মুরাদনগর, উপজেলা প্রতিনিধি।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ মাসুদকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বুধবার ঢাকা থেকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই চেয়ারম্যানের পরিবার তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসছে ১৫জুন ইউপি নির্বাচনে জনপ্রিয় এ প্রার্থীকে ভোটের আগ মূহুর্তে ষড়যন্ত্র মুলক গ্রেফতারে ওই ইউপির বাসিন্দাদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এদিকে মুরাদনগর সদর ইউপি নির্বাচনে অংশ গ্রহনের লক্ষ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর পরই তাকে গ্রেফতার এবং কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
অবিলম্বে ওই চেয়ারম্যানের মুক্তি দাবি করেছে এলাকার জনসাধারণ।পারিবারিক সুত্র এবং এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘ প্রায় ১০ বছরেরও বেশী সময় ধরে কুমিল্লার মুরাদনগর সদর ইউপির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন মোস্তাক আহমেদ মাসুদ। দায়িত্ব পালনকালে ওই চেয়ারম্যান জনসাধারণকে সেবা দিয়ে এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। এরই মাঝে রাজনৈতিক রোষানলে পড়ে তিনি ৭টি নাশকতা সৃস্টি এবং পরিকল্পনা মামলার চার্জশীটে আসামী হন। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা সমুহের এজহারে তিনি আসামী না হলেও ষড়যন্ত্র মুলক ভাবে তাকে চার্জশীটে আসামী করা হয় বলে দাবি কর্মী সমর্থকদের। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃস্টি হয়। তবে প্রভাবশালী এক রাজনৈতিক নেতার ইন্দন এবং আক্রোশেই তিনি এসব মামলার আসামী হন বলে জানান তার কর্মী সমর্থকরা।
বৃহস্পতিবার তার গ্রেফতারের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃস্টি হয়। এ সময় অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করা হয়। পারিবারিক সুত্র জানায়, আসছে ১৫জুন নির্বাচনে অংশ গ্রহনের লক্ষ্যে বুধবার মাসুদ চেয়ারম্যান মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। এর পরই প্রভাবশালী ওই রাজনৈতিক নেতার ইন্দনে তাকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে কুমিল্লার আদালতে সোপর্দ করা হয়। নির্বাচনে তিনি যাতে অংশ গ্রহন করতে না পারে সে লক্ষেই তাকে এই মুহুর্তে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ওসি আবুল হাশিম বলেন, মাসুদ চেয়ারম্যানকে মুরাদনগর থানা পুলিশ গ্রেফতার করেনি, শুনেছি তিনি আদালতে হাজির হলে বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page