০৪:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
Although not, the greatest victories into the Playtech’s community provides happened into the most other popular online slots Together with, the latest promise of future discount password products adds an element of expectation to have what exactly is ahead Slots be noticeable due to their vibrant image and enjoyable templates কুবিতে ‘ডাটা গভর্নেন্স অ্যান্ড ইন্টারঅপারেবিলিটি’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ৮৬ লাখ টাকার ভারতীয় মোবাইল ডিসপ্লে আটক দেবিদ্বারে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া প্রতিরোধে ‘ক্লিনিং ক্যাম্পেইন’ উদ্বোধন Free Gambling Enterprise Games for Enjoyable: A Total Guide চৌদ্দগ্রামে মাদরাসা শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানী: পল্লী চিকিৎসক ইয়াছিন আটক কুমিল্লায় শ্বশুরবাড়ির সেফটি ট্যাঙ্কিতে জামাতার লাশ; স্ত্রী, দুই পুত্র ও দুই শ্যালক আটক কুমিল্লায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ৪ মাজারে হামলা ভাঙচুর আগুন

সৌদির মরুভূমি ছেয়ে গেছে সুগন্ধী বেগুনি ফুলে

  • তারিখ : ০৪:৩৪:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • 18

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।

বিগত বিভিন্ন শীতকালের তুলনায় চলতি মৌসুমের শীতে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে সৌদি আরবে। আর সেই সুবাদেই দেশটির উত্তরাঞ্চলের বিশাল-বিস্তৃত মরুভূমি ছেয়ে গেছে বেগুনি রঙের সুগন্ধী ফুলে।

সৌদির রাফা অঞ্চলে ঘটেছে এই ঘটনা। এই অঞ্চলটি সৌদি-ইরাক সীমান্তের কাছাকাছি। দিগন্ত বিস্তৃত এই ফুলের সমাহার দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন সৌদির লোকজন।

৫০ বছর বয়স্ক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মুহাম্মাদ আল মুতাইরি ছয় ঘণ্টা গাড়ি ড্রাইভ করে রাফা চলে এসেছেন ফুলের এই বাহার দেখতে। এএফপিকে তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবে এমন দৃশ্য দেখতে পাব, এমনটা আমরা আশাও করিনি। এই দৃশ্য আর ফুলের সুগন্ধ আত্মাকে তরতাজা করে তোলে।’

তিনি জানান, সুগন্ধি এই ফুলটির সৌদি আরবে ‘বুনো ল্যাভেন্ডার’ নামে পরিচিত।

গত শীতে ব্যাপক বৃষ্টিতে সৌদির পশ্চিমাঞ্চলের অনেক এলাকায় ব্যাপক বন্যাও হয়েছে। কিন্তু উত্তরাঞ্চলে এই বৃষ্টি এনে দিয়েছে প্রাণের পরশ।

রাজধানী রিয়াদ থেকে রাফার মরুভূমি অঞ্চলের দূরত্ব ৭৭০ কিলোমিটার। বন্ধু বান্ধবসহ নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে এই পরিমাণ পথ পাড়ি দিয়ে উপস্থিত হয়েছেন সৌদি ব্যবসায়ী নাসের আল কারানি। পিকনিকের উদ্দেশ্যে গাড়িতে তাঁবু, খাবার ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য সরঞ্জামও সঙ্গে এনেছেন তিনি।

এএফপিকে তিনি বলেন, ‘আর মাত্র ১৫ থেকে ২০ দিন এই গাছগুলো টিকে থাকবে, তারপর সূর্যের তাপে শুকিয়ে যাবে।’

ফুলগাছ ঘেরা একটি ফাঁকা জায়গায় স্টোভে চায়ের কেতলি বসিয়ে চা বানান তিনি। চা খেতে খেতে তিনি বলেন, ‘এখানে আসার পর থেকে নিজেকে খুব নির্ভার লাগছে।’

৫৬ বছর বয়স্ক সৌদি নাগরিক হামজা আল মুতাইরিও নিজের পরিবারের সদস্য ও বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে বনভোজনের উদ্দেশে এসেছেন রাফায়। এএফপিকে তিনি বলেন, ‘এখনে আসার পর থেকে জীবনের প্রতি নতুন করে আগ্রহী হয়ে উঠেছি।

দিগন্তজুড়ে ফুলের এই সমাহার দেখতে এমনকি কাতার থেকেও গাড়ি চালিয়ে ছুটে এসেছেন অনেকে। তেমনই একজন আবদুল রহগমান আল মারি।

‘এখানে আসতে আমার ১২ ঘণ্টা গাড়ি ড্রাইভ করতে হয়েছে; কিন্তু আসার পর থেকে কোনো ক্লান্তি বোধ হচ্ছে না। মনে হচ্ছে, যেন স্বর্গে এসেছি।’

এসএমডব্লিউ

error: Content is protected !!

