স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আগুন লাগিয়ে ভাইয়ের থাকার ঘর পুড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে আপনার ভাইয়ের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (৪অক্টোবর) রাতে উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের ভাজনকরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী সুমন চৌধুরী রাফিজ।
স্থানীয় সূত্র ও থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে জানা গেছে, ভাজনকরা গ্রামের সুমন চৌধুরী রাফিজের সাথে সম্পত্তি নিয়ে তার আপন ভাই ছানা উল্লাহ চৌধুরীর বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে ছানা উল্লাহ চৌধুরী তার স্ত্রী রোকসানা বেগমের ইন্ধনে প্রায় সময় বাড়িতে এসে ঘর ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিত।
শুক্রবার সন্ধ্যায় পদুয়া রাস্তার মাথা থেকে ছানা উল্লাহ চৌধুরী ২ লিটার কেরোসিন তেল ক্রয় করে। রাত দশটায় বাড়িতে প্রবেশের পর পূর্ব শত্রুতার জেরে রাফিজদের থাকার ঘরে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। দৌঁড়ে পালানোর সময় পাশের বাড়ির মৃত সিরাজ মিয়ার রুবেল মিয়া দৌড়ে ছানা উল্লাহসহ ৩-৪ জনকে দেখতে পায়। মুহুর্তের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখায় ৫ কক্ষবিশিষ্ট ঘরের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র পুড়ে যাওয়াসহ প্রায় ৫৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খবর পেয়ে চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
পদুয়া রাস্তার মাথার মেসার্স ছেমনা এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর জাকির হোসেন ভুঁইয়া বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় ছানা উল্লাহ চৌধুরী আমার দোকান থেকে ঘরের গ্রিলে রঙ দেবে বলে ২ লিটার কেরোসিন নিয়ে যায়। পরে জানতে পারি, সে তার আপন ভাইয়ের থাকার ঘরে আগুন দিয়েছে’।
আলকরা ইউপির সাবেক মেম্বার ছলিম উল্লাহ বলেন, দোকান থেকে কেরোসিন ক্রয়ের কথা দোকানদার ও ঘরে আগুন লাগানোর কথা সাদ্দাম নামের একজনের কাছে বলায় তারা আমাকে জানিয়েছে।
আবদুল মমিন ভুঁইয়া নামের বয়োবৃদ্ধ প্রতিবেশি বলেন, ছান্না উল্লাহ চৌধুরী সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে তিন ভাইয়ের থাকার ঘরে আগুন লাগার ঘটনা শুনেছি। আগুনের ছোবল থেকে তাদের কোন কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
ঘরে থাকা ভুক্তভোগী ছানা উল্লাহ চৌধুরীর ভাতিজা সায়মান চৌধুরী নিহাদ বলেন, শুক্রবার রাতে জেঠা আমাকে ঢেকে ঘরের সামনে বসতে বলে। ঘরের পিছন দিয়ে টয়লেটের পাশে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় জেঠা আরও বলতে থাকে, চুপ থাক-আমি বাড়ি থেকে চলে না যাওয়া পর্যন্ত চিৎকার করবি না। আমি ভয়ে কিছু বলতে পারি নাই। পরক্ষণে দেখি- আমাদের থাকার ঘরে দাঁউ দাঁউ করে আগুন জ্বলছে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এটিএম আক্তার উজ জামান বলেন, ‘আগুনের ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।
এবিষয়ে অভিযুক্ত ছানা উল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘সম্পত্তি নিয়ে ভাইদের সাথে বিরোধ রয়েছে। কিন্তু ভাইদেরর ঘরে আগুন লাগানোর বিষয়টি সত্য নয়’।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page