নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লায় সিএনজি অটোরিকশাচালককে পানিতে চুবিয়ে হত্যার দায়ে চার জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (৩য়) আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অতিরিক্ত পিপি মো. নুরুল ইসলাম।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন দাউদকান্দি উপজেলার কালাইরকান্দি গ্রামের নলি মিয়ার ছেলে মো. জাহাঙ্গীর (৩০), দেবিদ্বার উপজেলার জাফরাবাদ গ্রামের হাতেম আলীর ছেলে মো. ইমরান (১৮), দাউদকান্দির জুরানপুর গ্রামের মো. সুমন (২২) ও দেবিদ্বার উপজেলার জাফরাবাদ গ্রামের মো. রুবেল (২৩)। দণ্ডপ্রাপ্তরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। নিহত ইকতার হোসেন (৩২) দাউদকান্দি উপজেলার কালাইরকান্দি গ্রামের আব্দুর রহমান বাবুর্চির ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল অটোরিকশাচালক ইকতার হোসেন নিখোঁজ হন। পরদিন দুজন অটোরিকশা ছিনতাইকারীকে দাউদকান্দি থানার পুটিয়া বেকিনগর হিমালয় মৎস্য প্রজেক্টের কাছে স্থানীয়রা মারধর করে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ সেখান থেকে তাদের আটক করে।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশকে জানান, যাত্রী সেজে অটোরিকশায় উঠে ইকতারকে মারধর করে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করেছেন। পরে হিমালয় মৎস্য প্রজেক্টের কচুরিপানার ভেতর লাশ রেখে পালানোর সময় স্থানীয়দের হাতে আটক হন।
ঘটনার পরদিন নিহতের বড় ভাই মো. আক্তার হোসেন বাদী হয়ে দাউদকান্দি থানায় মামলা করেন। মামলায় জাহাঙ্গীর, ইমরান, সুমন ও রুবেলকে আসামি করা হয়। ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। ১৬ সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় দেন বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অতিরিক্ত পিপি মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আশা করছি, হাইকোর্ট এই রায় বহাল রেখে দ্রুত কার্যকর করবেন।’
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী এম. এ আদনান ও ফেরদৌস আক্তার জানিয়েছেন, রায়ের কপি হাতে পেলে হাইকোর্টে আপিল করা হবে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page