিন্তা করে নানা প্রকার নির্যাতন সহ্য করে স্বামীর সংসার করে আসছিলো। নির্যাতন সইতে না পেরে স্বামীর প্রতি সৃষ্ট রাগ ও ক্ষোভে গত শুক্রবার (১ এপ্রিল) বিকালে গৃহবধূ তাহমিনা তার শয়ন কক্ষে সিলিং ফ্যানের সাথে কাপড় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
সংবাদ পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ থানায় নিয়ে আসে এবং শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই তাহমিনার পিতা ইউনুস বাদী হয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে নিহতের স্বামী রাসেলকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জণ চাকমা বলেন, ‘গৃহবধুর শয়ন কক্ষের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। নিহতের পিতার দায়েরকৃত মামলার একমাত্র আসামী তাহমিনার স্বামী রাসেলকে রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে’।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page