সোহরাব হোসেন।।
মাসখানেক আগেই বিয়ে করেছিলেন মো. নাজমুল হাসান (২৭)। নতুন সংসার, নতুন স্বপ্ন, নতুন পরিকল্পনা-সবকিছুই যেন ছিল হাসিখুশি এক গল্পের মতো।
কুয়েতে চাকরি করতেন তিনি। দেশে এসে বিয়ের পর কাটাচ্ছিলেন সুখের দিন। পরিকল্পনা ছিল-আর মাত্র এক সপ্তাহ পরই ফিরে যাবেন প্রবাসে, শুরু করবেন নতুন জীবনের অধ্যায়।
কিন্তু ভাগ্য লিখেছিল অন্য কিছু।
রোববার (২ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের দেবিদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের বেগমাবাদ এলাকায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে লরির নিচে চলে যান নাজমুল। মুহূর্তেই চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
নিহত নাজমুল হাসান কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের এলাহাবাদ গ্রামের মো. নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি কুয়েতে কর্মরত ছিলেন।
দুর্ঘটনার পর কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে মীরপুর হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
মীরপুর হাইওয়ে থানার ওসি মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনায় নাজমুল নামের এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে।”
এক মুহূর্তেই নিভে গেল এক পরিবারের আলো, থেমে গেল এক তরুণের সব স্বপ্ন, সব হাসি। যে মানুষটি হাসিমুখে পরিবারকে বিদায় জানিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন, কে জানত-আর কোনোদিন তিনি ফিরবেন না! নাজমুলের অসমাপ্ত গল্প যেন তার চারপাশের সকলের হৃদয়ে গভীর হাহাকার হয়ে রয়ে গেল।











