আলমগীর হোসেন।।
রমজান মাস ও ঈদকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা শহরে মানুষের যাতায়াত বেড়ে যায়। এছাড়া কেনাকাটার জন্য অনেক মানুষ বের হয়। যে কারণে ট্রাফিক নিয়ে মানুষের অতিরিক্ত কনসার্ন তৈরি হয়। সে বিষয়টিকে মাথায় নিয়ে ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দদের সাথে নিয়ে আমরা চেষ্টা করছি। মহানগরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বজায় রেখে, মানুষের মুভমেন্ট যাতে স্বাভাবিক রাখা যায় সেজন্য ব্যবসায়ী যারা আছে তাদের সাথে কথা বলে, দোকানের সামনে অথবা কোন কমপ্লেক্সের সামনে কোন প্রকার হকার যাতে না বসতে পারে তাদের সাথে কথা বলেছি।এতে করে যাতে ক্রেতাদের মুভমেন্ট সহজ হয়।
তাদের গতিবেগ স্মুথ হবে। তার পাশাপাশি আমাদের ট্রাফিক যারা এই রমজানের মধ্যে সারাদিন ডিউটি করে তাদের সাথে সময় কাটাচ্ছি এবং এর সাথে কাজ করছি যাতে তারাও মোটিভেট হয়। তারা যেন তাদের দায়িত্বটা সুন্দরভাবে পালন করতে পারে। মোট কথা ঈদে কেনাকাটা ও ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশ বদ্ধ পরিকর।
সোমবার বিকেলে কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড়ে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষণ শেষে পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান এসব কথা বলেন।
এ সময় পুলিশ সুপার আরো বলেন, রমজানে এবং ঈদকে সামনে রেখে হকাররা যেন কোন প্রকার ফুটপাত অথবা রাস্তা দখল করে পসরা সাজিয়ে না বসতে পারে। পাশাপাশি আমরা চেষ্টা করছি সকলে মিলে আমরা নিজস্ব একটা স্থান বের করছি যাতে হকাররা সেখানে বসে ব্যবসা করতে পারে। এতে করে হকারদেরও ব্যবসা স্বাভাবিক থাকবে, পাশাপাশি মানুষের চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক চিত্ত রঞ্জন ভৌমিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন) মংনেথোয়াই মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ডিএসবি) কাজী মতিউল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ট্রাফিক) নাজমুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কামরান হোসেন, কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ফিরোজ হোসেন, ট্রাফিক পরিদর্শক জিয়াউল হাসান টিপুসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য সদস্যগণ।
পরে নগরীর কান্দিরপাড় মোরে ট্রাফিক বক্সের সামনে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশের হাতে ইফতার তুলে দেন এবং তিনিও সকলের সাথে ইফতার করেন।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page