নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে রহস্যজনকভাবে সাখাওয়াত হোসেন সাকিব (২২) নামে যুবক খুন হয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ থাকার পর সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের নাপিতের বাড়ি সংলগ্ন স্কুলের পিছনের একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে পচা দুর্গন্ধ পেয়ে সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা সরিয়ে সাকিবের লাশ দেখে স্হানীয়রা পুলিশ খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
নিহত সাখাওয়াত হোসেন সাকিবের পিতা আনোয়ার হোসেন বাদি হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ উপ-পরিদর্শক উজ্জ্বল চন্দ্র বিশ্বাসের অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আজমপুর রেল স্টেশন থেকে বৃহস্পতিবার মফিজুল ইসলাম (৫৩) নামে একজনকে গ্রেফতার করে।
ঘাতক মফিজুল ইসলাম সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারা বাজার থানার কলাউড়া গ্রামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, ঘাতক মফিজুলকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞেসাবাদ করলে মফিজুল স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে বলেন, একই গ্রামের সুফিয়া বেগমের সাথে তার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিলো, বিষয়টি সাকিব দেখে ফেলায় সমাজে জানাজানি হয়ে যাবে এবং সুফিয়া বেগমের সংসার ভেঙে যাবে এ আশংকায় মফিজুল ও সুফিয়া বেগম সাকিবকে হত্যার পরিকল্পনা করে। মফিজুল ইসলাম লেবুর শরবতের মধ্যে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে ০১ সেপ্টেম্বর রাতে সাকিবকে খাওয়ায়। এর ফলে সাকিব গভীর ঘুমে অচেতন হয়ে গেলে তাকে মধ্যরাতে মফিজুল ইসলাম ও সুফিয়া বেগম বাড়ির বাইরে নিয়ে মফিজুল নিজের গামছা দিয়ে সাকিবের শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত হলে মফিজুল ও সুফিয়া বেগম সেপ্টিক ট্যাংকে সাকিবের মরদেহ ফেলে দেয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই উজ্জ্বল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, হত্যার ঘটনায় মামলা হওয়ার পর পুলিশ হত্যাকারীকে গ্রেফতারের অভিযান চালিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আজমপুর রেল স্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে। এবং হত্যায় সুফিয়ার সম্পৃক্ততা পুলিশ তদন্ত করছে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page