০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লার দেবিদ্বারে পানিতে ডুবে একই পরিবারের দুই শিশুর মৃত্যু কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ঝটিকা মিছিল, আটক ৫ বুড়িচংয়ে পূজা উদযাপনে থাকবে সেনাবাহিনী-পুলিশের নিরাপত্তা বলয় বুড়িচংয়ে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ৫ লক্ষ টাকার ওষুধ বিতরণ ইমোর মাধ্যমে প্রবাসীর সঙ্গে পরিচয়, কুমিল্লার দুলাল হত্যার পেছনের মূল কারণ কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে চার গাড়ির সংঘর্ষে ২ জন নিহত, আহত ৩ কুমিল্লার মুরাদনগরে পরিত্যক্ত মুরগির খামার থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার কুমিল্লায় স্কুল শেষে নদীতে গোসল করতে নেমে প্রাণ গেল প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীর চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ও পৌর জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ‎ব্রাহ্মণপাড়ায় মোটরসাইকেল ফেলে পালালেন দুই যুবক, ৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার

কুমিল্লায় পরকীয়ার জেরে দুই শিশুকে খুন; এক নারীকে মৃত্যুদণ্ড-আরেকজনকে যাবজ্জীবন

  • তারিখ : ০৩:১২:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩
  • 20

মাহফুজ নান্টু।।
কুমিল্লায় পরকীয়ার জেরে দুই শিশুকে হত্যার দায়ে এক নারীকে মৃত্যুদন্ড এবং অপর নারীকে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়। মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খানম এ রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার লাজৈর গ্রামের মোঃ বাবুল হোসেনের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার (২৮)। তাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়।

একই গ্রামের সেলিম মিয়ার স্ত্রী মাজেদা বেগম (৪৩) কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়। দন্ডপ্রাপ্তরা সর্ম্পকে চাচি শাশুড়ী এবং ভাতিজা বউ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মোঃ মুজিবুর রহমান। পুলিশ কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান জানান, রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্ত দুই নারী এজলাসে উপস্থিত ছিলেন। বিচারক ১৬ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এই রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্তদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি নুরুল ইসলাম বলেন, ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল লাজৈর গ্রামের প্রবাসী মোঃ বাবুল হোসেনের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার (২৮) পরকীয়ার আসক্ত ছিলেন। এ ঘটনা দেখে ফেলায় প্রথমে ভুট্টক্ষেতে নিয়ে মো. বিল্লাল হোসেনের ছেলে আরাফাত (৬) কে খুন করেন। ঠিক ওই সময় খুনের ঘটনা দেখে ফেলায় কিছুক্ষন পর শাহ আলমের ছেলে জসিম (৭)কেও ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে লাশ খালে ডুবিয়ে দেয়।

পরে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে ইয়ামিন আক্তারকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে। ওই হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি ইয়াছমিন আক্তারকে সহযোগীতা করে মামলার দ্বিতীয় আসামী মাজেদা বেগম। ঘটনার পর মাজেদা বেগম আত্মগোপন করে। গত বছর র‌্যাব ১১ মাজেদা বেগমকে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার দুর্গম একটি পাহাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার ।

হত্যাকান্ডের ঘটনায় ওই বছরের ২১ এপ্রিল মুরাদনগর থানায় ইয়াসমিনকে ১নম্বর এবং মাজেদা বেগমকে ২নম্বর ও অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে নিহত আরাফাতের পিতা বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

দীর্ঘ শুনানী শেষে বিচারক ইয়াছমিনকে মৃত্যুদন্ড এবং মাজেদাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন।

আসামীপক্ষের আইনজীবী এড. তাইফুর রহমান এবং শাহানা সুলতানা সোমা বলেন, আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় পরকীয়ার জেরে দুই শিশুকে খুন; এক নারীকে মৃত্যুদণ্ড-আরেকজনকে যাবজ্জীবন

তারিখ : ০৩:১২:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩

মাহফুজ নান্টু।।
কুমিল্লায় পরকীয়ার জেরে দুই শিশুকে হত্যার দায়ে এক নারীকে মৃত্যুদন্ড এবং অপর নারীকে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়। মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খানম এ রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার লাজৈর গ্রামের মোঃ বাবুল হোসেনের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার (২৮)। তাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়।

একই গ্রামের সেলিম মিয়ার স্ত্রী মাজেদা বেগম (৪৩) কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়। দন্ডপ্রাপ্তরা সর্ম্পকে চাচি শাশুড়ী এবং ভাতিজা বউ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মোঃ মুজিবুর রহমান। পুলিশ কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান জানান, রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্ত দুই নারী এজলাসে উপস্থিত ছিলেন। বিচারক ১৬ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এই রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্তদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি নুরুল ইসলাম বলেন, ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল লাজৈর গ্রামের প্রবাসী মোঃ বাবুল হোসেনের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার (২৮) পরকীয়ার আসক্ত ছিলেন। এ ঘটনা দেখে ফেলায় প্রথমে ভুট্টক্ষেতে নিয়ে মো. বিল্লাল হোসেনের ছেলে আরাফাত (৬) কে খুন করেন। ঠিক ওই সময় খুনের ঘটনা দেখে ফেলায় কিছুক্ষন পর শাহ আলমের ছেলে জসিম (৭)কেও ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে লাশ খালে ডুবিয়ে দেয়।

পরে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে ইয়ামিন আক্তারকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে। ওই হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি ইয়াছমিন আক্তারকে সহযোগীতা করে মামলার দ্বিতীয় আসামী মাজেদা বেগম। ঘটনার পর মাজেদা বেগম আত্মগোপন করে। গত বছর র‌্যাব ১১ মাজেদা বেগমকে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার দুর্গম একটি পাহাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার ।

হত্যাকান্ডের ঘটনায় ওই বছরের ২১ এপ্রিল মুরাদনগর থানায় ইয়াসমিনকে ১নম্বর এবং মাজেদা বেগমকে ২নম্বর ও অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে নিহত আরাফাতের পিতা বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

দীর্ঘ শুনানী শেষে বিচারক ইয়াছমিনকে মৃত্যুদন্ড এবং মাজেদাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন।

আসামীপক্ষের আইনজীবী এড. তাইফুর রহমান এবং শাহানা সুলতানা সোমা বলেন, আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।