০৮:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বুড়িচংয়ে ৪৪টি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় দুম্বার মাংস বিতরণ ব্রাহ্মণপাড়ায় মাদক সেবনে বাধা দেওয়া যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নারী উদ্যোক্তা কুমিল্লার লাভলী আক্তারকে সম্মাননা স্মারক প্রদান কক্সবাজারের আনন্দযাত্রা সড়কেই শেষ, কুমিল্লার একই পরিবারের ৫ জন নিহত ক্যান্সার আক্রান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রভা বাঁচতে চায় মুরাদনগরে শিশু আদিবা হত্যার ঘটনায় চাচাতো ভাই গ্রেফতার কুবিতে রোটারেক্ট ক্লাবের উদ্যোগে ‘স্টাডি অ্যাবরোড’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত চৌদ্দগ্রামে শুভপুর ইউনিয়ন উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪নং ওয়ার্ড নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা কুমিল্লায় ৪ বছরের শিশু ধর্ষণ, প্রধান আসামি বাবু গ্রেফতার মুরাদনগরে ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন ইন বাংলাদেশের আওতায় পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠিত

কুমিল্লায় পরকীয়ার জেরে দুই শিশুকে খুন; এক নারীকে মৃত্যুদণ্ড-আরেকজনকে যাবজ্জীবন

  • তারিখ : ০৩:১২:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩
  • 54

মাহফুজ নান্টু।।
কুমিল্লায় পরকীয়ার জেরে দুই শিশুকে হত্যার দায়ে এক নারীকে মৃত্যুদন্ড এবং অপর নারীকে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়। মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খানম এ রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার লাজৈর গ্রামের মোঃ বাবুল হোসেনের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার (২৮)। তাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়।

একই গ্রামের সেলিম মিয়ার স্ত্রী মাজেদা বেগম (৪৩) কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়। দন্ডপ্রাপ্তরা সর্ম্পকে চাচি শাশুড়ী এবং ভাতিজা বউ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মোঃ মুজিবুর রহমান। পুলিশ কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান জানান, রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্ত দুই নারী এজলাসে উপস্থিত ছিলেন। বিচারক ১৬ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এই রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্তদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি নুরুল ইসলাম বলেন, ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল লাজৈর গ্রামের প্রবাসী মোঃ বাবুল হোসেনের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার (২৮) পরকীয়ার আসক্ত ছিলেন। এ ঘটনা দেখে ফেলায় প্রথমে ভুট্টক্ষেতে নিয়ে মো. বিল্লাল হোসেনের ছেলে আরাফাত (৬) কে খুন করেন। ঠিক ওই সময় খুনের ঘটনা দেখে ফেলায় কিছুক্ষন পর শাহ আলমের ছেলে জসিম (৭)কেও ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে লাশ খালে ডুবিয়ে দেয়।

পরে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে ইয়ামিন আক্তারকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে। ওই হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি ইয়াছমিন আক্তারকে সহযোগীতা করে মামলার দ্বিতীয় আসামী মাজেদা বেগম। ঘটনার পর মাজেদা বেগম আত্মগোপন করে। গত বছর র‌্যাব ১১ মাজেদা বেগমকে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার দুর্গম একটি পাহাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার ।

হত্যাকান্ডের ঘটনায় ওই বছরের ২১ এপ্রিল মুরাদনগর থানায় ইয়াসমিনকে ১নম্বর এবং মাজেদা বেগমকে ২নম্বর ও অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে নিহত আরাফাতের পিতা বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

দীর্ঘ শুনানী শেষে বিচারক ইয়াছমিনকে মৃত্যুদন্ড এবং মাজেদাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন।

আসামীপক্ষের আইনজীবী এড. তাইফুর রহমান এবং শাহানা সুলতানা সোমা বলেন, আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় পরকীয়ার জেরে দুই শিশুকে খুন; এক নারীকে মৃত্যুদণ্ড-আরেকজনকে যাবজ্জীবন

তারিখ : ০৩:১২:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩

মাহফুজ নান্টু।।
কুমিল্লায় পরকীয়ার জেরে দুই শিশুকে হত্যার দায়ে এক নারীকে মৃত্যুদন্ড এবং অপর নারীকে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়। মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খানম এ রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার লাজৈর গ্রামের মোঃ বাবুল হোসেনের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার (২৮)। তাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়।

একই গ্রামের সেলিম মিয়ার স্ত্রী মাজেদা বেগম (৪৩) কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়। দন্ডপ্রাপ্তরা সর্ম্পকে চাচি শাশুড়ী এবং ভাতিজা বউ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মোঃ মুজিবুর রহমান। পুলিশ কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান জানান, রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্ত দুই নারী এজলাসে উপস্থিত ছিলেন। বিচারক ১৬ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এই রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্তদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি নুরুল ইসলাম বলেন, ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল লাজৈর গ্রামের প্রবাসী মোঃ বাবুল হোসেনের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার (২৮) পরকীয়ার আসক্ত ছিলেন। এ ঘটনা দেখে ফেলায় প্রথমে ভুট্টক্ষেতে নিয়ে মো. বিল্লাল হোসেনের ছেলে আরাফাত (৬) কে খুন করেন। ঠিক ওই সময় খুনের ঘটনা দেখে ফেলায় কিছুক্ষন পর শাহ আলমের ছেলে জসিম (৭)কেও ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে লাশ খালে ডুবিয়ে দেয়।

পরে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে ইয়ামিন আক্তারকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে। ওই হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি ইয়াছমিন আক্তারকে সহযোগীতা করে মামলার দ্বিতীয় আসামী মাজেদা বেগম। ঘটনার পর মাজেদা বেগম আত্মগোপন করে। গত বছর র‌্যাব ১১ মাজেদা বেগমকে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার দুর্গম একটি পাহাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার ।

হত্যাকান্ডের ঘটনায় ওই বছরের ২১ এপ্রিল মুরাদনগর থানায় ইয়াসমিনকে ১নম্বর এবং মাজেদা বেগমকে ২নম্বর ও অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে নিহত আরাফাতের পিতা বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

দীর্ঘ শুনানী শেষে বিচারক ইয়াছমিনকে মৃত্যুদন্ড এবং মাজেদাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন।

আসামীপক্ষের আইনজীবী এড. তাইফুর রহমান এবং শাহানা সুলতানা সোমা বলেন, আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।