স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ইউসুফ নগর গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে সেন্টু মিয়াকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছে সন্ত্রাসীরা।
এ ঘটনার ১৭ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে গুরুতর আহত সেন্টু মিয়া ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাসপাতালের আই সি ইউ তে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের রমজানের কান্দি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে সেন্টু মিয়া (৩৫) গত ১৮ ই জানুয়ারি ইউসুফ নগর গ্রামের ওরশ শেষে বাড়ী ফেরার পথে রাত সাড়ে ১১ টায় পথমধ্যে রমজানেরকান্দি গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মোঃ রাসেল, আবু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ সুমন, নীল মিয়ার ছেলে মোঃ কাইয়ুমসহ অজ্ঞাত আরও ২/৩ জন সেন্টু মিয়ার উপর হামলা চালায়।
হামলাকারীরা এ সময় সেন্টু মিয়াকে কুপিয়ে পিটিয়ে ছুরিকাঘাত করে মারাত্মকভাবে আহত করে। হামলাকারীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পার্শ্ববর্তী একটি মাছের প্রজেক্টে নিয়ে ফেলে দেয়।
খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় েআহত সেন্টুকে প্রথমে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
হাসপাতালে সেন্টুর স্বাস্থ্যের অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেন। বর্তমানে সেন্টু বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আই সি ইউ তে মৃত্যুশয্যায় আছে।
এ ঘটনার পরদিন মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হোসেন বাদী হয়ে ৩ জনের নামে মুরাদনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার ১৭ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
মুক্তিযোদ্ধা হোসেন বলেন, আমার ছেলেকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা চালিয়েছিল সন্ত্রাসীরা। ভাগ্যক্রমে আমার ছেলে বেঁচে গেছে, আমি থানায় মামলা করেছি কিন্তু এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও পুলিশ সুপারের কাছে আকুল আবেদন আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার পরে আইনের আওতায় আনার জন্য।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুরাদনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) আরিফের রহমান জানান, ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছে, তাদের গ্রেফতারে একাধিক স্থানে অভিযান হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে তিনি জানান।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page