সৌদির মরুভূমি ছেয়ে গেছে সুগন্ধী বেগুনি ফুলে

তারিখ : ০৪:৩৪:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।

বিগত বিভিন্ন শীতকালের তুলনায় চলতি মৌসুমের শীতে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে সৌদি আরবে। আর সেই সুবাদেই দেশটির উত্তরাঞ্চলের বিশাল-বিস্তৃত মরুভূমি ছেয়ে গেছে বেগুনি রঙের সুগন্ধী ফুলে।

সৌদির রাফা অঞ্চলে ঘটেছে এই ঘটনা। এই অঞ্চলটি সৌদি-ইরাক সীমান্তের কাছাকাছি। দিগন্ত বিস্তৃত এই ফুলের সমাহার দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন সৌদির লোকজন।

৫০ বছর বয়স্ক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মুহাম্মাদ আল মুতাইরি ছয় ঘণ্টা গাড়ি ড্রাইভ করে রাফা চলে এসেছেন ফুলের এই বাহার দেখতে। এএফপিকে তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবে এমন দৃশ্য দেখতে পাব, এমনটা আমরা আশাও করিনি। এই দৃশ্য আর ফুলের সুগন্ধ আত্মাকে তরতাজা করে তোলে।’

তিনি জানান, সুগন্ধি এই ফুলটির সৌদি আরবে ‘বুনো ল্যাভেন্ডার’ নামে পরিচিত।

গত শীতে ব্যাপক বৃষ্টিতে সৌদির পশ্চিমাঞ্চলের অনেক এলাকায় ব্যাপক বন্যাও হয়েছে। কিন্তু উত্তরাঞ্চলে এই বৃষ্টি এনে দিয়েছে প্রাণের পরশ।

রাজধানী রিয়াদ থেকে রাফার মরুভূমি অঞ্চলের দূরত্ব ৭৭০ কিলোমিটার। বন্ধু বান্ধবসহ নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে এই পরিমাণ পথ পাড়ি দিয়ে উপস্থিত হয়েছেন সৌদি ব্যবসায়ী নাসের আল কারানি। পিকনিকের উদ্দেশ্যে গাড়িতে তাঁবু, খাবার ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য সরঞ্জামও সঙ্গে এনেছেন তিনি।

এএফপিকে তিনি বলেন, ‘আর মাত্র ১৫ থেকে ২০ দিন এই গাছগুলো টিকে থাকবে, তারপর সূর্যের তাপে শুকিয়ে যাবে।’

ফুলগাছ ঘেরা একটি ফাঁকা জায়গায় স্টোভে চায়ের কেতলি বসিয়ে চা বানান তিনি। চা খেতে খেতে তিনি বলেন, ‘এখানে আসার পর থেকে নিজেকে খুব নির্ভার লাগছে।’

৫৬ বছর বয়স্ক সৌদি নাগরিক হামজা আল মুতাইরিও নিজের পরিবারের সদস্য ও বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে বনভোজনের উদ্দেশে এসেছেন রাফায়। এএফপিকে তিনি বলেন, ‘এখনে আসার পর থেকে জীবনের প্রতি নতুন করে আগ্রহী হয়ে উঠেছি।

দিগন্তজুড়ে ফুলের এই সমাহার দেখতে এমনকি কাতার থেকেও গাড়ি চালিয়ে ছুটে এসেছেন অনেকে। তেমনই একজন আবদুল রহগমান আল মারি।

‘এখানে আসতে আমার ১২ ঘণ্টা গাড়ি ড্রাইভ করতে হয়েছে; কিন্তু আসার পর থেকে কোনো ক্লান্তি বোধ হচ্ছে না। মনে হচ্ছে, যেন স্বর্গে এসেছি।’

এসএমডব্লিউ